New Update
/indian-express-bangla/media/media_files/2025/08/05/suvendu-2025-08-05-11-20-05.jpg)
Suvendu Adhikari: ভাওয়াইয়া শিল্পী মণীন্দ্র বর্মনকে সঙ্গে নিয়ে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
Suvendu Adhikari: এবার ভাওয়াইয়া শিল্পী মণীন্দ্র বর্মনের পাশে দাঁড়ালেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। নাম না করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বিঁধে একটি গান গেয়েছিলেন মাথাভাঙার ওই লোকশিল্পী।
Suvendu Adhikari: ভাওয়াইয়া শিল্পী মণীন্দ্র বর্মনকে সঙ্গে নিয়ে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
সম্প্রতি কোচবিহারের মাথাভাঙার লোকশিল্পী মণীন্দ্র বর্মনের একটি গান সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বিঁধেই গানটি গেয়েছেন ওই লোকশিল্পী, এমনই দাবি অনেকের। ওই গান বিদ্যুৎ গতিতে ভাইরাল হওয়ার পরেই মণীন্দ্র বর্মনকে পুলিশি হেনস্থার মুখে পড়তে হচ্ছে বলে অভিযোগ। উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী উদয়ন গুহ প্রকাশ্যে মণীন্দ্র বর্মনকে ল্যাম্পপোষ্টে বেঁধে পেটানোর হুঁশিয়ারি পর্যন্ত দিয়ে রেখেছেন। যদিও ওই লোকশিল্পীকে যাবতীয় আইনি সহায়তা দেওয়ার ঘোষণা করেছেন নেতা শুভেন্দু অধিকারী।
কোচবিহারের মাথাভাঙার ভাওয়াইয়া শিল্পী মণীন্দ্র বর্মন। উত্তরবঙ্গের লোকশিল্পীদের মধ্যে একটি অত্যন্ত জনপ্রিয় নাম এই মণীন্দ্র বর্মন। সম্প্রতি 'জ্বালাইয়া খাইল একটা হীরক রানি, পরনে সাদা শাড়ি, পায়েতে হাওয়াই চটি' শীর্ষক একটি গান গেয়েছেন তিনি। সেই গান সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়তেই বিদ্যুৎ গতিতে ভাইরাল হয়েছে। অনেকেই বলছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বিঁধেই সেই গান গেয়েছেন তিনি। তবে এই গানটি ভাইরাল হতেই রীতিমতো রাজরোষে পড়ে যান ওই লোকশিল্পী। তাঁর বাড়িতে বারবার পুলিশ পাঠানো হচ্ছে বলে অভিযোগ। এমনকি গ্রেফতারির আশঙ্কাও করছেন তিনি।
ইতিমধ্যেই রাজ্যের উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী তথা দিনহাটার তৃণমূল বিধায়ক উদয়ন গুহ ওই লোকশিল্পীকে রীতিমতো হুঁশিয়ারি দিয়ে রেখেছেন। উদয়ন গুহ বলেছেন, "আমাদের সামনে পড়লে ও যে ভাষায় গান করেছে সেই ভাষাতেই ওকে উত্তর দেব। এই গায়ককে ওই গান শেনাার পরে ল্যাম্পপোস্টে বেঁধে পেটানো সেটাও যুবকদের স্বাধীনতা। যা খুশি করা যায় না। প্রধানমন্ত্রীর সমালোচনা করলে গেল গেল রব উঠে যায়... আমি জানি না কী নাম ওর..এর আগে দেখেছিলাম একটা গান।''
তিনি আরও বলেন, "প্রথমে ও বলেছিল এটা সংস্কৃতি, ওর এটা অধিকারের মধ্যে পড়ে। আমি জানি না একজন মুখ্যমন্ত্রীকে ইচ্ছেমতো যে কোনও ভাষায় গালাগালি করে কটূক্তি করে গান বেঁধে সেই গান আমি গেয়ে বেড়ালাম..সেটা আপনার স্বাধীনতা? এই যদি স্বাধীনতা হয়, তাহলে অনেক যুবক মনে করতে পারে যে এই গায়ককে ওই গান শোনার পর ল্যাম্বপোস্টে বেঁধে পেটানো...সেটাও ওই যুবকদের স্বাধীনতা। সবই স্বাধীনতা হয়ে গেল। এই জিনিস মেনে নেওয়া যায় না। তাহলে মাইক ধরে তো যে কোনও ভাষায় যে কাউকে গালাগালি করা যায়।"
আরও পড়ুন-Mamata Banerjee:লাগাতার বৃষ্টিতে জলের তলায় ঘাটাল, আরামবাগ, আজ যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী
তবে মণীন্দ্র বর্মনকে সব ধরনের আইনি সহায়তা দেওয়ার ঘোষণা করেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেছেন, "কোচবিহারের ভাওয়াইয়া শিল্পী, লোকশিল্পী রাজবংশী মণীন্দ্র বর্মন অত্যন্ত জনপ্রিয়। উনি ২৬ হাজার চাকরি চুরি নিয়ে একটি ভাওয়াইয়া গান গেয়েছিলেন। যার ১ কোটির বেশি ভিউয়ার্স হয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় ওই গান পপুলার হয়েছে। এই লোকশিল্পীকে চাকরি চুরির বিরুদ্ধে গান গাওয়ার জন্য চারবার বাড়িতে পুলিশ গেছে। গ্রেফতার করতে চায়। ওনাকে ফোনে পুলিশ বলেছে ডিলিট করতে হবে, মোবাইল ফোন জমা দিতে হবে। উনি আমার সঙ্গে গত ৬-৭ দিন ধরে টাচে ছিলেন। আমি কোচবিহারের পুলিশ সুপারকে চ্যালেঞ্জ করছি, শুভেন্দু অধিকারীর কাছে মণীন্দ্র বর্মন আছেন ও থাকবেন। আপনার ক্ষতা থাকলে ওনার কেশাগ্র স্পর্শ করুন। এসব পিঁয়াজি অনেক করেছেন। আমরা মণীন্দ্র বর্মনকে আইনি সহায়তা দেব।"
আরও পড়ুন-Kolkata weather today:ভারী বৃষ্টির জোরালো সতর্কতা এই জেলাগুলিতে, আজ কাঁপানো ঝড়-জল কলকাতাতেও?
লোকশিল্পী মণীন্দ্র বর্মন বলেন, "আমার বাড়িতে পুলিশি উৎপীড়ন শুরু হয়। আমার বাড়িতে পুলিশ এসে আমাকে খোঁজে। সেই মুহূর্তে আমি বাড়িতে ছিলাম না। পুলিশ পরিবারের সদস্যদের বলে মণীন্দ্র বর্মন যে গন আপলোড করেছে সেই গান ওকে ডিলিট করতে হবে। ওকে থানায় যেতে হবে। পুলিশকে নোটিশ দেখাত বললে সদুত্তর দিতে পারেনি। আমি কাউকে নির্দিষ্ট করে কাউকে আঘাত বা আমার গানে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হতে পারে এমন কিছু নেই। আমি চিন্তায় আছি। প্রতিদিন মুহূর্তে মুহূর্তে পুলিশ আসছে আমার বাড়িতে। ওরা যদি FIR করে থাকেন তাহলে সেই নোটিশ আমাকে দিন। বারবার আমার বাড়িতে এসে ওরা হানা দিচ্ছে। কিছু নেতাও আমার এসে শাসিয়ে যাচ্ছে।"