/indian-express-bangla/media/media_files/2025/08/20/arrest-2025-08-20-13-46-44.jpg)
E-bike spare parts scam: প্রতারণা চক্রের মূল চক্রী গ্রেফতার।
ন্যাশনাল সাইবার ক্রাইম রিপোর্টিং পোর্টাল-এ সিঙ্গুর রেড জোন দেখে চমকে উঠেছিলেন হুগলি গ্রামীণ পুলিশ জেলার সাইবার আধিকারিকরা। ক্রমাগত নজরদারিতে দেখা যায় অধিকাংশ অভিযোগ অনলাইনে লিপিবদ্ধ হয়েছে ই বাইকের যন্ত্রাংশ সংক্রান্ত ব্যাপারে।
অচেনা নম্বর থেকে ফোন ও এসএমএস করে “ই-বাইকের যন্ত্রাংশ কিনবেন?”—এই প্রলোভন দেখিয়ে সাধারণ মানুষকে বিভিন্ন সময় প্রতারণা করা হচ্ছিল। এবং প্রতারিতরা অনলাইনে অভিযোগ করছিলেন। তদন্তে নামে হুগলি গ্রামীণ পুলিশের সাইবার দফতর।
তদন্তে উঠে আসে, এই প্রতারণা চক্রের মাথা হচ্ছে অরিক ভট্টাচার্য। তার বাড়ি, তারকেশ্বর থানার অন্তর্গত তালপুরে। পুলিশের অনুমান অরিক ও তাঁর সাঙ্গোপাঙ্গ সাধারণ মানুষকে বিভ্রান্ত করে হাতিয়ে নেয় কয়েক লক্ষ টাকা । এমনকি তার ব্যবহৃত মোবাইল নম্বরের বিরুদ্ধে জাতীয় সাইবার পোর্টালে জমা পড়েছে অন্তত ১১টি অভিযোগ।
আরও পড়ুন- West Bengal News Live Updates: রাজ্যপাল দিলেন অনুমতি, আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ রাজ্যের মন্ত্রীকে
সাইবার ইন্সপেক্টর কৌশিক সরকার জানিয়েছেন, বছর তেইশ এর যুবক অরিক ডানকুনি এলাকায় কোনো একটি বাইকের দোকানে যন্ত্রাংশ বিক্রি র দোকানে কাজ করতো। সেখানে কাজ করার ফলে দ্বিচক্র যানের দাম দর সব নখদর্পনে ছিল।
আরও পড়ুন-Helicopter service :পুজোর আগে বাম্পার সুখবর! নামমাত্র ভাড়ায় জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্রে যেতে চালু হেলিকপ্টার পরিষেবা
অরিক জানতো বর্তমান বাজারে ইলেকট্রিক বাইক ও স্কুটারের ভালো চাহিদা। কিন্তু এইসমস্ত যানের যন্ত্রাংশ চট করে খোলা বাজারে পাওয়া যায়না। তাই ফন্দি এঁটে রীতিমতো সমাজ মাধ্যমে বিজ্ঞাপন দিয়ে সে শিকার ধরতো। এমনকি ওয়াটস্যাপ এ বিল পাঠিয়ে এডভান্স নিয়ে নিতো কিন্তু গ্রাহক আর মাল পেতেন না।
ন্যাশনাল সাইবার ক্রাইম রিপোর্টিং পোর্টাল-এ একাধিক অভিযোগ আসার পর হুগলি গ্রামীণ জেলার সাইবার ক্রাইম থানায় রুজু হলো মামলা নং – ১৭/২৫ (ধারা ৬১(২)/৩১৯(২)/৩১৮(৪)/৩১৬(২) BNS অনুযায়ী)। স্বতঃপ্রণোদিত অভিযোগ দায়ের করেন সাব-ইন্সপেক্টর মৌ হীরা। মামলার তদন্তভার পান এএসআই চিরঞ্জিত বাগুই।
আরও পড়ুন-Rekha Gupta: মুখ্যমন্ত্রীর উপর হামলা, অমিত শাহকে নিশানা করে ভয়ঙ্কর আক্রমণ কংগ্রেসের
হুগলী গ্রামীণ জেলার সাইবার ক্রাইম থানার তৎপরতায় অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বর্তমানে সে ৫ দিনের পুলিশ হেফাজতে রয়েছে। এই প্রতারণার সাথে আরও কারা জড়িত আছে সে বিষয়ে খোঁজখবর নিতে শুরু করেছেন তদন্তকারীরা।
জেলা পুলিশের তরফে সাধারণ মানুষকে সতর্ক করে জানানো হয়েছে—অপরিচিত ফোনকল বা এসএমএস-এর প্রলোভনে পা না দিতে এবং কোনও প্রতারণার ঘটনা ঘটলে দ্রুত থানায় বা জাতীয় সাইবার পোর্টালে অভিযোগ জানাতে।