Katwa Awas Yojana: আবাস প্রাপকদের নামের তালিকা ধরে যাচাই প্রক্রিয়া শুরু হতেই মিললো 'ভূতুড়ে' উপভোক্তা। তা নিয়েই ব্যাপক শোরগোল পড়ে গিয়েছে
পূর্ব বর্ধমানের কাটোয়া ২ ব্লকের জগদানন্দপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায়। সরকারি তালিকার স্থান করে নেওয়া ওই 'ভূতুড়ে' উপভোক্তা হলেন সুদেষ্ণা রায়। ৬টি ঘরের উপভোক্তা হিসাবে তাঁর নাম সরকারি তালিকায় জ্বলজল করছে। কিন্তু জগদানন্দপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের মূন্থলী,আমডাঙা ও জগদান্দপুর গ্রামে ঘুরে তন্নতন্ন করে খোঁজ চালিয়েও প্রসাসনের কর্তারা সুদেষ্ণা রায়ের হদিশ পাননি। বিরোধীদের কটাক্ষ, সরকারি টাকা লুঠতে এটাও তৃণমূলের একটা 'ফন্দি'।
সরকারি আবাস যোজনার তালিকা অনুযায়ী সুদেষ্ণা রায় মুস্থুলি গ্রামে ২ টি,আমডাঙা গ্রামে ৩ টি এবং জগদানন্দপুর গ্রামে ১টি ঘরের উপভোক্তা। তবে মজার বিষয় হল, তালিকার ৬ জায়গায় ওই মহিলার আইডি নম্বর ও পরিবারের প্রধানের নাম আলাদা। মুস্থুলি গ্রামে মহিলার পরিবারের প্রধান হিসাবে নাম রয়েছে যথাক্রমে নারায়ণ মাঝি এবং শক্তিপদ খান। আমডাঙা গ্রামে ওই মহিলার পরিবার পরিবারের প্রধানের নামগুলি হল বিশ্বনাথ দাস, গৌড়পদ মাঝি এবং মানিক দাস। আর জগদানন্দপুর গ্রামে সুদেষ্ণা রায়ের পরিবারের প্রধান হয়ে গিয়েছেন বাদল দাস। তিন গ্রামের বাসিন্দারাই বলছেন আবাসের আলিকায় সুদেষ্ণা রায়ের নামটাই আসলে 'ভূতুড়ে'।
বিজেপির পূর্ব বর্ধমান জেলা সম্পাদক রানাপ্রতাপ গোস্বামী এ নিয়ে বলেন, “সরকারি টাকা লুঠতে তৃণমূলের নেতাদের ফন্দি ফিকিরের কোনও শেষ নেই। 'ভূতুড়ে' নাম তালিকাতে ঢোকানোটাও সেই রকমই একটা ফন্দি। এতদিন ধরে তৃণমূলের লোকজন এভাবেই আবাসের তালিকায় ভুয়ো নাম ঢুকিয়ে আবাস যোজনার অনুদানের টাকা তুলে নিয়েছে। এর জন্য প্রকৃত উপভোক্তরা বঞ্চিত হচ্ছেন।"
আরও পড়ুন- Train Derailment: ফের রেল দুর্ঘটনা, লাইন থেকে ছিটকে গেল শালিমারগামী এক্সপ্রেস ট্রেনের পরপর কামরা
আরও পড়ুন- Rain in West Bengal: আবহাওয়া ধীরে ধীরে বদলাতেই ফের বৃষ্টির সম্ভাবনা, সপ্তাহ ঘুরলেই প্রবল দুর্যোগ?
যদিও বিজেপি নেতার এই দাবি মানতে মানতে চাননি তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্যের মুখপাত্র প্রসেনজিৎ দাস। তিনি দাবি করেন, "সরকারি কর্মীরা হয়তো টেকনিক্যাল ভুল করেছেন।" জেলা শাসক আয়েষা রানিরও বক্তব্য, "এটা অফিসিয়ালি মিসটেক। যোগ্য ব্যক্তিরা যাতে অনুদান পান সেই লক্ষ্যেই বর্তমানে সার্ভে চলছে।"