/indian-express-bangla/media/media_files/2025/10/25/farming-2025-10-25-11-49-21.jpg)
indigo farming: প্রতীকী ছবি।
indigo cultivation:দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার বারুইপুর অঞ্চলের ইতিহাসে নীল চাষের প্রভাব বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। ব্রিটিশ শাসনামলের সময়, বারুইপুরে নীল বা ইন্ডিগো চাষ একটি গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক কার্যক্রম হিসেবে গড়ে উঠেছিল। নীল চাষ তখনকার সময়ে শুধু কৃষকদের আয়ের উৎসই ছিল না, বরং ব্রিটিশ প্রশাসনের কর ও রপ্তানির জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হিসেবে গণ্য হতো।
বিভিন্ন প্রতিবেদন সূত্রে জানা গেছে, ১৮ শতকের শেষের দিকে এবং ১৯ শতকের শুরুতে বারুইপুর-সহ দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিভিন্ন অঞ্চলে নীল চাষ অত্যন্ত প্রসিদ্ধ ছিল।
সেই সময়ে চাষিদের একটি বড় অংশ নীল উৎপাদনের সঙ্গে যুক্ত থাকতেন। ব্রিটিশ শাসকরা এই অঞ্চলের মাটি ও জলবায়ুকে উপযুক্ত মনে করে নীল চাষকে উৎসাহিত করতেন। ফলস্বরূপ, বারুইপুরে অসংখ্য নীল ক্ষেত তৈরি হতো এবং সেখানে শ্রমিক ও কৃষকরা কঠোর পরিশ্রম করতেন।
নীল চাষের ইতিহাসের সঙ্গে যুক্ত একটি দুঃস্মৃতিও রয়েছে। স্থানীয় কৃষকরা অনেক সময় ব্রিটিশ মালিকদের দ্বারা শোষিত হতেন এবং ন্যায্য মজুরি না পেয়ে কষ্টে পড়তেন। এমনকি ১৮৫৯ সালের ‘নীল বিদ্রোহ’ বা Indigo Rebellion-এর প্রেক্ষাপটেও বারুইপুরের কৃষকরা অংশগ্রহণ করেছিলেন। ওই সময় চাষিদের দাবি ছিল ন্যায্য মজুরি, জমি ও অধিকার রক্ষা।
আরও পড়ুন- দক্ষিণবঙ্গে ফিরছে বৃষ্টি, ঘূর্ণিঝড়ের আশঙ্কা জোরদার
তারপরেও, ব্রিটিশ আমলে বারুইপুরের নীল চাষ অর্থনীতিকে একটি নতুন মাত্রা দিয়েছিল। রপ্তানির মাধ্যমে ব্রিটিশ ইন্ডিয়ার আয় বৃদ্ধি পেত এবং বারুইপুরকে একটি গুরুত্বপূর্ণ নীল চাষকেন্দ্র হিসেবে চিহ্নিত করা হতো। আজও এই ইতিহাস স্থানীয়দের মধ্যে ঐতিহ্যবোধ ও গ্রামের ইতিহাস বোঝার গুরুত্বপূর্ণ অংশ হিসেবে রয়ে গেছে।
আরও পড়ুন- মাত্র ৬ ঘণ্টায় কলকাতা to বারাণসী! ৬২০ কিমি এক্সপ্রেসওয়ে, ৩৫ হাজার কোটি টাকার প্রকল্প
নীল চাষের সেই সময়ের স্মৃতি এখনো বারুইপুরের বয়স্কদের গল্প ও ইতিহাসচর্চার মাধ্যমে নতুন প্রজন্মের কাছে পৌঁছেছে। এভাবে, ব্রিটিশ আমলের বারুইপুরের নীল চাষ শুধু অর্থনৈতিক ইতিহাস নয়, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক ইতিহাসের অংশ হিসেবেও গুরুত্বপূর্ণ।
/indian-express-bangla/media/agency_attachments/2024-07-23t122310686z-short.webp)
Follow Us