/indian-express-bangla/media/media_files/2025/01/28/8WRNyb9UPlxJDZfTOnCn.jpg)
Struggle Story: লক্ষ্যে এগনোর পাশাপাশি ফি দিন বাবা-মাকে এভাবেই সাহায্য করে চলেছেন তরুণী।
Law student manages her tea shop to help her parents: সোশ্যাল মিডিয়ায় চোখ রাখলেই 'গ্র্যাজুয়েট চাওয়ালা', 'এমএ পাস ফুচকাওয়ালা' কিংবা 'বিকম পাস ঘুগনিওয়ালা' নামের আড়ালে একঝাঁক প্রবল উদ্যমী তরুণ-তরুণীর খোঁজ মেলে। এবার তেমনই একটি ঘটনার খবর মিলল পূর্ব মেদিনীপুরের তমলুকে। নিজের লক্ষ্যে এগিয়ে চলার পাশাপাশি বাবা-মার কষ্ট কিছুটা লাঘব করতে তাঁদের চা-পকোড়ার দোকান সামলাচ্ছেন আইনের ছাত্রী।
তমলুকের আইনের ছাত্রী অর্পিতা মাইতি। ছোটবেলা থেকেই পড়াশোনায় মেধাবী ছিলেন তিনি। স্বপ্ন ছিল আইনজীবী হওয়ার। তমলুক শহরের স্বনামধন্য রাজকুমারী স্বান্তনাময়ী স্কুল থেকে ৭৫ শতাংশ নম্বার পেয়ে উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করেছেন অর্পিতা। উচ্চমাধ্যমিক পাশ করার পরেই নিজের স্বপ্নের কথা বাবা-মাকে বলেন তিনি। কিন্তু নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারে আইনের পড়াশোনার চালিয়ে যাওয়ার খরচ অনেকটাই। পরিবারে আয় বলতে চা-পকোড়ার ছোট্ট দোকান। তবুও অর্পিতার আইনজীবী হওয়ার স্বপ্নে বাধা পড়তে দেননি তাঁর বাবা-মা।
ল' কলেজ ভর্তি হন অর্পিতা। এরপর শুরু হয় আসল লড়াই। পড়াশোনার খরচ চালিয়ে যেতে দরকার টাকার। নিজেদের ছোট্ট দোকানে বাবা-মাকে উদয়াস্ত পরিশ্রম করতে দেখেছেন তিনি। ছোট্ট দোকানের আয়েই অর্পিতার লেখাপড়ার খরচ চালান বাবা-মা। তাঁদের কষ্ট কিছুটা লাঘব করতে দোকানে বসছেন অর্পিতা নিজেও। প্রতিদিন সকাল আটটায় ট্রেনে করে কলেজে যান তরুণী। আবার বিকেল চারটেয় ফিরে এসে তমলুকের রূপনারায়ন নদীর পাড়ে চা-পাকোড়ার দোকান সাজিয়ে বাবা-মায়ের সঙ্গে বসে পড়েন। রাতে দোকান গুছিয়ে তবে বাড়ি ফেরা।
এভাবেই একদিকে যেমন নিজের স্বপ্ন পূরণের লক্ষ্যে এগোচ্ছেন তিনি, তেমনই বাবা-মার সঙ্গে মিলে দোকানও সামলাচ্ছেন নিত্যদিন। বর্তমানে রাজ্য সরকারের 'স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড' থেকে প্রায় ২ লক্ষ টাকার বেশি ব্যাঙ্ক লোন নিয়েছেন অর্পিতা। সেই টাকাও পড়াশোনার খরচেই লেগেছে। এবার পড়াশোনা চালানোর পাশাপাশি মাথার উপর ব্যাঙ্ক লোনের বোঝাও নেমেছে।
আরও পড়ুন- South 24 Parganas News: স্ত্রীর পরকীয়া সম্পর্কের মাশুল দিলেন স্বামী? নৃশংস খুনে জোরালো সেই তত্ত্বই
তবে চোয়াল শক্ত রয়েছে অর্পিতার। জীবন-যুদ্ধে জয় ছিনিয়ে নিতে চেষ্টায় খামতি রাখছেন না এই তরুণী। অর্পিতার মা তপতী মাইতির কথায়, "মেয়ের এই সহযোগিতা পেয়ে আমরা তো খুব খুশি। কিন্তু ওকে পড়াশোনার জন্য প্রয়োজনীয় সাহায্য করতে পারি না। তাই কষ্ট হয়। ও যা কষ্ট আজ করছে, ঈশ্বর করুন যেন ও সফল হয়।"
আরও পড়ুন- RG Kar Updates: ববি-কুণালের পর কল্যাণ-মদন-সৌগত! নির্যাতিতার পরিবারকে কী বার্তা শাসকের নেতাদের?