Migrant worker Harassment: টানা ৩ দিন মন্দিরে লুকিয়ে প্রাণ রক্ষা বাংলার মুসলিম যুবকের, ভিনরাজ্যে হাড়হিম ঘটনা!

Harassment in Mumbai: আবারও ভিনরাজ্যে কাজে গিয়ে ভয়াবহ অত্যাচারের মুখে বাংলার পরিযায়ী শ্রমিক ও তাঁর পরিবার। এই ঘটনাটি জানলে তাজ্জব হয়ে যাবেন।

Harassment in Mumbai: আবারও ভিনরাজ্যে কাজে গিয়ে ভয়াবহ অত্যাচারের মুখে বাংলার পরিযায়ী শ্রমিক ও তাঁর পরিবার। এই ঘটনাটি জানলে তাজ্জব হয়ে যাবেন।

author-image
Mina Mondal
New Update
Migrant worker Saiful Sheikh,  Harassment in Mumbai  ,Branded Bangladeshi for speaking Bengali  ,Bishnupur worker returns home,  South 24 Parganas news , Migrant worker crisis  ,Forced return from Mumbai  ,Dadar factory worker,  Help from Abhishek Banerjee  ,Bengali workers harassment,পরিযায়ী শ্রমিক সাইফুল শেখ,  মুম্বইয়ে হেনস্থা  ,বাংলা বলায় বাংলাদেশি তকমা,  বিষ্ণুপুর শ্রমিকের ফেরা  ,দক্ষিণ ২৪ পরগনার খবর  ,পরিযায়ী শ্রমিক সমস্যা,  হেনস্থার জেরে দেশে ফেরা,  দাদর কারখানার শ্রমিক,  অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাহায্য,  বাংলার শ্রমিকদের হেনস্থা

Migrant Labour Harassment: ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতা শোনাচ্ছেন কালো টি-শার্ট পরিহিত পরিযায়ী শ্রমিক সাইফুল শেখ।

Migrant worker crisis:১৪ বছর ধরে কাজ করছিলেন মুম্বইয়ের একটি কারখানায়। কিন্তু ক্রমাগত হেনস্থার জেরে ছাড়তে হয় সেই চেনা জায়গা। পরিবার নিয়ে পালিয়ে একটি মন্দিরে ঠাঁই নেন বিষ্ণুপুরের শ্রমিক সাইফুল শেখ। সেখানেই লুকিয়ে কাটে দিন তিনেক। বৃহস্পতিবার কোনওরকমে এলাকায় ফিরেছেন তিনি।

Advertisment

দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিষ্ণুপুরের কুলেরহাটি পঞ্চায়েতের সর্দার পাড়ার বাসিন্দা বছর চল্লিশের সাইফুল প্রায় ১৪ বছর আগে মুম্বইয়ের দাদরে ওই কারখানায় কাজে যোগ দেন। ভাড়া বাড়িতে স্ত্রী ও বছর তেরোর ছেলেকে নিয়ে থাকতেন। কিন্তু সমস্যা শুরু হয় সম্প্রতি। সাইফুল জানান, বাংলায় কথা বলায় বাংলাদেশি বলে দেগে দিয়ে স্থানীয় বাসিন্দা, এমনকী পুলিশের তরফেও নানা ভাবে হেনস্থা শুরু হয়।

বাইরে বেরোলে মারধরও করা হয়। কার্যত বেরোনো বন্ধ হয়ে যায় সাইফুলদের। ওখানে থাকার জন্য পুলিশ মাথা পিছু ৫০ হাজার করে টাকা চায় বলে তাঁর দাবি। এসবের জেরে কারখানা বন্ধ করে দেন মালিক। কাজ বন্ধ, সঞ্চিত অর্থও প্রায় শেষ হয়ে যায় সাইফুলদের।

Advertisment

আরও পড়ুন- Kolkata Weather Today:অতি ভারী বৃষ্টির সতর্কতা জেলায়-জেলায়, আজ দক্ষিণ ও উত্তরবঙ্গজুড়ে প্রবল দুর্যোগের আশঙ্কা!

বাড়িওয়ালাও ঘর ছেড়ে দিতে বলেন। বাংলার বেশ কিছু শ্রমিক ছিলেন সেখানে। বেশিরভাগই একা থাকতেন। সকলেই যে যার মত লুকিয়ে ফেরার রাস্তা ধরেন। কিন্তু পরিবার থাকায় আটকে যান সাইফুল।

আরও পড়ুন- Kolkata Metro: মেট্রো যাত্রীদের জন্য বিরাট সুখবর! তিনটি নতুন মেট্রো রুটে রবিরারও চালু পরিষেবা?

শেষ পর্যন্ত সপ্তাহ খানেক আগে পরিবার নিয়ে লুকিয়ে লোকাল ট্রেনে চেপে বসেন। দাদর থেকে কয়েক ঘণ্টার দূরত্বে কল্যাণে সাইফুলের চেনা দু’-একজন ছিল। সেখানেই এসে নামেন। তবে সেখানেও থাকার জায়গা মেলেনি। শেষ পর্যন্ত একটি মন্দিরে ঠাঁই নেন তাঁরা। পুরোহিত মন্দির চত্বরে থাকতে দেন সাইফুলদের।

গত সোমবার এলাকার সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘এক ডাকে অভিষেক’ প্রকল্পের নম্বর জোগাড় করে সমস্যার কথা জানান সাইফুল। এরপরই তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করেন এলাকার জেলা পরিষদ সদস্য বাবান গাজি।

আরও পড়ুন-Adhir Chowdhury:'কংগ্রেসের পরিকল্পনা প্যাকেজিং করে মার্কেটে ছাড়ছেন', নয়া মেট্রোপথের উদ্বোধন নিয়ে মোদীকে কটাক্ষ অধীরের

তিনি কিছু টাকা পাঠান। ট্রেনে উঠে পড়তে বলেন। পরিবার নিয়ে মঙ্গলবারই ট্রেনে উঠে পড়েন সাইফুল। টিকিট কাটার সুযোগও পাননি। কোনওরকমে প্ল্যাটফর্ম টিকিট কেটেই ট্রেনে চাপেন। বৃহস্পতিবার এলাকায় ফেরেন তিনি।

সেখানকার অভিজ্ঞতার কথা বলতে গিয়ে এখনও আতঙ্কিত শোনায় সাইফুলের গলা। তিনি বলেন, “১৪ বছর দাদরে আছি। চেনা লোকজন এভাবে বদলে যাবেন ভাবতে পারিনি। শেষপর্যন্ত পালাতে হল। কল্যাণে মন্দিরের ঠাকুরমশাই খুবই সাহায্য করেছিলেন। আমাদের লুকিয়ে রাখেন। কিন্তু ওই ভাবে আর কতদিন! শেষ পর্যন্ত এক ডাকে অভিষেকে ফোন করি। ওরাই সাহায্য করেন। ফেরার পরে স্থানীয় নেতৃত্ব দেখা করেছেন। কিছু টাকা দিয়েছেন। কিন্তু তাতে আর কতদিন চলবে?”

আরও পড়ুন- PM Modi in kolkata: 'দুর্নীতিতে রেয়াত নয়', কেন টেনে আনলেন 'পার্থ-জ্যোতিপ্রিয়'র প্রসঙ্গ? ভোটের আগেই বড় কোন ইঙ্গিত?

আবার কাজের জন্য ফিরে যাবেন ভিন রাজ্যে? সাইফুল বলেন, “এলাকায়কাজ নেই। কিন্তু বাইরে যাওয়ারও আর ইচ্ছা নেই। বাইরে গিয়ে মার খাওয়ার থেকে এলাকায় ভিক্ষা করে খাব।”

বিষ্ণুপুরের বিধায়ক তথা মন্ত্রী দিলীপ মণ্ডল বলেন, “আগেও এলাকার একাধিক শ্রমিককে ফেরানো হয়েছে। এক্ষেত্রেও খবর পেয়েই ওই শ্রমিককে ফেরানোর ব্যবস্থা করি। বাংলা বলায় এভাবে হেনস্থা কাম্য নয়। পরিবারটির পাশে আছি। মুখ্যমন্ত্রীও পরিযায়ী শ্রমিকদের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন।”

mumbai harrasment migrant worker