/indian-express-bangla/media/media_files/2025/08/23/hilsa-2025-08-23-09-32-27.jpg)
Hilsa Festival: প্রতীকী ছবি।
Mid-day meal variety:দুর্মূল্যের বাজারে ইলিশ মানেই আজ স্বপ্নের মতো খাবার। বড়-ছোট সব ধরনের ইলিশ মিললেও পরিমাণে কম, তাই দামে ছ্যাঁকা খেতে হচ্ছে সাধারণ বাঙালিকে। কিন্তু সেই অপ্রাপ্য স্বাদের আনন্দই মিলল দক্ষিণ ২৪ পরগনার ফলতা অবৈতনিক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের পাতে।
ভালোবাসা দিয়ে শিক্ষকরা সাজালেন এক অনন্য ইলিশ উৎসব। শুক্রবারের বিশেষ আয়োজনে পরিবেশিত হলো ইলিশ ভাপা, ইলিশ ভাজা আর ইলিশের তেল।
ফলতা ব্লকের শ্যামসুন্দরপুর, রাজারামপুর, জালালপুর, তারাগঞ্জ, জাফরপুর ও উত্তর বাসুল্লাট এলাকার মৎস্যজীবী ও সংখ্যালঘু অধ্যুষিত অঞ্চলের প্রায় ৪২৫ জন ছাত্রছাত্রী পড়ে এই বিদ্যালয়ে। প্রায় ৯০ বছরের পুরনো এই বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক তিলক নস্কর যুক্ত হন ১৯৯৯ সালে। বর্তমানে তাঁর শিক্ষকতা জীবনের ২৫ বছর পূর্ণ হয়েছে। তখন ছাত্র সংখ্যা ছিল মাত্র ৯৯। বর্তমানে শিক্ষক রয়েছেন সাতজন।
বিদ্যালয়ের জমি দান করেছিলেন প্রভাকর মল্লিক, মোট ২২ শতক জমি। দীর্ঘ ইতিহাসের এই বিদ্যালয়ের কৃতিত্ব ও গর্বের। ২০১৫ সালে জেলার সেরা স্কুল হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছিল এটি। ২০১৭ সালে বিদ্যালয় যামিনী রায় পুরস্কার অর্জন করে। পরে ২০২২ সালে প্রধান শিক্ষক তিলক নস্কর পান শিক্ষারত্ন পুরস্কার।
ছাত্র-ছাত্রীরা জানিয়েছে, বাড়িতে প্রায় দিন ডাল,সবজি,ডিম -ভাত খেতে হয়, কিন্তু ইলিশ মাছ ধরা-ছোঁয়ার বাইরে। তাই স্কুলে ভালোবাসা দিয়ে সাজানো এই ইলিশ উৎসবের আয়োজন পেয়ে চেটেপুটে খেল তারা।
বিদ্যালয়ের নানা কাজে নিয়মিত সহযোগিতা করে ব্লক প্রশাসন। ফলতা ব্লকের প্রায় দেড়শ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে ফলতা অবৈতনিক প্রাথমিক বিদ্যালয় এখন এক নজির হয়ে উঠেছে।
আরও পড়ুন-Kolkata Metro: মেট্রো যাত্রীদের জন্য বিরাট সুখবর! তিনটি নতুন মেট্রো রুটে রবিরারও চালু পরিষেবা?
বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, মিড-ডে মিলের একঘেয়েমি কাটাতে এবং ছাত্রছাত্রীদের আনন্দ দিতে এমন আয়োজন ভবিষ্যতেও করা হবে। শুক্রবারের এই ইলিশ উৎসবে খুশির জোয়ার বইলো পড়ুয়াদের মুখে।