Suvendu On Mamata: শ্যামপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের জন্মদিন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে তীব্র আক্রমণ শানিয়েছেন। তিনি বলেন, "তৃণমূল সরকারের আমলে রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থায় বিপর্যয় নেমে এসেছে। ইতিমধ্যেই ৮,২০০টি স্কুল বন্ধ হয়ে গেছে।" শুধু শিক্ষা নয়, শুভেন্দুর অভিযোগ, "পশ্চিমবঙ্গে হিন্দু জনসংখ্যার হার এখন ৬৮ শতাংশে নেমে এসেছে। এটা এক গভীর সামাজিক সংকট।" পাশাপাশি গতকাল এগরা ও কাঁচরাপাড়ায় 'পরিকল্পিত হামলা'র তীব্র নিন্দা জানান রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। শুভেন্দু বলেন, "এই রাজ্যে আইনের শাসন নেই। এখন আর পিছিয়ে থাকার সময় নয়—সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে লড়াই করতে হবে"।
আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে চিকিৎসক তরুণীর গণধর্ষণ ও হত্যার বর্ষপূর্তিতে ৯ আগস্ট 'নবান্ন অভিযান'-এর ডাক রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। শনিবার নির্যাতিতার বাবা-মায়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে তিনি তাঁদের আন্দোলনে শামিল হওয়ারও অনুরোধ জানান। শুভেন্দুর দাবি, নির্যাতিতার পরিবার নবান্ন অভিযানে যোগ দিতে সম্মত হয়েছে।
আরজি করের ঘটনার বর্ষপূর্তিতে এই মিছিল নারী নিরাপত্তা ও সরকারের ব্যর্থতার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ কর্মসূচী বলে জানান শুভেন্দু। তিনি বলেন, "এই আন্দোলনে কোনও রাজনৈতিক পতাকা থাকবে না, শুধুই হবে এক প্রতিবাদ কর্মসূচী"। তিনি অভিযোগ করেন, রাজ্যের শাসক দল ধর্ষকদের রক্ষা করছে, তাই এই সরকারকে বিসর্জন দিতেই হবে।
“৯ আগস্টের র্যালি কেবল আর.জি. কর গণধর্ষণ নয়, কসবা আইন কলেজের ঘটনাকেও ধিক্কার জানাবে,” মন্তব্য শুভেন্দুর। বিরোধী দলনেতার অভিযোগ, “আর.জি. কর ও কসবা — দুই ক্ষেত্রেই অভিযুক্তদের সঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসের ঘনিষ্ঠ যোগসূত্র রয়েছে। সরকার ও প্রশাসনের একাংশ দোষীদের আড়াল করার চেষ্টা করছে।” শুভেন্দু অধিকারী দাবি করেন, “আইনের শাসনকে রক্ষা করতে এবং রাজ্যের নারীদের জন্য নিরাপদ পরিবেশ গড়ে তুলতে এই লড়াই জরুরি। ৯ আগস্ট আমাদের প্রতিবাদের দিন, যেখানে দল নয়, জনগণের কণ্ঠস্বর মুখ্য হবে।” শুভেন্দু বলেন, “এই র্যালি রাজনীতি নিরপেক্ষ হবে। কোনও দলীয় পতাকা থাকবে না। আমি সমাজের সর্বস্তরের মানুষকে আহ্বান জানাচ্ছি, এই ন্যায়ের লড়াইয়ে শামিল হতে।”
উল্লেখ্য, আরজি কর গণধর্ষণ ও হত্যা মামলায় কলকাতা পুলিশের সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রায়কে দোষী সাব্যস্ত করেন আদালত। তাকে আজীবন কারাদণ্ড দেওয়া হলেও নির্যাতিতার পরিবার এখনও তদন্তে সন্তুষ্ট নয়। তাঁরা CBI তদন্তে অসঙ্গতি অভিযোগ করে কলকাতা হাইকোর্টে আবেদন জানিয়েছেন এবং অপরাধস্থল পরিদর্শনের অনুমতি চেয়েছেন।