Dam Crack: বাংলার বিখ্যাত ব্যারেজে ফাটল-ধ্বস, সীমাহীন চিন্তায় প্রশাসন!

Flood Risk: এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে তুমুল আশঙ্কা দানা বেঁধেছে ওই এলাকায়। ইতিমধ্যেই ওই জলাধার লাগোয়া এলাকায় যান চলাচলও নিয়ন্ত্রণ করেছে পুলিশ। স্থানীয় বাসিন্দারা উদ্বেগে রয়েছেন।

Flood Risk: এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে তুমুল আশঙ্কা দানা বেঁধেছে ওই এলাকায়। ইতিমধ্যেই ওই জলাধার লাগোয়া এলাকায় যান চলাচলও নিয়ন্ত্রণ করেছে পুলিশ। স্থানীয় বাসিন্দারা উদ্বেগে রয়েছেন।

author-image
Ashis Kumar Mondal
New Update
Tilpara Barrage	,তিলপাড়া জলাধার, ক্র্যাক,	ফাটল, Landslide	,ধস Breach	,ভাঙন, Collapse	ধ্বংস / ধস, Flood রিস্ক,	প্লাবনের ঝুঁকি, এভাকিউশন,নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া

বিখ্যাত জলাধারের দেওয়ালে ফাটল, ধ্বস।

Dam Crack: বীরভূমেরসিউড়ি শহর ছাড়িয়ে ১৪ নং জাতীয় সড়কের উপর থাকা তিলপাড়া জলাধারের জল বিভাজনকারী দেওয়ালে দেখা দিয়েছে ধসের চিহ্ন। ফাটল আগেই ধরা পড়েছিল। এবার সেই ফাটল ক্রমশ ধ্বসের চেহারা নিচ্ছে। যা রীতিমতো উদ্বেগের সঞ্চার করেছে এলাকায়। ইতিমধ্যেই ওই এলাকায় নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে যান চলাচল। 

Advertisment

সিউড়ি থেকে জাতীয় সড়ক ধরে রামপুরহাট যাওয়ার অন্যতম প্রধান সড়কপথ হল এই জাতীয় সড়ক। এর মাঝেই রয়েছে ময়ূরাক্ষী নদীর উপর তিলপাড়া জলাধার। দীর্ঘদিন ধরেই এই জালাধারটি ক্ষতিগ্রস্ত অবস্থায় ছিল। কিছুদিন ধরেই জলাধারটির সংস্কারের কাজ শুরু হয়েছিল। কিন্তু সেই জলাধারের নিম্ন ধারায় থাকা জল বিভাজনকারী লম্বা কংক্রিটের দেওয়ালে ফাটল দেখা দেওয়ায় দ্রুত সেই সংস্কারের কাজ বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয়েছিল কর্তৃপক্ষ। তবে এবার সেই ফাটলের চেহারা বড় আকার নিতে শুরু করেছিল। শুক্রবার পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে সেছিলেন সেচ দপ্তরের কর্তারা।

তারা পরিদর্শন করে ফেরার পরই, বিকেলের দিকে ফাটল গুলি ধসের চেহারা নিতে শুরু করেছে। যা চিন্তার ভাঁজ ফেলেছে সেচ দপ্তরের কপালে। বড়সড় ক্ষতির আশঙ্কায় ঘুম উড়েছে সকলের। কারন এই জলাধারে বিপর্যয় নামলে তা বীরভূমের সদর শহর সিউড়ির যোগাযোগ ব্যবস্থায় চরমভাবে প্রভাব ফেলবে।

Advertisment

আরও পড়ুন- Amader Para Amader Samadhan:চালু 'পাড়া সমাধান', রাজ্যের নয়া প্রকল্পে কোন কোন সমস্যায় চটজলদি কাজ? সুবিধার্থে জানুন

সেচ দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, জলাধারের চার ও পাঁচ নম্বর গেটের মাঝে থাকা ওয়াটার ডিভাইডারে এই ফাটল দেখা গেছে। অতিরিক্ত জলস্ফীতির চাপেই এই ঘটনা ঘটেছে বলে অনুমান। তবে এনিয়ে নানা মহলে নানা মত শোনা গেছে। তিলপাড়া জলাধারের বেহাল দশার পেছনে এলাকাবাসীর বড় অংশ যথেচ্ছ বালি উত্তোলনকেও দায়ী করেছে।

আরও পড়ুন- SIM card check:আপনার আধার নম্বরে কতগুলো সিমকার্ড চালু তা জানবেন কীভাবে? জানুন ব্লক করার উপায়ও

কারন এই জলাধারের নিকটবর্তী ময়ূরাক্ষীর নানা ঘাট থেকে বেপরোয়া বালি লুট, নিয়মের তোয়াক্কা না করে নদীগর্ভ খুবলে বালি তোলা স্বাভাবিক চেহারায় পরিণত হয়েছে। শাসকদল, প্রশাসন এবং বালি কারবারীদের গাঁটছড়ায় নদীবুক আজ বিপন্ন। ফলে মানুষের অভিযোগ, এই বেপরোয়া লুটও জলাধারের নির্মানে আঘাত হেনেছে। এদিন বিকেলের পর থেকে চরম উদ্বেগের সঞ্চার হয়ে যে জলাধারের দেওয়ালে ধসের চিহ্ন নজরে আসতে। প্রশাসনিক তৎপরতা বেড়েছে এই বিপর্যয় সামাল দেওয়ার জন্য।

আরও পড়ুন- West Bengal News Live Updates:শেষমেষ ডাকাবুকো তৃণমূল নেতা খুনের বড়সড় গ্রেফতারি, আটকও বেশ কয়েকজন

উত্তরবঙ্গের সাথে দক্ষিণবঙ্গের সড়কপথে প্রধান যোগাযোগকারী রাস্তায় থাকা জলাধারের বিপর্যয় প্রসঙ্গে সেচ দপ্তরের এক ইঞ্জিনিয়ার জানিয়েছেন, "তিলপাড়া ব্যারেজের ডাউন স্ট্রিমের এক্সটেনশন পিলার অ্যান্ড ওয়াটার ডিভাইডারের একাংশে ফাটল দেখা দিয়েছিল আগেই। এবার তাতে ধস নামার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। কোথাও কোথাও ভাসমান অবস্থায় রয়েছে গুরুত্বপূর্ণ এই ব্যারেজের নিচের অংশ। দীর্ঘদিন ধরে মেরামতির অভাবে চূর্ণ-বিচনা হয়ে গিয়েছে ব্রিজের নিচের অংশগুলি। জোর কদমে চলছে মেরামতির কাজ কিন্তু বাধা আনছে ঝাড়খন্ড ও বীরভূমের অতিরিক্ত বৃষ্টি। ফলে এই অবস্থাতেই জল ছাড়তে হচ্ছে এখান থেকে। স্বাভাবিকভাবেই চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে মেরামতির কাজ।" ঘটনা যেকোনো সময় বড়সড় দূর্ঘটনার আশঙ্কার জন্ম দিয়েছে। ঘটনার জেরে যান চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ফলে যানজট, দূর্ভোগও চরম আকার নিতে চলেছে বলে নিশ্চিত সকলে। এদিন সকালে এলাকা পরিদর্শন আসা সেচ দপ্তরের চিফ ইঞ্জিনিয়ার দেবাশিস সেনগুপ্ত বলেছেন, "পরিদর্শন করেছি। অবস্থা ভাল নয়। দ্রুত মেরামতি করতে হবে।"

Birbhum Bengali News Today