/indian-express-bangla/media/media_files/2025/08/25/indian-railways-2025-08-25-13-16-11.jpg)
Indian Railway: ভারতীয় রেল।
railway track:পূর্ব রেলের শিয়ালদহ বিভাগের অন্তর্গত রানাঘাট–বনগাঁ রেলপথ পশ্চিমবঙ্গের উত্তর ২৪ পরগনা ও নদিয়া জেলার মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ সংযোগ হিসেবে পরিচিত। বনগাঁ স্টেশন (যা আন্তর্জাতিক সীমান্তের নিকটে অবস্থিত) থেকে এই রেলপথটি শিয়ালদহ–কৃষ্ণনগর মূল লাইনের সঙ্গে যুক্ত, যা যাত্রী ও পণ্য পরিবহনের ক্ষেত্রে দ্রুত ও সহজ সংযোগ নিশ্চিত করে।
এই রুটে অবস্থিত স্টেশনগুলো—কপার্স হল্ট, নব রায়নগর হল্ট,গাঙনাপুর, মাঝেরগ্রাম,অকাইপুর হল্ট, গোপালনগর ও সাতবেড়িয়া, এই এলাকার মানুষের যাত্রা ও যোগাযোগকে আরও সহজ করবে। ডাবল লাইন তৈরি হয়ে গেলে পশ্চিমবঙ্গের অন্যান্য অঞ্চলের সঙ্গে এবং দেশের বিভিন্ন রাজ্যের সঙ্গে সংযোগ আরও দ্রুত ও নির্বিঘ্ন হবে।
রেলওয়ে বোর্ড ইতিমধ্যেই ৩২.৯৩ কিমি দৈর্ঘ্যের রানাঘাট–বনগাঁ ডাবল লাইন প্রকল্পের জন্য ৩৯৬.০৪ কোটি টাকার বরাদ্দ অনুমোদন করেছে। এই প্রকল্পের আওতায় মোট ৯টি স্টেশন এবং ২টি লিমিটেড হাইট সাবওয়ে (LHS) নির্মাণ করা হবে—একটি রানাঘাট ও মাঝেরগ্রাম স্টেশনের মধ্যে এবং আরেকটি মাঝেরগ্রাম ও গোপালনগর স্টেশনের মধ্যে।
রানাঘাট জংশন শিয়ালদহ–কৃষ্ণনগর–লালগোলা মূল লাইনে এবং বনগাঁ জংশন শিয়ালদহ/কলকাতা–দমদম–বনগাঁ–পেট্রাপোল (বাংলাদেশ সীমান্তের নিকটে) লাইনে অবস্থিত। বর্তমানে এই অঞ্চলের স্টেশনগুলো একক লাইনে যুক্ত থাকায় ট্রেন চলাচলে বিলম্ব ও ক্রসিংজনিত সমস্যা দেখা দেয়। ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যা ও যাত্রী ও পণ্যের দ্রুত পরিবহনের প্রয়োজনীয়তা পূরণে ডাবল লাইনের গুরুত্ব আরও বেড়ে গেছে।
সম্প্রতি রানাঘাট থেকে বনগাঁ হয়ে শিয়ালদহ পর্যন্ত এসি ইএমইউ লোকাল ট্রেন পরিষেবা চালু হয়েছে, যা যাত্রী সেবাকে আরও উন্নত করেছে। ডাবল লাইন চালু হলে এই অঞ্চলের সামাজিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়নে রেল সংযোগ আরও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
বর্তমানে এই রেলপথের ধারণক্ষমতা ১১৪% ব্যবহৃত হচ্ছে। ডাবল লাইন বাস্তবায়িত হলে ট্রেন চলাচলে কোনো বিলম্ব বা ক্রসিংজনিত সমস্যা হবে না। এছাড়া প্রতিদিন উভয় দিক মিলিয়ে আরও ১০ জোড়া যাত্রীবাহী ট্রেন চালানো সম্ভব হবে এবং অতিরিক্ত ০.৮৮ মিলিয়ন টন পণ্য পরিবহন (MTPA) করা যাবে। এর ফলে রেলের অতিরিক্ত আয় হবে ৮.৬৬ কোটি।
ডাবল লাইনের ফলে এলাকাবাসীর যাতায়াত আরও দ্রুত ও সহজ হবে, স্থানীয় মানুষের জীবনযাত্রায় উন্নতি আসবে এবং সামগ্রিকভাবে এই অঞ্চলের সামাজিক ও অর্থনৈতিক পরিকাঠামো আরও মজবুত হবে।