/indian-express-bangla/media/media_files/2025/10/30/clip-2025-10-30-17-57-30.jpg)
Malda News: ভাইরাল হওয়া ভিডিও থেকে নেওয়া ছবি।
বিষধর সাপের কামড়ে অসুস্থ রোগী, তড়িঘড়ি ভর্তি হতে যান। চাঁচল মহকুমার হরিশ্চন্দ্রপুর সরকারি হাসপাতালে। কিন্তু হাসপাতালে বেড না পেয়ে হাতে স্যালাইন নিয়েই সেই রোগী নিজের চার চাকার গাড়িতেই ঘন্টার পর ঘন্টা শুয়ে থাকলেন। আর এমন ভিডিও (যদিও এই ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা) ওই রোগীর এক আত্মীয় সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল করতে রীতিমতো শোরগোল পড়ে গিয়েছে মালদায়।
শুধু তাই নয় সাপে কাটা ওই রোগীর এক ভাই নিজের ফেসবুক পেজে লাইভ করে সরকারি হাসপাতালের অব্যবস্থার বিষয়টি নিয়েও রীতিমতো আক্রমণ করেছেন। উল্লেখ্য, হরিশ্চন্দ্রপুর কেন্দ্রটি হচ্ছে রাজ্যের সংখ্যালঘু উন্নয়ন দপ্তরের রাষ্ট্রমন্ত্রী তাজমুল হোসেনের। তিনি সেখানকার বিধায়ক। আর মন্ত্রীর গড়ে সরকারি হাসপাতালের এমন বেহাল চেহারার সামনে আসতেই রীতিমতো সমালোচনা ঝড় উঠেছে বিভিন্ন মহলে।
আরও পড়ুন- Birbhum News:“বাংলাদেশে ফেরত যেতে হবে?”, এবার SIR নিয়ে ভয়ে আত্মঘাতী বৃদ্ধ
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, হরিশ্চন্দ্রপুর ১ ব্লকের সোনাকুল এলাকায় এক যুবককে বুধবার বিষধর সাপে কাটে। সাথে সাথে তার দাদা আইনজীবী ওয়াসিম আক্রম ব্যক্তিগত গাড়িতে করে তাঁকে হরিশ্চন্দ্রপুর গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে আসে। প্রথমে জরুরি বিভাগে প্রাথমিক চিকিৎসা হয়। তারপর বলা হয় তাকে কয়েক ঘণ্টা পর্যবেক্ষণে রাখা হবে। স্যালাইন চালিয়ে দিয়ে বলা হয় বসতে।কিন্তু কোন বেড মেলে না। এমনকী ছিল না বসার জায়গা। হাসপাতালের চারিদিকে ছিল ছাগল-কুকুর ঘুরছিল বলে অভিযোগ। সেই পরিস্থিতিতে বাধ্য হয়ে রোগীকে নিয়ে তার দাদা ওয়াসিম আকরাম স্যালাইন চালানো অবস্থাতে নিজের ব্যক্তিগত গাড়িতে নিয়ে আসে।
তারপর সামাজিক মাধ্যমে লাইভ করেন। সেখানে তিনি হাসপাতালের চূড়ান্ত অব্যবস্থার কথা তুলে ধরে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন। এলাকার বিধায়ক তথা রাজ্যের প্রতিমন্ত্রী তাজমুল হোসেনকে তীব্র আক্রমণ করেন। তাজমুল হোসেন আবার এই হাসপাতালের রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এবং প্রশাসনিক আধিকারিকদেরকেও নিশানা করেন। এই ওয়াসিম আক্রম একজন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী। তার ফেসবুক লাইভ দ্রুত গতিতে ভাইরাল হয়ে পড়ে। এছাড়াও তিনি জেলা স্বাস্থ্য আধিকারিকের কাছে অভিযোগ দায়ের করেছেন।
আরও পড়ুন-TMC:“দোষী যেই হোক রেহাই নেই”! ধর্ষণ মামলায় অভিযুক্ত কাউন্সিলরকে বহিষ্কার করল তৃণমূল
আইনজীবী ওয়াসিম আক্রমের অভিযোগ, "সাপে কাটার পর ভাইকে হাসপাতাল নিয়ে এসেছিলাম। চিকিৎসক দেখেননি। স্বাস্থ্যকর্মীরা একটা স্যালাইন দিয়ে আমাদের বসতে বলে। বেড ছিল না বলে আমরা কোথায় বসবো সেটাও জানানো হয়নি। অবশেষে আমার ব্যক্তিগত চার চাকার গাড়িতে ভাইকে নিয়ে এসে বসায় এবং স্যালাইনটা সামনে ঝুলিয়ে রাখি। এই হচ্ছে আজকের সরকারি হাসপাতালে পরিস্থিতি। এভাবে সাধারণ মানুষকে ভুগতে হচ্ছে। বাধ্য হয়ে এদিন স্বাস্থ্য ব্যবস্থার প্রতি অসন্তোষ প্রকাশ করেই নিজের ফেসবুক পেজে লাইভ করে বিষয়টি ভাইরাল করেছি।"
এই ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট এলাকার একাংশ বাসিন্দাদের অভিযোগ, হরিশ্চন্দ্রপুর গ্রামীণ হাসপাতালের বেহাল দশা এর আগেও সামনে এসেছে। সীমানা প্রাচীরবিহীন হাসপাতালে ঘুরে বেড়ায় গরু-ছাগল। চারিদিকে আবর্জনা। যদিও এত কিছুর পরেও টনক নড়েনি প্রশাসন বা মন্ত্রী।
আরও পড়ুন- Bank holidays:নভেম্বরেও ছুটির পর ছুটি! ক'দিন বন্ধ থাকবে ব্যাংক? ভোগান্তি এড়াতে আগেভাগে জানুন
হরিশ্চন্দ্রপুরের বিধায়ক তথা রাজ্যের সংখ্যালঘু উন্নয়ন দপ্তরের রাষ্ট্রমন্ত্রী তাজমুল হোসেন বলেন, রাজ্য সরকার যেভাবে চিকিৎসা ব্যবস্থায় ঢালাও উন্নয়ন এনে দিয়েছে তা সাধারণ মানুষ দেখছে। চিকিৎসা পরিষেবার ক্ষেত্রে কোথাও কোনও ত্রুটি নেই। কিন্তু কিছু পাগল মানুষ এভাবেই বিভ্রান্তি ছড়িয়ে প্রশাসনকে দুর্নাম করতে চাইছে। এরকম কোন ঘটনায় ঘটে নি, এসবই বানানো।
মালদার মুখ্য স্বাস্থ্য অধিকারিক ডাঃ সুদীপ্ত ভাদুড়ি জানিয়েছেন, কী ঘটনা ঘটেছে তা তাঁর জানা নেই। অভিযোগের পরিপ্রক্ষিতে বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখা হবে।
/indian-express-bangla/media/agency_attachments/2024-07-23t122310686z-short.webp)
Follow Us