ex-CJI Chandrachud: ভারতের প্রধান বিচারপতি হিসেবে ২ বছর দায়িত্ব পালনের পর, চন্দ্রচূড় ২০২৪ সালের ১০ নভেম্বর অবসর গ্রহণ করেন। পদে থাকাকালীন তিনি ৫, কৃষ্ণ মেনন মার্গে প্রধান বিচারপতির জন্য বরাদ্দ আবাসন পেয়েছিলেন। তিনি এখনও একই বাংলোয় বসবাস করছেন বলে অভিযোগ, এবার এবিষয়ে সরকারকে চিঠি দিল সুপ্রিম কোর্ট।
প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় অবসরের আটমাস পরেই সরকারি বাসভবনেই রয়েছেন। এই নিয়ে এবার সুপ্রিম কোর্ট কঠোর অবস্থান নিয়েছে। আদালতের তরফে কেন্দ্রীয় নগর উন্নয়ন মন্ত্রককে চিঠি লিখে চন্দ্রচূড়কে বাসভবন খালি করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। চিঠিতে বলা হয়েছে যে, নিয়ম অনুসারে, অবসর গ্রহণের পর কোন বিচারপতি এত দিন সরকারি বাসভবনে থাকতে পারবেন না।
ভারতের প্রধান বিচারপতি হিসেবে ২ বছর দায়িত্ব পালনের পর ২০২৪ সালের ১০ নভেম্বর চন্দ্রচূড় অবসর গ্রহণ করেন। পদে থাকাকালীন তিনি প্রধান বিচারপতির বাসভবন হিসেবে ৫ কৃষ্ণ মেনন মার্গের বাংলোটির বরাদ্দ পেয়েছিলেন। অবসর গ্রহণের পর, নিয়ম অনুসারে তাকে অস্থায়ী বাসভবন হিসেবে টাইপ ৭ বাংলো বরাদ্দ করা হয়েছিল, কিন্তু তিনি সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসনের কাছে অনুরোধ করেন এবং ৩০ এপ্রিল ২০২৫ মেনন মার্গের বাংলোতে থাকার অনুমতি চান। সেই মেয়াদ শেষ হওয়ার পরেও, বর্তমান প্রধান বিচারপতি বিআর গাভাই তাকে ৩১ মে পর্যন্ত বাসভবনে থাকার অনুমতি দেন।
সরকারকে লেখা চিঠিতে এসসি কী বলেছে?
সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসনের লেখা চিঠি অনুসারে, অবসর গ্রহণের ৮ মাস পরেও, চন্দ্রচূড় বাংলোটি খালি করেননি। তার অনুরোধে, সুপ্রিম কোর্ট তাকে ৩১ মে পর্যন্ত বাংলোয় থাকার অনুমতি দেওয়া হয়। সেই সময়কালও শেষ হয়ে গেছে। ফলে নতুন বিচারপতিরা আবাসন বরাদ্দে সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন। এমন পরিস্থিতিতে, প্রাক্তন প্রধান বিচারপতিকে অবিলম্বে বাংলোটি খালি করতে বলা উচিত। এই প্রসঙ্গে ১ জুলাই সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন কেন্দ্রীয় আবাসন ও নগর বিষয়ক মন্ত্রক (MoHUA)-কে একটি চিঠি দিয়ে দ্রুত বাংলোটি খালি করা নির্দেশ দিয়েছে।
জবাবে প্রাক্তন বিচারপতি চন্দ্রচূড় জানিয়েছেন, তিনি ইতিমধ্যেই বিকল্প একটি বাংলো পেয়েছেন, কিন্তু সেটি দীর্ঘদিন ব্যবহৃত না হওয়ায় সংস্কারের প্রয়োজন। পাশাপাশি, তাঁর দুই কন্যা বিরল ও জটিল রোগে আক্রান্ত, যাদের নিয়মিত AIIMS-এ বিশেষ চিকিৎসার দরকার হয়। এই কারণেই স্থানান্তর প্রক্রিয়া বিলম্বিত হয়েছে বলে তিনি জানান। তিনি আরও বলেন, “এটি একান্তভাবে আমার ব্যক্তিগত সমস্যা, তবে আমি আদালত প্রশাসনকে এই বিষয়ে আগেই অবহিত করেছিলাম।”বিচারপতি চন্দ্রচূড় আশ্বাস দিয়েছেন, “এই সমস্যার সমাধান কয়েক দিনের মধ্যেই হয়ে যাবে। আমি অবগত এই পদে থাকাকালীন দায়িত্ব ও মর্যাদা কীরকম হওয়া উচিত।”