/indian-express-bangla/media/media_files/xYGDq1NKCesRYdCsmL7A.jpg)
সুখেন্দু 'বোমা' ফাটাতেই 'বিস্ফোরণ' বিজেপির
Sukhendu Sekhar Ray On RG Kar: আরজি কর কাণ্ডে দলের সঙ্গে ক্রমশ দূরত্ব বেড়েছে বর্ষীয়ান তৃণমূল নেতা সুখেন্দু শেখর রায়ের। একের পর এক ট্যুইট করে আরজি কাণ্ডে জারি রেখেছেন প্রতিবাদ। কখনও সরাসরি নিশানা,আবার কখনও জোরালো ইঙ্গিত। প্রবীণ এই রাজনীতিকের বাক্যবাণ বারেবারে অস্বস্তিতে ফেলেছে শাসক দলকে। আজ ফের এক 'রাত দখলের রাতে' সংবিধানের ২১ নং ধারার কথা উল্লেখ করে মানুষকে মর্যাদার সঙ্গে বেঁচে থাকার মৌলিক অধিকার ছিনিয়ে নেওয়ার দাবি জানিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় এক পোস্ট করেন তিনি। এরপরই শুরু হয়েছে জোর জল্পনা।
Sharad Pawar : মমতার দেখানো পথে হাঁটার ভাবনা! ধর্ষণবিরোধী বিল আনার পক্ষে জোরালো সওয়াল
আরজি কর কাণ্ডে প্রথম থেকেই দলের উল্টোপথে হেঁটেছেন তিনি। সন্দীপ ঘোষের গ্রেফতারির সঙ্গে সঙ্গে 'পড়ল মিডল স্ট্যাম্প, এবার কী?' এমন পোস্ট করে তোলপাড় ফেলেন তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায়। এর পাশাপাশি বাস্তিল দূর্গ পতনের প্রতীকী ছবি পোস্ট করে ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য করেছিলেন তিনি। একই সঙ্গে ১৪ অগাস্টের রাতে মেয়েদের রাত দখলের ডাককে সমর্থন জানিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেন তিনি। আরজি কর কাণ্ডের তদন্তে কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েলকে সিবিআই হেফাজতে নিয়ে জেরার দাবি জানিয়েও সরব হন তিনি। স্নিফার ডগ নিয়ে একটি পোস্টও করেন তিনি। তারপরেই তাঁকে তলব করেছিল কলকাতা পুলিশ, পুলিশের দাবি ছিল স্লিফার ডগ নিয়ে ভুল তথ্য দিয়েছেন সাংসদ। যার জেরে তিনি হাইকোর্টের দ্বরস্থ হন। পরে তিনি নিজের সেই পোস্টটি ডিলিট করেন।
কী জানালো বিজেপি?
রাত দখলের সঙ্গে মৌলিক অধিকার নিয়ে বেঁচে থাকার লড়াই ছিনিয়ে নেওয়া সুখেন্দু শেখর রায়ের পোস্ট ঘিরে বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য্য বলেন, "সুখেন্দু শেখর রায় দীর্ঘ দিনের কর্মী, বহু উত্থান-পতনের সাক্ষী থেকেছেন তিনি, আজকের দলের ভিত্রে থেকেও বিবেকের ডাকে সাড়া দিয়ে পোস্ট করেছেন তিনি। আর এই পোস্ট থেকেই স্পষ্ট, 'তৃণমূলের শেষের সেদিন আর বেশি দূরে নয়'।
Haryana Assembly polls: কংগ্রেসের টিকিটে নির্বাচনে লড়বেন দুই কুস্তিগীর? ছবি ঘিরে তুঙ্গে চর্চা
এপ্রসঙ্গে সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, "তৃণমূলের ভিতরের অভুন্তরীণ দ্বন্ধ মানুষের সামনে এসেছে। আজ তাঁকে সত্যি কথাটা বলতে হয়েছে। রাজ্য প্রশাসন সন্দীপ ঘোষকে বাঁচাতে প্রমশন দিচ্ছে। বিনীত গোয়েলের পাশে রয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী"। নিজের ইস্তফাপত্র গ্রহণ করেও কীভাবে তিনি সেই চেয়ারে রয়েছেন তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। প্রদেশ কংগ্রেস মুখপাত্র সৌম্য আইচ বলেছেন, "সুখেন্দু বাবু সঠিক ও বাস্তব কথা বলেছেন। সুখেন্দুবাবুর মতো লোকেরা মত আছে বলেও এখনও দেশটা চলছে। সবাই কালীঘাটে শিরদাঁড়া বিক্রি করেন নি। তিনি তাঁর জলন্ত প্রমাণ। তৃণমূলে এই ধরণের লোকের সংখ্যা নেই। ওনার এই ধরণের মন্তব্যর জন্য ওনার প্রতি আমার শ্রদ্ধা"।
RG Kar: একের পর এক অভিযোগ! তড়িঘড়ি বদলি ডাক্তার বিরূপাক্ষ বিশ্বাসকে, আজ ফের রাত দখলের ডাক