New Update
/indian-express-bangla/media/media_files/pSGKuRtVhQjdlrScju2X.jpg)
তমলুক রাজবাড়ির দুর্গাপুজো ঘিরে প্রতিবারই এলাকায় তুমুল উন্মাদনা তৈরি হয়।
Durga Puja 2024: দুর্গাপুজোর প্রতিটি দিনই এই রাজবাড়িতে ভিড় জমান আশেপাশের এলাকার বাসিন্দারা। এখন প্রাচীন এই পুজোর দায়িত্ব সামলাতে দেখা যায় অন্যদেরও।
তমলুক রাজবাড়ির দুর্গাপুজো ঘিরে প্রতিবারই এলাকায় তুমুল উন্মাদনা তৈরি হয়।
Durga Puja 2024: পূর্ব মেদিনীপুর তথা ভারতবর্ষের অন্যতম প্রাচীন রাজবাড়ি তমলুক রাজবাড়ি। অতীতের রাজ ঐতিহ্য মেনে ঢাকে কাঠি পড়ে সুপ্রাচীন তাম্রলিপ্ত সার্বজনীন দুর্গোৎসব কমিটির পুজোর। পূর্ব মেদিনীপুর জেলার সদর শহর তাম্রলিপ্ত বা তমলুকের এই দুর্গাপুজো ঘিরে সাজো-সাজো রব রাজবাড়িজুড়ে। বৈদিক মন্ত্রোচ্চারণে বহু প্রাচীন প্রথা মেনে ঐতিহাসিক এই রাজবাড়িতে হয় দুর্গাপুজো। পুজোর ক'দিনই রাজবাড়িতে ঢল নামে আশেপাশের এলাকার বাসিন্দাদের। এপুজো এখন আর শুধুই রাজবাড়ির পুজো নয়, এপুজোর দায়িত্ব সামলাতে এগিয়ে এসেছেন স্থানীয়রাও।
খসে পড়েছে পলেস্তারা। হারিয়ে গিয়েছে সরগরম রাজসভা কিংবা নাচমহল। ভগ্নস্তুপের মাঝেই স্মৃতিচিহ্ন হিসেবে দাঁড়িয়ে কেবল জরাজীর্ণ লাল চুনসুড়কির দেওয়াল। তাও আবার সংস্কারের অভাবে সঙ্কটের মুখে। বহু প্রাচীন তাম্রলিপ্ত রাজবাড়ি কৌলিন্য হারালেও দুর্গাপুজোয় আজও সেই সাবেকিয়ানা বজায় রাখতে মরিয়া প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছে নতুন প্রজন্ম।
তবে এখন এই রাজবাড়ির পুজোর দায়িত্ব সামলাতে দেখা যায় এলাকাবাসীদের। রাজবাড়ির পুজো এখন সর্বজনীন। দুর্গাপুজোর প্রতিটি দিনই রাজবাড়ি গমগম করে আশেপাশের মানুষজনের ভিড়ে।
আরও পড়ুন- Eastern Rail: অভূতপূর্ব! মসৃণ যাত্রী পরিষেবায় আরও এক ধাপ! দুরন্ত কীর্তির নতুন রেকর্ড রেলের
তাম্রলিপ্ত আদি সার্বজনীন দুর্গাপূজার মুখ্য উদ্যোক্তা তমলুক পুরসভার পুরপ্রধান তথা তাম্রলিপ্ত রাজবাড়ির অন্যতম সদস্য দীপেন্দ্র নারায়ণ রায়। তিনি বলেন, “তমলুক রাজবাড়ির দুর্গাপুজো একসময়ে বাড়ির মহিলারাই আয়োজন করতেন। মাঝে তা বন্ধ হয়ে যায়। বিগত ১৬ বছর ধরে এলাকাবাসীদের নিয়ে সমস্তরকম রীতি মেনেই এই দুর্গাপুজোর অনুষ্ঠান এখন সর্বজনীন রূপ নিয়েছে।" প্রসঙ্গত তমলুক শহরে দুর্গা পুজোর প্রাচীন ইতিহাস রাজবাড়ির সঙ্গেই জড়িত। সেই রাজবাড়ির পৃষ্ঠপোষকতায় নতুনভাবে আদি তাম্রলিপ্ত সার্বজনীন দুর্গোৎসব কমিটির উদ্যোগে প্রতি বছর দুর্গাপুজোর আয়োজন করা হয়।