Sukanta Majumder On Digha Jagannath Temple: দিঘায় এখন সাজো সাজো রব! হাতে গোণা আর মাত্র কয়েকটা দিন। অক্ষয় তৃতীয়ার পুণ্য দিনে রাজ্যের সৈকতনগরী দিঘায় জগন্নাথ দেবের মন্দিরের উদ্বোধন। তার আগে চলছে একেবারে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি। এর মাঝেই দীঘায় জগন্নাথ মন্দির নির্মাণ নিয়ে মমতাকে নিশানা রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের।
"রাজনীতির জন্যই মন্দির তৈরি করেছেন মমতা। সরকারের কাজ তো মন্দির তৈরি নয় বা মসজিদ বা গীর্জা তৈরি নয়। সরকারের কাজ রাস্তা তৈরি করা, হাসপাতাল তৈরি করা। অযোধ্যায় যে এত বড় রামমন্দির নির্মাণ হয়েছে তাতে কেন্দ্রীয় সরকার কি টাকা দিয়েছে? সাধারণ মানুষের টাকায় হয়েছে। যদি দীঘাতে জগন্নাথ মন্দির তৈরি করতেই হত মুখ্যমন্ত্রী আমাদের ওনার প্ল্যানটা বলতেন আমরা লোকের বাড়ি বাড়ি যেতাম। সকলে ৫টাকা করে দিলে মন্দির নির্মাণ হয়ে যেত। আসলে প্রভু জগন্নাথের কাঁধে ভার দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী ভোট বৈতরণী পার করার চেষ্টা করছেন। কিন্তু এভাবে হবে না"। দীঘায় জগন্নাথ মন্দিরের আগে এভাবেই মুখ্যমন্ত্রীকে নিশানা রাজ্য বিজেপি সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদারের।
উদ্বোধনের আগেই তুমুল বিতর্ক, দীঘায় জগন্নাথ মন্দির নিয়ে 'বোমা' ফাটিয়ে রাজ্যে তোলপাড় ফেলে দিয়েছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। বিরাট অভিযোগে তোলপাড় রাজ্য। অক্ষয় তৃতীয়ার পুণ্য দিনে রাজ্যের সৈকতনগরী দিঘায় জগন্নাথ দেবের মন্দিরের উদ্বোধন। দিঘায় এখন সাজো সাজো রব। এর মাঝেই রাজ্য সরকারকে বেনজির আক্রমণ করেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
রবিবার সাংবাদিক সম্মেলনে ফের একবার সরকারি টাকায় মন্দির নির্মাণ নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে নিশানা করেন শুভেন্দু অধিকারী। বিরোধী দলনেতা বলেন,"সরকারি টাকায় মন্দির নির্মাণ করা যায় না। অফিসিয়ালি সকল নথিতে লেখা কালচারাল সেন্টার। আমন্ত্রণ পত্রে লেখা হয়েছে জগন্নাথ ধাম। প্রভু জগন্নাথও বিষয়টাকে ভালভাবে নিচ্ছেন না। তৃণমূল চাইলেও দীঘায় পুরী ধামের বিকল্প করতে পারবে না। একই সঙ্গে হুঙ্কার ছুঁড়ে শুভেন্দু বলেন, "পুরীর মন্দিরে সতাতনী ছাড়া কারুর প্রবেশ নিষিদ্ধ। বুধবার যদি হিন্দু ছাড়া অন্য কেউ জগন্নাথ মন্দিরে ঢোকে, আমি তার ছবি মার্ক করে আমি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছাড়ব"।
আজ রবিবার, ফের একবার দীঘার জগন্নাথ মন্দিরকে নিয়ে রাজ্যকে খোঁচা দিতে ছাড়েননি বিরোধী দলনেতা। তিনি অভিযোগ করেন রাজ্যের তরফে পাঠানো আমন্ত্রণ পত্রে স্রেফ 'জগন্নাথ ধামে'র উল্লেখ রয়েছে। শুভেন্দু রাজ্যের কাছে 'জগন্নাথ ধাম মন্দির' লিখে আমন্ত্রণ পাঠানোর চ্যালেঞ্জও ছুঁড়েছেন।
এর আগে মমতাকে নিশানা করে শুভেন্দু বলেন, ‘জগন্নাথ ধাম সংস্কৃতি চর্চা কেন্দ্র তৈরি করতে যত খরচ হয়েছে, উদ্বোধন অনুষ্ঠানে ঠিক তত টাকাই খরচ করা হচ্ছে এবং উদ্বোধন অনুষ্ঠানের জন্য যাঁকে দরপত্র দেওয়া হয়েছে, তিনি মুখ্যমন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ বলেও দাবি শুভেন্দুর। ১৯ তারিখ দরপত্র খোলার আগেই উদ্বোধনের যাবতীয় প্রস্তুতি শুরু হয়েছে বলেও অভিযোগ বিরোধী দলনেতার। এদিকে দীঘায় জগন্নাথ মন্দির উদ্বোধনের হাতে গোণা মাত্র কয়েকটা দিন আগে যেভাবে বঙ্গ বিজেপির নেতারা রাজ্য সরকারকে আক্রমণ করতে শুরু করেছে তাতে স্বভাবতই অস্বস্তিতে শাসক শিবির।