Malda News: 'কাটমানি' না দেওয়ায় রূপশ্রীর ফর্ম বাতিল, কাঠগড়ায় সরকারি আধিকারিকরাই

Rupashree Scheme form canceled in Malda due to non payment of bribe: পঞ্চায়েতের সমীক্ষককে 'কাটমানি' দিতে না পারায় বাতিল হয়ে গেল রূপশ্রী প্রকল্পের ফর্ম। এক উপভোক্তার বিস্ফোরক অভিযোগ সরকারি এই প্রকল্পের ব্লক এবং পঞ্চায়েতের একাংশের সমীক্ষকদের বিরুদ্ধে। এক্ষেত্রে বড়সড় প্রশ্নের মুখে স্তানীয় ব্লক প্রশাসনের ভূমিকা। মালদার চাঁচল ১ নং ব্লকের খরবা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় এই বিষয়টি নিয়ে তুমুল চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। 

মালদার চাঁচল নং ১ ব্লকের খরবা গ্রাম পঞ্চায়েতের গোপালপুর গ্রাম। এই গ্রামেরই বাসিন্দা সালেমা বিবি। তিনি জানান, তাঁর মেয়ে শাহনাজ খাতুনের বিয়ে হয় চলতি বছরের নভেম্বর মাসে। বিয়ের ১৯ দিন আগে রাজ্য সরকারের রূপশ্রী প্রকল্পের টাকা পাওয়ার জন্য নিয়ম মেনে সংশ্লিষ্ট ব্লক দপ্তরে আবেদনও করেন তিনি। বিয়ের ঠিক সাত দিন আগে ব্লক দপ্তর এবং পঞ্চায়েত দপ্তর থেকে এসেছিলেন সমীক্ষকেরা। কিন্তু তারা এরপর ৫ হাজার টাকা দাবি করেন বলে অভিযোগ।

পরিবারের আর্থিক স্বচ্ছলতা না থাকায় তারা দিতে অপারগ হন। পরবর্তী সময়ে তারা জানতে পারেন, শাহনাজের রূপশ্রীর ফর্ম বাতিল হয়েছে। অভিযোগ, এই ব্লক জুড়ে রূপশ্রী প্রকল্প নিয়ে বিস্তর দুর্নীতি হচ্ছে। সক্রিয় রয়েছে দালাল চক্র। প্রত্যেক জায়গাতেই নেওয়া হচ্ছে 'কাটমানি'। সেই 'কাটমানি' দিতে না পারলেই বঞ্চিত হতে হচ্ছে শাহনাজদের মতো অনেককেই।

আরও পড়ুন- West Bengal News Live:খাস কলকাতায় গ্রেফতার বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী, বাজেয়াপ্ত একগুচ্ছ ভুয়ো নথি

আরও পড়ুন- West Bengal News: যোগীরাজ্যে অপারেশনের পর পেটেই গজ কাপড়, SSKM প্রাণ বাঁচাল বৃদ্ধের

বিষয়টি নিয়ে বিজেপির রাজ্য কমিটির সদস্য অভিষেক সিঙ্ঘানিয়া বলেন, "রূপশ্রী প্রকল্পের ২৫ হাজার টাকার জন্য যখন কোনও নাম অ্যালট হয়, তার তদন্ত যারা করতে গিয়েছিল তারা তার জন্য পাঁচ হাজার টাকা কাঠ মানি চায়।সেই কাটমানি না দিতে পারায় তাদের নাম বাতিল করে দেওয়া হয়। এব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া উচিত
 তৃণমূলের চাঁচল ১ ব্লক  সহ সভাপতি অমিতেশ পান্ডে বলেন, আসলে ঘটনাটি কি ঘটেছে  অবশ্যই তদন্ত করে দেখা হবে। 

আরও পড়ুন- Tiger in Purulia: লেজে খেলাচ্ছে বাঘিনী জিনাত, পর্যটনের মরশুমে রয়্যাল আতঙ্কে কাঁটা পুরুলিয়া!

বর্তমানে যিনি বিডিও আছেন তিনি তদন্ত করে দেখবেন।যদি দোষী সাব্যস্ত হয় তাহলে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। অভিযোগ দেওয়া আর অভিযোগ প্রমাণ করা এই দুটোর মধ্যে পার্থক্য রয়েছে। জেলাশাসক নীতিন সিংহানিয়া জানিয়েছেন, পুরো বিষয়টি নিয়ে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।