/indian-express-bangla/media/media_files/yqtJVMb6Jn6sicDNt5Xu.jpg)
প্রতীকী ছবি।
কেন্দ্রীয় ড্রাগ কন্ট্রোল সংস্থা সম্প্রতি পুনরায় একাধিক গুরুত্বপূর্ণ ওষুধের গুণগত মান পরীক্ষা করেছে এবং ৩৪ রকম ওষুধকে নিম্নমানের হিসেবে চিহ্নিত করেছে। পরীক্ষার রিপোর্টে দেখা গেছে, উল্লেখিত ওষুধগুলোর রাসায়নিক উপাদানের পরিমাণ সঠিক নয় এবং অনেক ক্ষেত্রে প্যাকেট খোলার পর ওষুধগুলি গুঁড়ো হয়ে যাচ্ছে। এর ফলে রোগীরা বড় ধরনের স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে পড়তে পারেন।
কেন্দ্রীয় সংস্থা জানিয়েছে, এই ৩৪টি ওষুধের সমস্ত ব্যাচ নম্বরকে বাজার থেকে প্রত্যাহার করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। রাজ্য ড্রাগ কন্ট্রোল অফিসও এই নির্দেশ জারি করেছে এবং সংশ্লিষ্ট ওষুধ প্রস্তুতকারক কোম্পানিগুলোকে অবিলম্বে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে প্রতিটি ফেল করা ব্যাচের নম্বর বিস্তারিতভাবে উল্লেখ করা হয়েছে, যাতে দোকানদার এবং ফার্মেসিগুলো দ্রুত সেগুলি বাজার থেকে সরাতে পারে।
নিম্নমানের ওষুধের তালিকায় রয়েছে অ্যান্টিবায়োটিক, গ্যাস্ট্রিকের ওষুধ, ভিটামিন ট্যাবলেট, প্রেসারের ওষুধ, এবং প্রসূতিদের জন্য প্রয়োজনীয় ইনজেকশন। এই ওষুধগুলো সাধারণত রোগীর স্বাভাবিক চিকিৎসা ও স্বাস্থ্য রক্ষার জন্য ব্যবহৃত হয়। কিন্তু রাসায়নিকের পরিমাণ সঠিক না থাকায় রোগীরা যথাযথ সেবা পাননি বা প্রতিকূল প্রভাবের সম্মুখীন হতে পারেন।
আরও পড়ুন-Kolkata Metro:হঠাৎ বন্ধ মেট্রো পরিষেবা, কাজের দিনে যাত্রীদের ভোগান্তি চরমে
প্রথমবারের মতো নয়, এই ধরনের পর্যালোচনা ওষুধের বাজারে নিয়মিত করা হয়। কিন্তু এবার দেখা গেছে, ফেল হওয়া ওষুধগুলো ভারতের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে এসেছে। অধিকাংশ ওষুধ গুজরাত, মধ্যপ্রদেশ, উত্তরাখণ্ড এবং হিমাচল প্রদেশের তৈরি। পরীক্ষায় প্রমাণিত হয়েছে যে অনেক ওষুধের মান নিয়ন্ত্রণ যথাযথভাবে করা হয়নি।
ড্রাগ কন্ট্রোল কর্তৃপক্ষ সকল ফার্মেসি, হাসপাতাল এবং চিকিৎসা সংস্থাকে সতর্ক করেছে যে, এই ব্যাচ নম্বরের ওষুধ ব্যবহার করা যাবে না। যারা ইতিমধ্যেই এসব ওষুধ কিনেছেন, তাদেরকে প্যাকেজ সহ দোকানে ফেরত দেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। সংস্থার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এটি শুধুমাত্র রোগীর স্বাস্থ্য রক্ষা করার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ।
অ্যাডভান্সড পরীক্ষায় দেখা গেছে, অনেক ওষুধ খুললে দ্রুত গুঁড়ো হয়ে যাচ্ছে। বিশেষ করে ভিটামিন ট্যাবলেট ও গ্যাস্ট্রিকের ওষুধগুলোর ক্ষেত্রে এটি স্পষ্ট হয়েছে। ড্রাগ কন্ট্রোলের মতে, এটি সরাসরি রোগীর স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে ফেলতে পারে। তাই বাজারে থাকা এই ব্যাচের সব ওষুধ অবিলম্বে সরিয়ে ফেলার নির্দেশ জারি করা হয়েছে।
এই ধরণের ঘটনা সচেতন করে যে, রোগী ও চিকিৎসক উভয়কেই ওষুধের মান এবং উৎস সম্পর্কে সতর্ক থাকা উচিত। রোগীদের স্বাস্থ্যের প্রতি যত্নবান হওয়ার পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট সংস্থা ও চিকিৎসকদের নিয়মিত পরীক্ষা ও তদারকি চালিয়ে যেতে হবে।