Medicines:প্যাকেট খুললেই গুঁড়ো হয়ে যাচ্ছে, রাসায়নিক মানও ঠিক নেই, ৩৪ রকম ওষুধ তুলে নেওয়ার নির্দেশ

Substandard Medicines:কেন্দ্রীয় ড্রাগ কন্ট্রোল জানিয়েছে, ৩৪ রকম ওষুধ নিম্নমানের। অ্যান্টিবায়োটিক, গ্যাস্ট্রিক ওষুধ, ভিটামিন ট্যাবলেট, প্রেসার ও প্রসূতি ইনজেকশন সহ এই ব্যাচগুলো বাজার থেকে অবিলম্বে প্রত্যাহার করার নির্দেশ।

Substandard Medicines:কেন্দ্রীয় ড্রাগ কন্ট্রোল জানিয়েছে, ৩৪ রকম ওষুধ নিম্নমানের। অ্যান্টিবায়োটিক, গ্যাস্ট্রিক ওষুধ, ভিটামিন ট্যাবলেট, প্রেসার ও প্রসূতি ইনজেকশন সহ এই ব্যাচগুলো বাজার থেকে অবিলম্বে প্রত্যাহার করার নির্দেশ।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
substandard medicines, 34 batches recall, antibiotics, gastric medicines, vitamin tablets, blood pressure medicines, maternity injections, chemical content test, drug control authority, medicine withdrawal,নিম্নমানের ওষুধ, ৩৪ ব্যাচ প্রত্যাহার, অ্যান্টিবায়োটিক, গ্যাস্ট্রিক ওষুধ, ভিটামিন ট্যাবলেট, প্রেসারের ওষুধ, প্রসূতি ইনজেকশন, রাসায়নিক মান পরীক্ষা, ড্রাগ কন্ট্রোল, বাজার থেকে ওষুধ প্রত্যাহার

প্রতীকী ছবি।

কেন্দ্রীয় ড্রাগ কন্ট্রোল সংস্থা সম্প্রতি পুনরায় একাধিক গুরুত্বপূর্ণ ওষুধের গুণগত মান পরীক্ষা করেছে এবং ৩৪ রকম ওষুধকে নিম্নমানের হিসেবে চিহ্নিত করেছে। পরীক্ষার রিপোর্টে দেখা গেছে, উল্লেখিত ওষুধগুলোর রাসায়নিক উপাদানের পরিমাণ সঠিক নয় এবং অনেক ক্ষেত্রে প্যাকেট খোলার পর ওষুধগুলি গুঁড়ো হয়ে যাচ্ছে। এর ফলে রোগীরা বড় ধরনের স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে পড়তে পারেন।

Advertisment

কেন্দ্রীয় সংস্থা জানিয়েছে, এই ৩৪টি ওষুধের সমস্ত ব্যাচ নম্বরকে বাজার থেকে প্রত্যাহার করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। রাজ্য ড্রাগ কন্ট্রোল অফিসও এই নির্দেশ জারি করেছে এবং সংশ্লিষ্ট ওষুধ প্রস্তুতকারক কোম্পানিগুলোকে অবিলম্বে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে প্রতিটি ফেল করা ব্যাচের নম্বর বিস্তারিতভাবে উল্লেখ করা হয়েছে, যাতে দোকানদার এবং ফার্মেসিগুলো দ্রুত সেগুলি বাজার থেকে সরাতে পারে।

আরও পড়ুন- West Bengal News Live Updates: গণধর্ষণ নয়, ধর্ষণ করেছে একজনই, দুর্গাপুরকাণ্ডে গোপন জবানবন্দি নির্যাতিতার

Advertisment

নিম্নমানের ওষুধের তালিকায় রয়েছে অ্যান্টিবায়োটিক, গ্যাস্ট্রিকের ওষুধ, ভিটামিন ট্যাবলেট, প্রেসারের ওষুধ, এবং প্রসূতিদের জন্য প্রয়োজনীয় ইনজেকশন। এই ওষুধগুলো সাধারণত রোগীর স্বাভাবিক চিকিৎসা ও স্বাস্থ্য রক্ষার জন্য ব্যবহৃত হয়। কিন্তু রাসায়নিকের পরিমাণ সঠিক না থাকায় রোগীরা যথাযথ সেবা পাননি বা প্রতিকূল প্রভাবের সম্মুখীন হতে পারেন।

আরও পড়ুন-Kolkata Metro:হঠাৎ বন্ধ মেট্রো পরিষেবা, কাজের দিনে যাত্রীদের ভোগান্তি চরমে

প্রথমবারের মতো নয়, এই ধরনের পর্যালোচনা ওষুধের বাজারে নিয়মিত করা হয়। কিন্তু এবার দেখা গেছে, ফেল হওয়া ওষুধগুলো ভারতের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে এসেছে। অধিকাংশ ওষুধ গুজরাত, মধ্যপ্রদেশ, উত্তরাখণ্ড এবং হিমাচল প্রদেশের তৈরি। পরীক্ষায় প্রমাণিত হয়েছে যে অনেক ওষুধের মান নিয়ন্ত্রণ যথাযথভাবে করা হয়নি।

ড্রাগ কন্ট্রোল কর্তৃপক্ষ সকল ফার্মেসি, হাসপাতাল এবং চিকিৎসা সংস্থাকে সতর্ক করেছে যে, এই ব্যাচ নম্বরের ওষুধ ব্যবহার করা যাবে না। যারা ইতিমধ্যেই এসব ওষুধ কিনেছেন, তাদেরকে প্যাকেজ সহ দোকানে ফেরত দেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। সংস্থার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এটি শুধুমাত্র রোগীর স্বাস্থ্য রক্ষা করার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ।

আরও পড়ুন-Blood Bank:স্বনামধন্য হাসপাতালের ব্লাড ব্যাংকে শূন্য রক্তের ভান্ডার, রোগীর পরিবার হন্যে হয়ে ডোনার খুঁজছে

অ্যাডভান্সড পরীক্ষায় দেখা গেছে, অনেক ওষুধ খুললে দ্রুত গুঁড়ো হয়ে যাচ্ছে। বিশেষ করে ভিটামিন ট্যাবলেট ও গ্যাস্ট্রিকের ওষুধগুলোর ক্ষেত্রে এটি স্পষ্ট হয়েছে। ড্রাগ কন্ট্রোলের মতে, এটি সরাসরি রোগীর স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে ফেলতে পারে। তাই বাজারে থাকা এই ব্যাচের সব ওষুধ অবিলম্বে সরিয়ে ফেলার নির্দেশ জারি করা হয়েছে।

এই ধরণের ঘটনা সচেতন করে যে, রোগী ও চিকিৎসক উভয়কেই ওষুধের মান এবং উৎস সম্পর্কে সতর্ক থাকা উচিত। রোগীদের স্বাস্থ্যের প্রতি যত্নবান হওয়ার পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট সংস্থা ও চিকিৎসকদের নিয়মিত পরীক্ষা ও তদারকি চালিয়ে যেতে হবে।

Bengali News Today medicine Substandard Medicines