/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2020/07/highcourt-759-news.jpg)
Calcutta High Court: কলকাতা হাইকোর্ট। ফাইল ছবি।
Recruitment Case: নিয়োগ সংক্রান্ত মামলা নিয়ে ফের কলকাতা হাইকোর্টে বড়সড় ধাক্কা খেতে হয়েছে পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে। গতকালই কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর বেঞ্চ একসঙ্গে ৩১৩ জন শিক্ষকের বেতন বন্ধ করে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। সেই সঙ্গে রাজ্য সরকারকেও তিন দিনের সময়সীমা পর্যন্ত বেঁধে দিয়েছিলেন বিচারপতি।
রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের পাশাপাশি উত্তরবঙ্গের পাহাড়েও শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়াকে কেন্দ্র করে নজিরবিহীন এক দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছিল। GTA-এর এই নিয়োগ নিয়ে তদন্ত করছিল রাজ্যের তদন্ত সংস্থা CID। এই মামলা নিয়ে শুনানিতে এবার হাইকোর্টের বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু রাজ্য সরকারের কাছে নিয়োগ প্রক্রিয়ার ব্যাপারে যাবতীয় নথি চেয়েছিলেন। গতকালই এই নিয়োগ নিয়ে বেশ কিছু নথি খতিয়ে দেখেছিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। তারপরেই ৩১৩ জন শিক্ষকের বেতন বন্ধের নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
গতকাল এই নির্দেশ দেওয়ার পাশাপাশি রাজ্য সরকারকেও ৭২ ঘণ্টার সময়সীমাও বেঁধে দিয়েছেন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। ওই সময়ের মধ্যে এই ৩১৩ জন শিক্ষকের নিয়োগ সংক্রান্ত বিষয়ে যাবতীয় তথ্য-নথি আদালতে জমা দিতে হবে রাজ্য সরকারকে।
গত বৃহস্পতিবারই স্কুল সার্ভিস কমিশনের (SSC) ২০১৬ সালের পুরো প্যানেল বাতিল করে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। শীর্ষ আদালতের এই রায়ের জেরে এমনিতেই অস্বস্তিতে রয়েছে রাজ্য সরকার। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে এই রাজ্যের প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষক-শিক্ষিকা এবং অশিক্ষক কর্মচারীর চাকরি চলে গিয়েছে। কলকাতা হাইকোর্টও এর আগে এই একই নির্দেশ দিয়েছিল। গত বৃহস্পতিবার ওই নির্দেশই বহাল রেখেছে দেশের সর্বোচ্চ আদালত।
তবে সুপ্রিম কোর্টের ওই রায়ের ব্যাখ্যা চাইবে রাজ্য সরকার। গতকালই একথা স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নেতাজি ইনডোর স্টেডিয়ামে চাকরিহারাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন তিনি। যোগ্য চাকরিহারাদের পাশে সর্বোতভাবে থাকার কথাও জানিয়েছেন তিনি। চাকরিহারাদের তাঁর সরকারের ওপর ভরসা রাখতে আবেদন করেছেন মুখ্যমন্ত্রী।