/indian-express-bangla/media/media_files/2025/11/02/cats-2025-11-02-16-55-32.jpg)
SIR- প্রক্রিয়ার জের, বন্ধ হতে চলেছে স্কুলের পঠন পাঠন
বাংলার ভোটার তালিকার নিবিড় সংশোধন শুরু হয়েছে, আর সেই প্রক্রিয়ায় এবার রাজ্যের স্কুল শিক্ষকদের বিএলও (Booth Level Officer) হিসেবে নিযুক্ত করা হয়েছে। তবে এই সিদ্ধান্তে বিপাকে পড়েছে পূর্ব বর্ধমানের মঙ্গলকোটের পালিশগ্রাম উত্তরপাড়া অবৈতনিক প্রাথমিক বিদ্যালয়। কারণ, বিদ্যালয়ের পাঁচজন শিক্ষককেই একসঙ্গে বিএলও দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এর ফলে বিদ্যালয়ের প্রায় ২১২ জন পড়ুয়া ও তাঁদের অভিভাবকদের মধ্যে উদ্বেগ ছড়িয়েছে—ভোটার তালিকা সংশোধন চলাকালীন সময়ে স্কুলের পঠন পাঠন কীভাবে চলবে?
চলতি সপ্তাহেই প্রকাশিত হতে চলেছে স্কুল সার্ভিস কমিশনের ফলাফল? কবে নিয়োগ? রইল ব্রেকিং আপডেট
রাজনৈতিক দিক থেকে বহুল আলোচিত মঙ্গলকোটের এক অখ্যাত গ্রাম পালিশগ্রামে রয়েছে রাজ্যের প্রাথমিক শিক্ষা সংসদ পরিচালিত এই অবৈতনিক প্রাথমিক বিদ্যালয়। বিদ্যালয়ে মোট পাঁচজন শিক্ষক পড়ান, যারা মিড-ডে মিলের দায়িত্বও সামলান। এখন তাঁরা সকলেই বিএলও দায়িত্বে নিযুক্ত হওয়ায় বিদ্যালয়ের পঠনপাঠন প্রায় থমকে যাওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।
ফের মহাকাশের বুক চিঁড়ে দাপট দেখাতে প্রস্তুত ইসরো, ‘বাহুবলী’ মিশন ঘিরে উচ্ছ্বাসে ভাসছে ১৪০ কোটি দেশবাসী
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জানান, “আমরা বিষয়টি নিয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। বিদ্যালয়ের স্বার্থে অন্তত কয়েকজন শিক্ষককে বিএলও দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হোক, সেই অনুরোধও জানানো হয়েছে। তবে এখনও কোনও উত্তর পাওয়া যায়নি।” অন্যান্য শিক্ষকরা বলেন, “সব শিক্ষক যদি বাইরে কাজ করতে যান, তাহলে পড়ুয়াদের পড়ানো, মিড-ডে মিল, এমনকি আসন্ন পরীক্ষার প্রস্তুতিও ব্যাহত হবে।”ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন অভিভাবকরাও। তাঁদের অভিযোগ, “ভোটার তালিকা সংশোধনের মতো প্রশাসনিক কাজে সব শিক্ষককে তুলে নেওয়া একেবারেই ঠিক নয়। এতে স্কুল বন্ধ হয়ে গেলে পড়ুয়াদের ভবিষ্যৎ ক্ষতিগ্রস্ত হবে।”
SIR নিয়ে তোলপাড়ের মধ্যে শুভেন্দুর মুখে কার্বলিক অ্যাসিড প্রসঙ্গ, এবার কাকে নিশানা বিরোধী দলনেতার?
এ বিষয়ে মঙ্গলকোট ব্লকের বিডিও অনামিত্র সোম ক্যামেরার সামনে কোনও মন্তব্য না করলেও মৌখিকভাবে জানান, “ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশেই বিএলও দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে, এ বিষয়ে আমার কিছু করার নেই।” অন্যদিকে, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের চেয়ারম্যান মধুসূদন ভট্টাচার্য্য বলেন, “পড়ুয়াদের স্বার্থে আমি বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করব। অনুরোধ করব, যেন পালিশগ্রাম উত্তরপাড়া বিদ্যালয়ের সব শিক্ষককে একসঙ্গে না তোলা হয়।”
/indian-express-bangla/media/agency_attachments/2024-07-23t122310686z-short.webp)
 Follow Us