বিচার ব্যবস্থায় কেন্দ্রীয় হস্তক্ষেপ নিয়ে এবার সরব সিপিএমও। দলের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম বিচার ব্যবস্থায় কেন্দ্রীয় হস্তক্ষেপ নিয়ে তুলোধনা করলেন বিজেপিকে। 'বিচার ব্যবস্থার স্বাধীনতাকে ধ্বংস করার চেষ্টা হচ্ছে। বিচার ব্যবস্থায় কোনও ধরনের সরকারি হস্তক্ষেপ আমরা চাই না।' এদিন মুখ্যমন্ত্রীও বিচার প্রক্রিয়ায় সরকারি হস্তক্ষেপ নিয়ে কেন্দ্রকে আক্রমণ করেছেন। তবে এক্ষেত্রে সিপিএম অবশ্য তৃণমূলের পাশে থাকতে নারাজ। বরং এব্যাপারে তৃণমূল ও বিজেপির একই মনোভাব রয়েছে বলে সুর চড়িয়েছেন সেলিম।
এদিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে সেলিম বলেন, 'কেন্দ্রের আইনমন্ত্রী বিচারপতিদের ভয় দেখাচ্ছেন। বিচার ব্যবস্থাকে গ্রাস করার চেষ্টা হচ্ছে। বিচার ব্যবস্থার নিরপেক্ষতা নষ্ট করছে। ন্যাশনাল জুডিশিয়াল অ্যাপয়নমেন্ট কমিশনে কেন্দ্র বা রাজ্য কারও হস্তক্ষেপই ঠিক নয়। বিচারপতিরাও নিজেরা বিচারপতি নিয়োগ করবেন সেটাও ঠিক নয়। বিচার ব্যবস্থার স্বাধনীতাকে ধ্বংস করার চেষ্টা হচ্ছে।'
আরও পড়ুন- সুজনের বাড়িতে ‘দিদির দূত’ লাভলি, চায়ের নিমন্ত্রণের জবাবে কি বললেন বিধায়ক?
এদিন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও একই ইস্যুতে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছেন। যদিও সিপিএম অবশ্য এক্ষেত্রে তৃণমূল সুপ্রিমোকে 'সার্টিফিকেট' দিতে নারাজ। সেলিম এপ্রসঙ্গে এদিন বলেন, 'মমতা ব্যানার্জি বিচার ব্যবস্থা নিয়ে যত কম কথা বলেন তত ভালো। ক্রমাগত বিচার ব্যবস্থাকে পঙ্গু করার চেষ্টা হচ্ছে। পছন্দ মতো বিচারপতি নিয়োগ করা হচ্ছে। বিচারপতি অবসর নিলেই রাজ্যসভায় বা গভর্নর করার চেষ্টা হচ্ছে। এক্ষেত্রে মোদী-মমতায় ফারাক নেই। রাজ্যের ক্ষেত্রেও এটা হচ্ছে।'
আরও পড়ুন- কলকাতা থেকে সকালে বেরিয়ে সন্ধেয় ফিরুন, মন জুড়োবে অসাধারণ এই নদীপাড়
উল্লেখ্য, বিচার ব্যবস্থায় কেন্দ্রীয় হস্তক্ষেপের অভিযোগের সূত্রপাত মোদী সরকারের আইনমন্ত্রী কিরেণ রিজিজুর একটি চিঠিকে কেন্দ্র করে। তিনিই প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়কে একটি চিঠি লিখেছেন। সেই চিঠিতে কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী দাবি করেছেন, এবার থেকে বিচারপতি নিয়োগের প্রক্রিয়ায় সরকারি প্রতিনিধিদেরও যুক্ত করতে হবে।
আরও পড়ুন- মুখ্যমন্ত্রীর হুঁশিয়ারিতেও নড়ল না টনক, ফের রেফার রোগে রোগীমৃত্যু
বিচারপতি নিয়োগের ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় সরকারি প্রতিনিধিদের মতামতকে গুরুত্ব দেওয়ারও দাবি করেছেন রিজিজু। বিচারপতি নিয়োগ প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা বজায় রাখতেই জনপ্রতিনিধিদের এই ব্যবস্থায় যুক্ত করা প্রয়োজন বলে মনে করেন কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী।