/indian-express-bangla/media/media_files/2024/12/20/k9HyGQbdFrVlNbmaWp7o.jpg)
Jadavpur University: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় Photograph: (ফাইল ছবি।)
Debrupa Bal-Jadavpur University: মেয়ের স্মৃতিতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে একটি ফ্ল্যাট দানের সিদ্ধান্ত মায়ের। পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছিল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই প্রাক্তন ছাত্রীর। মেয়ের স্মৃতিতে এবার মা তাঁর ৮০ লক্ষ টাকা মূল্যের একটি ফ্ল্যাট দানের সিদ্ধান্ত নেন বিশ্বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে।
দেবরূপা বল, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের তুলনামূলক সাহিত্যের ছাত্রী ছিলেন। দেবরূপা একটি টেলিভিশন চ্যানেলে যোগদানের আগে বেশ কয়েকটি ইংরেজি দৈনিকেও কাজ করেছিলেন। ২০০৬ সালে হরিয়ানার সোনিপতে একটি গাড়ি দুর্ঘটনায় তিনি মারা যান। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল মাত্র ৩১ বছর। মেয়ের স্মৃতিতে এবার তাঁর মা সুস্মিতাদেবী তাঁদের ফ্ল্যাটটি যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের হাতে তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এই ফ্ল্যাট বিক্রির টাকায় দুঃস্থ পড়ুয়াদের যাতে স্কলারশিপ দেওয়া যায় সেই ব্যবস্থার লক্ষ্যেই তাঁর এই উদ্যোগ বলে জানা গিয়েছে।
মেয়ের মৃত্যু পর দেবরূপার বাবা-মা ২০০৭ সালে দেবরূপার সম্মানে একটি সেমিনারেরজন্য ৮ লক্ষ টাকা অনুদান দিয়েছিলেন। যা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এখনও আয়োজন করে আসছে।
বর্তমানে দেবরূপার ৮০ বছর বয়সী মা সুস্মিতা রয়েছেন। সুস্মিতাদেবীর স্বামী ২০২০ সালে মারা গেছেন। এবার গত ১৮ আগস্ট একটি স্বাক্ষরিত দলিল সুস্মিতা বল হস্তান্তর করেছেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে।
সুস্মিতাদেবীর কথায়, “যে কোনও রাজ্যের অগ্রগতির জন্য শিক্ষা এবং স্বাস্থ্য অপরিহার্য। আমরা শিক্ষার শোচনীয় অবস্থা নিয়ে উদ্বিগ্ন। আমি এই ক্ষুদ্র অনুদানটি দিয়েছি, যাতে এটি গবেষণার জন্য এবং সুবিধাবঞ্চিত শিক্ষার্থীদের সাহায্য করা যায়। আমি বিশ্বাস করি এই কাজের মাধ্যমে আমার মেয়ে বেঁচে থাকবে।”
আরও পড়ুন- বিশ্ববিদ্যালয়ের উদাসীনতার মাশুল গুণছেন ছাত্রছাত্রীরা, অথৈ জলে প্রায় শ'খানেক পড়ুয়া!
এদিকে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের যুগ্ম রেজিস্ট্রার সঞ্জয় গোপাল সরকার বলেন, "বিশ্ববিদ্যালয় সম্পত্তিটি বিক্রি করবে কেবল তখনই, যখন এর মালিক আর থাকবেন না।" সুস্মিতা বল আরও বলেন, “যেহেতু আমি ফ্ল্যাটে থাকি, তাই আমার মৃত্যুর পরে বিশ্ববিদ্যালয় এটি বিক্রি করবে। আমি যদি অন্য কোনও উপায়ে বিশ্ববিদ্যালয়কে সাহায্য করতে পারতাম তবে আমি আরও খুশি হতাম। কিন্তু এখন এই ফ্ল্যাটটিই আমার একমাত্র সম্পদ।”
সুস্মিতাদেবীর কথায়, “যুগ্ম রেজিস্ট্রার সরকার আমাকে বলেছিলেন যে অনেক শিক্ষার্থী সুবিধাবঞ্চিত ব্যাকগ্রাউন্ড থেকে ইঞ্জিনিয়ারিং পড়তে আসেন। আমি আশা করি বিশ্ববিদ্যালয় তাদের তহবিল থেকে তাঁদের বৃত্তি প্রদান করবে। আমি আশা করি এই ধরনের অবদান অন্যদেরও বিশ্ববিদ্যালয়কে সহায়তা করার জন্য এগিয়ে আসতে অনুপ্রাণিত করবে।”
আরও পড়ুন-Indian Railway:পুজোর মুখে নয়া দুই রুটে AC লোকাল, ভিড় সামলাতে আরও ট্রেন, জানুন বিশদে
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের যুগ্ম রেজিস্ট্রার সঞ্জয় গোপাল সরকার বলেন, “এই উদার অবদানের জন্য যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সুস্মিতা বলের কাছে ঋণী। আমরা আন্তরিকভাবে বিশ্বাস করি যে তার এই উদ্যোগ একটি নজির স্থাপন করবে এবং অন্যদের বিশ্ববিদ্যালয়কে সাহায্য করার জন্য উৎসাহিত করবে। আমরা বৃত্তি প্রদান এবং শিক্ষার্থীদের উপকারে আসা অন্যান্য উদ্দেশ্যে তহবিলটি ব্যবহার করব।”