Sayendri Chattraj-India Book of Records: বিভিন্ন দেশের রাজধানীর নাম, মনীষীদের নাম এবং নানা পশুপাখির আওয়াজ করে মাত্র ১ বছর ১০ মাস বয়সেই ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডসে (India Book of Records) নাম তুলে ফেলেছে পুরাতন মালদার শিশুকন্যা সয়েন্দ্রী চট্টরাজ। তার এই সাফল্যে অভিভাবকদের পাশাপাশি খুশি প্রতিবেশীরাও। গত ২২ নভেম্বর পুরাতন মালদার সাহাপুর এলাকার চট্টরাজ পরিবারে ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডসের সাফল্যের শংসাপত্রের পুরস্কার এসে পৌঁছেছে। এত অল্প বয়সে যেখানে অনেক শিশুরাই সঠিকভাবে নিজেদের নাম বলতে পারে না, সেখানে সয়েন্দ্রীর এমন প্রতিভায় রীতিমতো হতবাক হয়ে গিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
উল্লেখ্য, পুরাতন মালদা ব্লকের সাহাপুর অঞ্চলের বাগানপাড়া এলাকায় সয়েন্দ্রীর বাড়ি৷ তার বাবা সন্দীপন চট্টরাজ পেশায় প্রাইমারি স্কুল শিক্ষক। মা পায়েল ভাদুড়ী চট্টরাজ পেশায় সরকারি স্বাস্থ্যকর্মী। সম্প্রতি ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডসের তরফে দেশ জুড়ে ট্যালেন্ট সার্চ হয়েছিল। গত ২৫ অক্টোবর অনলাইনে সেই প্রতিযোগিতায় অংশ নেয় সয়েন্দ্রী। প্রতিযোগিতায় তাকে সাত ধরনের প্রশ্ন করা হয়। তার মধ্যে ছিল বিভিন্ন দেশের রাজধানীর নাম, বিভিন্ন পশু পাখির নাম এবং তার আওয়াজ করা, ছবি দেখে বিখ্যাত ব্যক্তিদের নাম বলা। এছাড়া বিশ্বের তিনটি বিখ্যাত কোম্পানির মালিকের নাম সহ ইত্যাদি। প্রতিটিরই সঠিক উত্তর দেয় সয়েন্দ্রী।
গত ৭ নভেম্বর সন্দীপনবাবুকে ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডসের তরফে জানানো হয়, তাঁর মেয়ে প্রতিযোগিতায় সফল হয়েছে। তার নাম ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডসে উঠেছে। ইতিমধ্যে পার্সেলের মাধ্যমে নিজের পুরস্কারও পেয়ে গিয়েছে সয়েন্দ্রী। সন্দীপনবাবু জানিয়েছেন, প্রথমে বিভিন্ন প্রশ্ন ও তার উত্তরদানের ভিডিও ছবি দিয়ে মেয়ের নাম ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডসে পাঠায়। ওই ভিডিও দেখে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ খুশি হয়। এরপর তারা আবার মেয়ের পরীক্ষা নেয়। মেয়ে কি কি পারে তা জানতে ফের অনলাইনের মাধ্যমে পরীক্ষা নেওয়া হয়৷ সেই পরীক্ষায় মেয়ে উত্তীর্ণ হয়ে যাওয়ার ২০ দিন পর উপহার, মেডেল শংসাপত্র পাঠানো হয় ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডসের পক্ষ থেকে।
মা পায়েল ভাদুড়ী চট্টরাজ বলেন, "ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডসে ট্যালেন্ট সার্চ প্রতিযোগিতায় আবেদন করার পর, গত ২৫ অক্টোবর হরিয়ানা থেকেই অনলাইনের মাধ্যমে মেয়ের পরীক্ষা নেওয়া হয়। মেয়েকে প্রথমে পাঁচটি করে জিনিসের নাম বলতে বলা হয়েছিল। ও প্রতিটি প্রশ্নেরই সঠিক উত্তর দিয়েছিল। এমনকি আমার মেয়ে বিভিন্ন ধরনের পশু পাখির নাম বলার পাশাপাশি তাদের শব্দ নকল করতে পেরেছে। এরপরই ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডস কর্তৃপক্ষ আমার মেয়েকে এই সম্মান দিয়েছে।"
আরও পড়ুন- Strange News: গ্রামের পর গ্রামে একই দিনে বাড়ি-বাড়ি 'বিয়ে'! অবাক-কাণ্ডের নেপথ্যের গল্পটি জানেন?