Suvendu Adhikari: বিজেপির উত্তরকন্যা অভিযান থেকে রাজ্য সরকারকে বেনজির হুঙ্কার রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর। তৃণমূলের শহীদ দিবসের দিনেই উত্তরকন্যা অভিযানের ডাক দেয় বিজেপির যুব মোর্চা। তবে প্রশাসনের তরফে এদিনের অভিযানের অনুমতি না মেলায় হাইকোর্টের দ্বারস্থ হতে হয় বিজেপি নেতৃত্বকে। আদালতের নির্দেশ মেনেই এদিন অনুষ্ঠিত হয় বিজেপির 'উত্তরকন্যা' অভিযান। অনুষ্ঠান মঞ্চ থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তীব্র আক্রমণ শানান রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
শুভেন্দু এদিন তাঁর ভাষণে বলেন, "আমরা গাড়ি দিতে পারিনি, ডিমভাত দিতে পারিনি, এমনকি জলও দিতে পারিনি। তবুও যুব মোর্চার ভাই-বোনেরা তিন কিলোমিটার হেঁটে এই কর্মসূচি সফল করেছেন।” এদিন প্রশাসনকে দুষে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বলেন, আজকের এই অনুষ্ঠানের জন্য আমাদের হাইকোর্টে যেতে হয়েছিল। প্রশাসনের তরফে দেওয়া হয়নি কোন অনুমতি। বলা হয়েছিল ২০ বা ২২ তারিখ কর্মসূচি করতে, কিন্তু ২১ তারিখ কোনও অনুষ্ঠান করতে দেওয়া যাবে না। কারণ ওইদিন রাণীমা, পিসিমা, চোরেদের রানী, হাজার হাজার রোহিঙ্গা ও চোরদের ধর্মতলায় জড়ো হতে হবে।"
তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দোপাধ্যায় ও তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কমান্ড অভিষেক বন্দোপাধ্যায়কে নিশানা করে শুভেন্দু বলেন, “আজ গরু পাচার, কয়লা পাচার সব বন্ধ। এমনকি কাপড়-জামা চুরিও বন্ধ হয়ে গেছে। আজ ধর্মতলায় যাঁরা জড়ো হয়েছেন তাঁরা সবাই চোরদের পক্ষের মানুষ। পিসিমার ডাকে, তোলাবাজ ভাইপোর সভায় যোগ দিতে এসেছে ওরা।” তিনি অভিযোগ করেন, “এই রাজ্যে বিরোধী বিধায়করা প্রতিদিন আক্রান্ত হচ্ছেন। ২ কোটি ১৫ লক্ষ যুবক-যুবতী বেকার। উত্তরবঙ্গের হাসপাতালগুলি আজ বেহাল। নারী সুরক্ষা নিয়ে সরকারের কোনও ভরসা নেই। রাজ্যজুড়ে চলছে লুটপাট।”বক্তৃতার শেষে জোর সঙ্গে শুভেন্দু বলেন, “নন্দীগ্রামে আমি মাননীয়াকে হারিয়েছি, আগামী ২৬-এর নির্বাচনে আমরা আপনাকে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী করব। কোনও রোহিঙ্গা বা বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের রাজ্যে থাকতে দেওয়া হবে না"।