Shubhanshu Shukla's Space Axiom-4 Mission: দীর্ঘ চার দশকের অপেক্ষার অবসান। ৪১ বছর পর আবারও মহাকাশে পাড়ি দিতে চলেছে আরও এক ভারতীয়, —এই প্রথম আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন (ISS)-এ যাচ্ছেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত শুভাংশু শুক্লা।
এক নজরের দেখে নেওয়া যাক উৎক্ষেপণ ও যাত্রাপথ
উৎক্ষেপণ সময়: ২৫ জুন, দুপুর ১২:০১ (IST)
স্থান: নাসা কেনেডি স্পেস সেন্টার, ফ্লোরিডা
মহাকাশযান: SpaceX Crew Dragon (C213)
রকেট: Falcon-9
মোট সময়: প্রায় ২৮ ঘণ্টা
ডকিং সময়: ২৬ জুন বিকেল ৪:৩০
ইতিহাস গড়তে চলেছে ভারত
১৯৮৪ সালে উইং কমান্ডার রাকেশ শর্মা-র পর, শুভাংশু শুক্লা দ্বিতীয় ভারতীয় মহাকাশচারী হিসাবে মহাকাশে রওনা দিচ্ছেন।
তিনিই হবেন প্রথম ভারতীয়, যিনি ISS-এ পা রাখতে চলেছেন।
উৎক্ষেপণের আগে ৪০ দিনের কোয়ারেন্টাইন ও প্রশিক্ষণ পর্ব সফলভাবে শেষ করেছেন।
১৯৮৪ সালের পর প্রথম,ভারতীয় হিসাবে আজ মহাকাশে পা রাখতে চলেছেন শুভাংশু শুক্লা, AX-4 মিশনে শুরু ঐতিহাসিক যাত্রা।
একাধিকবার বিলম্বের পরে অবশেষে মহাকাশে পাড়ি দিতে চলেছেন ভারতের গ্রুপ ক্যাপ্টেন শুভাংশু শুক্লা। NASA, Axiom Space এবং SpaceX যৌথভাবে জানিয়েছে, বুধবার, ২৫ জুন দুপুর ১২.০১ (ভারতীয় সময়) নাগাদ উৎক্ষেপণ হতে চলেছে Axiom Mission 4। এটি আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনের (ISS) উদ্দেশ্যে চতুর্থ বেসরকারি মহাকাশ মিশন। উৎক্ষেপণ হবে NASA-র কেনেডি স্পেস সেন্টারের Launch Complex 39A থেকে। SpaceX-এর Falcon 9 রকেটে চেপে মহাকাশচারীরা নতুন Dragon মহাকাশযানে করে রওনা দেবেন ISS-এর দিকে। পরিকল্পনা অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার, ২৬ জুন বিকেল ৪.৩০ নাগাদ (IST) মহাকাশ স্টেশনে ডক করার সম্ভাবনা রয়েছে।
ভারতীয় বায়ুসেনার গ্রুপ ক্যাপ্টেন শুভাংশু শুক্লা আজ AX-4 মিশনে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনের উদ্দেশ্যে রওনা দেবেন, গড়তে চলেছেন নয়া ইতিহাস। আজকের দিনটি ভারতের মহাকাশ ইতিহাসে একটি মাইলফলক হয়ে থাকবে। ভারতীয় বায়ুসেনার গ্রুপ ক্যাপ্টেন শুভাংশু শুক্লা ২৫ জুন, বুধবার নাসার কেনেডি স্পেস সেন্টার থেকে স্পেসএক্স ও Axiom Space-এর Axiom Mission-4 (AX-4) মিশনের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন (ISS)-এর উদ্দেশ্যে যাত্রা করবেন। ১৯৮৪ সালে রাকেশ শর্মা-র পর তিনিই হবেন দ্বিতীয় ভারতীয়, যিনি মহাকাশ ভ্রমণ করবেন।
উৎক্ষেপণ হবে NASA-র কেনেডি স্পেস সেন্টারের Launch Complex 39A থেকে। SpaceX-এর Falcon 9 রকেটে চেপে মহাকাশচারীরা নতুন Dragon মহাকাশযানে করে রওনা দেবেন ISS-এর দিকে। পরিকল্পনা অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার, ২৬ জুন বিকেল ৪.৩০ নাগাদ (IST) মহাকাশ স্টেশনে ডক করার সম্ভাবনা রয়েছে।
মিশনের গুরুত্বপূর্ণ দিকগুলি:
প্রথম নির্ধারিত উৎক্ষেপণ ছিল ২৯ মে, ২০২৫।
প্রযুক্তিগত সমস্যা ও আবহাওয়ার কারণে আগের নির্ধারিত দিনগুলিতে উৎক্ষেপণ বাতিল করা হয়।
এর আগে ২৯ মে, ৮ জুন, ১০ জুন, ১১ জুন, ১৯ জুন ও ২২ জুন উৎক্ষেপণের তারিখ নির্ধারিত করা হয়েছিল। কিন্তু প্রতিবারই কোনও না কোনও প্রযুক্তিগত সমস্যার কারণে মহাকাশযাত্রা সম্ভব হয়নি। এবার সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে আজ মহাকাশে পাড়ি দেবেন এই ভারতীয় গ্রুপ ক্যাপ্টেন।
শুভাংশু শুক্লা যদি সফলভাবে এই মিশনে যান, তাহলে তিনি হবেন ভারতের দ্বিতীয় ব্যক্তি যিনি মহাকাশে পা রাখবেন। তাঁর আগে, ১৯৮৪ সালে উইং কমান্ডার রাকেশ শর্মা ছিলেন প্রথম ভারতীয় যিনি সোভিয়েত ইউনিয়নের মাধ্যমে মহাকাশে যান।
শুভাংশুর মহাকাশ যাত্রা শুধু তাঁর একার নয়, সমগ্র ভারতের গর্ব। ৪০ বছর বয়সী এই ভারতীয় পাইলট এর আগে মিগ-২১ ও জাগুয়ার ফাইটার জেটে ২,০০০ ঘণ্টারও বেশি সময় উড়েছেন। ২০১৯ সালে ইসরোর গগনযান মিশনের জন্য বাছাইয়ের পর প্রশিক্ষণ নিতে রাশিয়ার ইউরি গ্যাগারিন কসমোনট ট্রেনিং সেন্টারে যান তিনি।
এই প্রথম কোনও ভারতীয় নাগরিক আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে ১৪ দিন কাটাবেন এবং বিভিন্ন বৈজ্ঞানিক গবেষণায় অংশ নেবেন। পরীক্ষাগুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে—মেথি ও মুগ বীজের উপর মহাকাশের মাইক্রোগ্র্যাভিটির প্রভাব এবং মানবদেহে সেই প্রভাব বিশ্লেষণ। এছাড়াও নাসার সঙ্গে যৌথভাবে ৫টি গুরুত্বপূর্ণ গবেষণাতে অংশ নেবেন তিনি।
এই মিশনে ভারতের খরচ
এই মিশনে ভারতের খরচ প্রায় ৫৪৮ কোটি টাকা। খাওয়াদাওয়ার দিক থেকেও থাকছে দেশীয় ছোঁয়া—ইসরো ও ডিআরডিও শুভাংশুর জন্য মুগ ডালের হালুয়া ও আমের জুস মহাকাশে তার সঙ্গে পাঠাবে।
১৯৮৪ সালে রাকেশ শর্মা সোভিয়েত ইউনিয়নের সয়ুজ T-11 মহাকাশযানে ভারতের পতাকা উত্তোলন করেছিলেন। সেই ঐতিহাসিক ঘটনার চার দশক পর, ফের মহাকাশে ভারতের প্রতিনিধিত্ব করতে চলেছেন শুভাংশু শুক্লা। তাঁর এই যাত্রা শুধু এক মহাকাশ অভিযানের অংশ নয়, এটি ভারত-নাসা সহযোগিতার নতুন দিগন্ত এবং গগনযান মিশনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপও।
মিশনের উৎক্ষেপণ কবে, কোথা থেকে?
তারিখ: ২৫ জুন (বুধবার, ভারতীয় সময় অনুযায়ী দুপুরে)
স্থান: কেনেডি স্পেস সেন্টার, ফ্লোরিডা (লঞ্চ কমপ্লেক্স ৩৯এ)
ডকিং সময়: ২৬ জুন সকাল ৭টা (IST: বিকেল ৪:৩০)
আবহাওয়া ও প্রযুক্তিগত পরিস্থিতি
স্পেসএক্স জানিয়েছে, AX-4 মিশনের জন্য ৯০% আবহাওয়া অনুকূল, এবং সমস্ত প্রযুক্তিগত ব্যবস্থা প্রস্তুত। তবে উল্লেখযোগ্য বিষয়, এই উৎক্ষেপণ এর আগে ৬ বার পিছিয়ে যায়, যার মধ্যে প্রধান সমস্যা ছিল ফ্যালকন-৯ রকেটের জ্বালানি লিক ও ISS-এর রাশিয়ান সেকশনে প্রযুক্তিগত ত্রুটি।
গগনযান প্রকল্পের সঙ্গে কী সম্পর্ক এই মিশনের?
AX-4 মিশনে অর্জিত অভিজ্ঞতা ISRO-এর গগনযান মহাকাশ যাত্রায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
এই মিশনের জন্য ISRO ব্যয় করছে প্রায় ৫৫০ কোটি।
শুভাংশু শুক্লার এই যাত্রা শুধু ব্যক্তিগত সাফল্য নয়, বরং ভারতের স্বনির্ভর মহাকাশ প্রযুক্তি ও আন্তর্জাতিক সহযোগিতার প্রতীক। গগনযানের প্রস্তুতিতে এই মিশনের অবদান হবে অবিস্মরণীয়।