/indian-express-bangla/media/media_files/dG6k0Id09RLtB63mu0mJ.jpg)
নীরবতা ভাঙলেন শেখ হাসিনা, সামনে আনলেন 'আসল সত্যি'
অবশেষে নীরবতা ভাংলেন বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দেশজুড়ে ছাত্র আন্দোলনের পর ঘটে যাওয়া রাজনৈতিক অস্থিরতা ও ক্ষমতাচ্যুতি নিয়ে প্রথমবারের মতো মুখ খুললেন তিনি। হাসিনা দাবি করেছেন, তাঁকে ক্ষমতা থেকে উৎখাতের জন্য গত বছরের ছাত্র আন্দোলন আসলে একটি “পরিকল্পিত সন্ত্রাসবাদী হামলা”, যার নেপথ্যে ছিল আমেরিকা ও পাকিস্তানের যৌথ ষড়যন্ত্র।
আরও পড়ুন- চলতি সপ্তাহেই প্রকাশিত হতে চলেছে স্কুল সার্ভিস কমিশনের ফলাফল? কবে নিয়োগ? রইল ব্রেকিং আপডেট
দ্য প্রিন্টকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে হাসিনা বলেন, “একে কোনভাবেই বিপ্লব বলা যায় না! এটা ছিল বাংলাদেশের উপর পরিকল্পিত সন্ত্রাসবাদী আক্রমণ। যেটা আমেরিকা পরিকল্পনা করেছিল এবং পাকিস্তান থেকে পরিচালিত হয়েছিল। পরে সেটিকে 'ছাত্র আন্দোলন' নাম দেওয়া হয়। আমাকে ক্ষমতা থেকে সরাতে এই হামলার পরিকল্পনা করা হয়েছিল।” তাঁর দাবি, তাঁর সরকারের বিরুদ্ধে যেসব হত্যাকাণ্ডের অভিযোগ তোলা হয়েছিল, সেগুলি পুলিশ নয়, বরং সন্ত্রাসীদের কাজ ছিল, যাতে জনমাসনে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করে তাঁকে দুর্বল করা যায়।
আরও পড়ুন- ঘন ঘন টেনশনে ভুগছেন? এই ৫টি উপায় মানসিক শান্তি মিলবে, হাতে নাতে ফল পাবেন
মহম্মদ ইউনূসকে সরাসরি অভিযুক্ত করলেন হাসিনা
প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী আরও দাবি করেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নির্দেশে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ মহম্মদ ইউনূস তাঁর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে যুক্ত ছিলেন। হাসিনার অভিযোগ, “আমেরিকা আমার কাছ থেকে সেন্ট মার্টিন দ্বীপের নিয়ন্ত্রণ চেয়েছিল। আমি রাজি হইনি, তাই তারা আমাকে ক্ষমতা থেকে সরাতে এই পরিকল্পনা করে। ইউনূস তাদের নির্দেশে বাংলাদেশে সন্ত্রাসী হামলার পরিকল্পনা, অর্থায়ন এবং বাস্তবায়ন করেন। তিনি একজন বিশ্বাসঘাতক, যিনি নিজের উচ্চাকাঙ্ক্ষার জন্য নিজের দেশ ধ্বংস করেছেন।”হাসিনা আরও অভিযোগ করেন, পাকিস্তানের মৌলবাদী শক্তিগুলি ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের পর থেকেই বাংলাদেশে চরমপন্থী নেটওয়ার্কগুলিকে সমর্থন করে আসছে। তাঁর দাবি, সাম্প্রতিক ঘটনাগুলিও সেই পুরনো হস্তক্ষেপ নীতিরই অংশ।
আরও পড়ুন- একটাকাও বিনিয়োগ নয়! এই ১০ উপায়ে হবেন কোটিপতি, জানুন গোপন রহস্য
হাসিনার দেশত্যাগের পর মহম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার আওয়ামী লীগের কার্যক্রম স্থগিত করে এবং নির্বাচন কমিশন দলটির রেজিস্ট্রেশন বাতিল করে। বাংলাদেশের অন্যতম প্রাচীন রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ বর্তমানে একাধিক মামলার মুখে, যার মধ্যে রয়েছে বিক্ষোভকারীদের মৃত্যুর ঘটনায় শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া হত্যা মামলা।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-এ তাঁর বিচার শেষ হয়েছে এবং রাষ্ট্রপক্ষ হাসিনার মৃত্যুদণ্ড দাবি করেছে।বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন ডিসেম্বরের প্রথম দিকে সাধারণ নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করতে পারে বলে জল্পনা। সেনাবাহিনী ও বিএনপি-র চাপে অন্তর্বর্তী সরকার আগামী বছরের ফেব্রুয়ারির মধ্যে নির্বাচন আয়োজনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
আরও পড়ুন-SIR বনাম CAA: নাগরিকত্ব না ভোটাধিকার? নয়া বিতর্কে মতুয়া সমাজে নতুন দোটানা!
উল্লেখ্য গত বছরের ৫ আগস্ট ছাত্র আন্দোলন রক্তাক্ত আকার ধারণ করলে এবং বিক্ষোভে ১,৪০০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হলে হাসিনাকে দেশ ত্যাগ করতে বাধ্য করা হয়। প্রথমে সরকারি চাকরির কোটা নীতির বিরুদ্ধে শুরু হওয়া ছাত্র বিক্ষোভ দ্রুত সরকারবিরোধী গণআন্দোলনে পরিণত হয়। সেনাপ্রধান ওয়াকার-উজ-জামানের পরামর্শে হাসিনা ঢাকা ছেড়ে ভারত আশ্রয় নেন। বর্তমানে তিনি দিল্লিতে সরকার-সুরক্ষিত এক বাসভবনে রয়েছেন বলেই খবর।
/indian-express-bangla/media/agency_attachments/2024-07-23t122310686z-short.webp)
 Follow Us