embroidery work: এক হাতেই গোটা পরিবারের রুজি রুটির ব্যবস্থা করে চলেছেন এই ব্যক্তি। পারিবারিক পুরনো এই ব্যবসার ভার এখন তাঁরই কাঁধে। নিপুণ দক্ষতা আর অদম্য ইচ্ছাশক্তিকে পাথেয় করে জীবন-যুদ্ধে এগিয়ে চলেছেন উত্তর ২৪ পরগনার বারাসতের সইফুল ইসলাম। নিজে তো বটেই এলাকারও বেশ কয়েকজন বাসিন্দাকে হাতের এই কাজ শিখিয়ে আর্থিকভাবে সাবলম্বী করে তুলেছেন এই ব্যক্তি।
বারাসতের ছোট জাগুলিয়া খালপাড় এলাকার বাসিন্দা সইফুল ইসলাম। ২০০৫ সালে একটি দুর্ঘটনায় তাঁর একটি হাত বাদ চলে যায়। তারপর থেকে এক হাতেই আঁকিবুকির কাজ চালিয়ে গিয়েছেন তিনি। এমব্রয়ডারির কাজের সঙ্গে যুক্ত সইফুল। মাত্র ১২ বছর বয়সে এই কাজে হাতেখড়ি হয় তাঁর।
মাঝে ২০০৫ সালে দুর্ঘটনায় মাথায় যেন আকাশ ভেঙে পড়ার জোগাড় হয়। তবে এরপরেও দমেননি তিনি। শরীর থেকে একটি হাত বাদ চলে গেলেও থামেননি সইফুল। এক হাতেই এরপর শুরু হয় জীবনের নতুন সংগ্রাম। সেলাইয়ের ডিজাইন থেকে শুরু করে ছাপ তোলা ও নানা ধরনের ছবি এঁকে তার অসাধারণ দৃশ্যপট কাপড়ে ফুটিয়ে তোলার কাজ শুরু করেন তিনি।
কঠিন সংগ্রাম:
আরও পড়ুন- Mamata writes to Modi: 'আগের চিঠির জবাব এখনও পাইনি', ফের মোদীকে চিঠি দিলেন মমতা
আরও পড়ুন- Nabanna Abhijan: নবান্ন অভিযানে পুলিশি সক্রিয়তা! কলকাতার সিপি-কে নোটিস জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের
আজ তাঁর বয়স ৪৫। এখনও নিজেই সামলাচ্ছেন ব্যবসার সব দায়িত্ব। কলকাতা তো বটেই এমনকী ভিনরাজ্যেও এমব্রয়ডারির কাজের কদর বেশি। কাজের অর্ডারও ভালোমতোই আসে বছরভর। তাই এলাকার বেশ কয়েকজন মহিলাকেও একাজে যুক্ত করে ফেলেছেন সইফুল। নিজে হাতে কাজ শিখিয়েছেন তাঁদের। আজ সইফুলের জন্য এলাকারও অনেকে মহিলা একাজ শিখে আর্থিককভাবে সাবলম্বী হয়েছেন।
আরও পড়ুন- Kolkata Metro: মেট্রো যাত্রীরা এখবর আগে পড়ুন! পাতালপথে যাত্রা জমে ক্ষীর! ফাটাফাটি উদ্যোগ চর্চায়!
আরও পড়ুন- পুজোয় উত্তরবঙ্গ? টিকিটের চিন্তা ছাড়ুন! ছুটবে স্পেশাল ট্রেন, জানুন সময়সূচি