TMC: রাজ্যে-রাজ্যে উপনির্বাচনে জয় বিরোধীদের, 'অঙ্ক' মেলে না বাংলাতেই! 'সবুজ ট্যাকটিক্স' ধরতে ব্যর্থ বিরোধীরা?

TMC by-election winning streak Bengal: তৃণমূল আমলে অধিকাংশ উপনির্বাচনেই দাঁত ফোটাতে ব্যর্থ হচ্ছেন বিরোধী বিজেপি থেকে শুরু করে বাম, কংগ্রেসের প্রার্থীরা।

TMC by-election winning streak Bengal: তৃণমূল আমলে অধিকাংশ উপনির্বাচনেই দাঁত ফোটাতে ব্যর্থ হচ্ছেন বিরোধী বিজেপি থেকে শুরু করে বাম, কংগ্রেসের প্রার্থীরা।

author-image
Joyprakash Das
New Update
News in West bengal Live: পশ্চিমবঙ্গের খবর

Mamata Banerjee: তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

বাম আমলে ১৯৯৮ সালে রাসবিহারী কেন্দ্র থেকে উপনির্বাচনে জিতে বিধানসভায় গিয়েছিলেন শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। তিনিই তৃণমূলের প্রথম নির্বাচিত বিধায়ক। তৃণমূল আমলে ২০১৪ সালে বিজেপির শমীক ভট্টাচার্য বসিরহাট দক্ষিণ বিধানসভা থেকে উপনির্বাচনে জয় পেয়েছিলেন। তিনি BJP-র প্রথম বিধায়ক এই বাংলায়। এবার যে পাঁচ আসনে উপনির্বাচন হয়েছে সেখানে বামশাসিত কেরলে কংগ্রেস প্রার্থী জয়ী হয়েছেন, বিজেপি শাসনাধীন গুজরাটে একটি কেন্দ্রে জয়ী হয়েছে আম আদমি পার্টির প্রার্থী। কিন্তু এরাজ্যে টানা ১১টি উপনির্বাচনের ১১টিতেই তৃণমূল কংগ্রেসের পতাকা উড়েছে। বিরোধীরা দাঁত ফোটাতে পারেনি। 

Advertisment

২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের পর ১১টি আসনে উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। কোথাও বিধায়ক সাংসদ হয়েছেন, আবার কোথাও সাংসদ বিধায়ক হয়ে বিধানসভায় যাননি, লোকসভার সদস্য থেকে গিয়েছেন। বিধায়কের মৃত্যুর কারণে কয়েকটি আসনে নির্বাচন হয়েছে। বিজেপির জয়ী আসনের উপনির্বাচনেও জয় পেয়েছে তৃণমূল।

এই মুহূর্তে রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল ধরেই নিয়েছে বাংলায় উপনির্বাচনে জয় সম্ভব নয়। সন্ত্রাস, ছাপ্পা সহ ভোট নিয়ে কারচুপির ভুরি ভুরি অভিযোগ রয়েছে বিরোধীদের। যদিও তৃণমূল এই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে। ঘাসফুল শিবির উন্নয়নের কথা বলছে। তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্য, মা মাটি মানুষ তাঁদের পাশে আছে।

Advertisment

আরও পড়ুন- West Bengal News Live Updates: নতুন দল গড়ছেন? নাকি রং বদলাচ্ছেন? রাখঢাক না রেখেই সোজাসাপ্টা উত্তর দিলীপের

সদ্য সমাপ্ত নদিয়ার কালীগঞ্জ উপনির্বাচনে মুসলিম ভোটারদের সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্য নির্বাচনের আগেই জয়ের আশা ছেড়ে দিয়েছিল বিজেপি। ভোট গণনা শুরু হতেই বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী জানিয়ে দেন, বিজেপি পরাজিত হবে। তবে তাঁদের একমাত্র লক্ষ্য ছিল হিন্দু ভোট একত্রিত করা। তবে বিজেপির দাবি, উপনির্বাচনের ফলের ওপর ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচন নির্ভর করে না। সেখানে অন্য লড়াই হবে। 

আরও পড়ুন- Abhijit Gangopadhyay: এখন কেমন আছেন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়? দিল্লি থেকে এল বড় খবর!

২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের পর উপনির্বাচন হয়েছে রায়গঞ্জ, রানাঘাট দক্ষিণ, বাগদা, মাদারিহাট, মানিকতলা, সিতাই, নৈহাটি, হাড়োয়া, মেদিনীপুর, তালডাংরা ও সদ্য কালীগঞ্জে। লোকসভা নির্বাচনে এগিয়ে থাকা আসনেও বিজেপি পরাজিত হয়েছে। রায়গঞ্জ, রানাঘাট দক্ষিণ, বাগদা ও মাদারিহাট বিধানসভা কেন্দ্রেও জয়ী হয়েছে তৃণমূল। তবে যে ব্যবধানে তৃণমূল কংগ্রেস বিজেপিকে পরাজিত করেছে তা স্বাভাবিক মানতে নারাজ বিজেপি। যদিও এর আগে মুর্শিদাবাদের সাগরদিঘি কেন্দ্রে উপনির্বাচনে জোটপ্রার্থী কংগ্রেসের বাইরন বিশ্বাস তৃণমূলকে পরাজিত করে নজির গড়েছিলেন।

আরও পড়ুন- Abhijit-Kalyan: প্রাথমিকে নিয়োগ দুর্নীতির মামলা, প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে তুমুল আক্রমণ কল্যাণের

উপনির্বাচনেও তৃণমূলকে ব্যপক ভোটে হারানো যায় তা দেখিয়েছিল সাঘরদিঘি। তৃণমূল বিধায়ক সুব্রত সাহার মত্যুর পর সেখানে নির্বাচন হয়েছিল। তৃণমূল প্রার্থী মাত্র ৩৪.৯৪ শতাংশ ভোট পেয়েছিলেন। বাম-কংগ্রেস জোটের প্রার্থী বাইরন বিশ্বাস পেয়েছিলেন প্রায়  ৪৭.৩৫ ভোট। কিছুটা আশার আলো দেখতে শুরু করেছিল বিরোধীরা। কিন্তু জয়ের পর বিধানসভায় প্রবেশের আগেই তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেন বাইরন বিশ্বাস। তারপর থেকে উপনির্বাচনে টানা জিতে চলেছে তৃণমূল।

tmc bjp By-Election West Bengal Assembly By Election