Tiger that entered the forest of Purulia has returned to Jharkhand: টানা ৮ দিন পুরুলিয়ার জঙ্গলে ঘাপটি মেরে পড়েছিল ভিনরাজ্য থেকে ঢুকে পড়া বাঘ। সেই বাঘ ধরতে সব রকম কৌশল নিয়েছিলেন বনকর্মীরা। জঙ্গলে ট্র্যাপ ক্যামেরা বসানো থেকে শুরু করে বাঘ ধরতে খাঁচা পাতা, বাঘ বিশেষজ্ঞদের আনা, বাদ যায়নি কিছুই। শত কৌশলেও খাঁচায় ধরা দেয়নি রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার (Royal Bengal Tiger)। তবে অবশেষে খানিকটা হলেও স্বস্তি ফিরেছে। পুরুলিয়ার জঙ্গল ছেড়ে ঝাড়খণ্ডের বনাঞ্চলে ঢুকেছে বাঘটি।
বাঘ বিশেষজ্ঞদের একাংশ বলছেন, এর আগে ওড়িশা থেকে যে রুট ধরে বাংলার জঙ্গলমহলে ঢুকেছিল বাঘিনী জিনাত (Tigress Zeenat), নতুন বাঘটিও ওই একই রুটে এসেছিল। জিনাত জঙ্গলের বাংলার জঙ্গলমহলের যে এলাকাগুলিতে গিয়েছিল সেখানেই গত কয়েকদিন ধরে ঘুরপাক খেয়েছে এই বাঘটিও।
এ থেকেই বাঘ বিশেষজ্ঞদের অনুমান, সম্ভবত এই বাঘটি বাঘিনি জিনাতের 'প্রেমিক'। জিনাতের খোঁজেই সে পাড়ি দিয়েছিল বাংলার জঙ্গলমহলে। গত ১৩ জানুয়ারি ঝাড়খণ্ডের সীমানা পেরিয়ে ঝাড়গ্রামের বেলপাহাড়ির জঙ্গলে ঢুকে পড়েছিল জিনাতের 'প্রেমিক'। পরের দিন সে পুরুলিয়ার বান্দোয়ানের কাছে রাইকা পাহাড়ের জঙ্গলে হাজির হয়। এরপর একটানা রাইকা পাহাড় এবং তার পার্শ্ববর্তী জঙ্গলে ঘোরাফেরা করেছে বাঘটি।
আরও পড়ুন- Royal Bengal Tiger: বারবার কেন লোকালয়ে বাঘ? পোড়খাওয়া বিশেষজ্ঞ শোনালেন বাঘের 'লুকোচুরি'র তাজ্জব গল্প!
পড়শি রাজ্য থেকে আসা এই বাঘটির গলায় রেডিও কলার না থাকায় চিন্তায় ঘুম উড়েছিল বনকর্মীদের। গত কয়েকদিন ধরে নতুন এই বাঘটিকে খাঁচা বন্দি করতে নানা কৌশল নিয়েছিলেন বনকর্মীরা। বাঘ ধরতে খাঁচা পাতা থেকে শুরু করে জঙ্গলের বিভিন্ন জায়গায় ট্র্যাপ ক্যামেরা বসানো, বাঘ বিশেষজ্ঞদের এলাকায় নিয়ে যাওয়া, বাসিন্দাদের সতর্ক করতে মাইকে প্রচার করা, সব চলেছে টানা কয়েক দিন ধরে। জঙ্গলে বসানো ট্র্যাপ ক্যামেরায় পরপর দু'দিন বাঘের ছবিও দেখা গিয়েছে। কিন্তু কিছুতেই ফাঁদে ফেলা যায়নি বাঘটিকে।
আরও পড়ুন- Sonarpur News: চুরি করতে ঢুকে রাতভর চুটিয়ে মদ্যপান, ভোরে টাকা-গয়না নিয়ে চম্পট
পুরুলিয়ার বান্দোয়ানের রাইকা পাহাড়া সংলগ্ন এলাকায় গত কয়েকদিন একটানা প্রচারও চালিয়েছে বনদপ্তর। জঙ্গল লাগোয়া রাস্তা এড়িয়ে চলতে বারবার সতর্ক করা হয়েছে এলাকার বাসিন্দাদের। তবে সোমবারই মিলেছে স্বস্তির খবর। ঝাড়খণ্ডের বনদপ্তরের তরফে বাংলার বনদপ্তরের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছিল। জানানো হয়েছে, ঝাড়খণ্ডের ঘাঁটিকুলির জঙ্গলে বাঘের পায়ের ছাপ দেখা গিয়েছে। ওই বাঘটিই জিনাতের 'প্রেমিক' বলে একপ্রকার নিশ্চিত বনকর্মীরা।
আরও পড়ুন- Kolkata Metro: শিয়ালদহ থেকে এসপ্ল্যানেড পর্যন্ত সফল ট্রায়াল রান মেট্রোর, সময় কত লাগল জানেন?
তবে বাঘটি আপাতত বাংলার সীমানা পার করলেও সে কিন্তু একেবারে সীমানার নাকের ডগায় রয়েছে। যে কোনও মুহূর্তে ঝাড়খণ্ডের সীমানা লাগোয়া ওই জঙ্গল থেকে ফের সে বাংলামুখী হতে পারে বলেও আশঙ্কা রয়েছে। সেই কারণে আপাতত পুরোপুরি নিশ্চিন্ত নয় বাংলার বনদপ্তর। আপাতত আরও কয়েকদিন বাংলার জঙ্গলমহলের এই অংশে কড়া নজরদারি রাখবেন বনকর্মীরা।