/indian-express-bangla/media/media_files/2025/03/07/RzUV0KvM6InjmtCVoYGV.jpg)
প্রতীকী ছবি।
intra-party dissent:২১ জুলাই হয়ে গেলেও তৃণমূল কংগ্রেস পরিচালিত কৃষ্ণনগর পুরসভার চেয়ারম্যান রীতা দাসের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনা থেকে বিরত থাকলেন না দলের কাউন্সিলররা। ফের অনাস্থা প্রস্তাব আনলেন ১২ জন কাউন্সিলর। সেই মতো দলের ৩ কাউন্সিলর পুর আইনের বলে এই অনাস্থা প্রস্তাবের জন্য ২৮ জুলাই পুরসভার কক্ষে বিশেষ সভা ডাকলেন। প্রশাসনিক মহলেও পৌঁছে গিয়েছে এই চিঠির কপি।
তৃণমূল কংগ্রেস পরিচালিত কৃষ্ণনগর পুরসভার গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যানের পর দলের ৩ কাউন্সিলরকে অনাস্থার জন চিঠি দেয় দলের ১০ কাউন্সিলর সহ ১২ জন কাউন্সিলর। কৃষ্ণনগর তৃণমূলে এই সমস্যা মাথাচাড়া দিলেও দেখা যায় ২১ জুলাইয়ের সভার মধ্যে নেতৃত্বের সঙ্গে কথাবার্তার পর বিষয়টি মিটে যায়। কিন্ত সার্ধ শতবর্ষ পেরিয়ে যাওয়া কৃষ্ণনগর পুরসভার বর্তমান অচলাবস্থা কিছুতেই যেন মিটছে না।
বছর ঘুরলেই '২৬-এর বিধানসভা ভোট। সেক্ষেত্রে বর্ধিষ্ণু কৃষ্ণনগর পুরসভার উন্নয়নের কর্মকাণ্ড, পরিষেবা খুবই জরুরি বিষয়। অথচ কাউন্সিলরদের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কারণে পরিষেবা না পেয়ে সাধারণ মানুষ ক্ষুব্ধ। এই ঘটনার জেরে পুরসভায় অচলাবস্থা চরমে পৌঁছেছে। শহরের একাধিক উন্নয়ন প্রকল্প বন্ধ হয়ে পড়েছে। সাধারণ নাগরিকদের ভোগান্তিও বেড়েছে। প্রসঙ্গত কৃষ্ণনগর পুরসভার মোট ২৫ জন কাউন্সিলরের মধ্যে একজন প্রয়াত হওয়ায় বর্তমানে সংখ্যাটি ২৪ জন।
২৫ জুন আনুষ্ঠানিকভাবে ১৫ জন কাউন্সিলর স্বাক্ষর করেন অনাস্থায়। এর মধ্যে রয়েছেন তৃণমূলের ১৩ জন, কংগ্রেসের শান্তশ্রী সাহা (১৪ নম্বর ওয়ার্ড) ও নির্দল কাউন্সিলর অসিত সাহা—এই ১৫ জন একযোগে অনাস্থা প্রস্তাবে সই করেন। তারপর ১১ জুলাই চেয়ারম্যান রীতা দাসের বিরুদ্ধে ফের অনাস্থা প্রস্তাব আনেন তৃণমূলের ১৩ জন কাউন্সিলর সহ মোট ১৫ জন।
চেয়ারম্যান কোনও মিটিং না ডাকায় ভাইস চেয়ারম্যান নরেশ দাসের কাছে ৭ দিনের মধ্যে সভা ডাকার অনুরোধ জানিয়ে লিখিত আবেদন করেন তাঁরা। সেই সময় পেরিয়ে যেতে ফের দলের ১০ কাউন্সিলর সহ ১২ জন কাউন্সিলর দলের ৩ কাউন্সিলর মলয় দত্ত, শিশির কর্মকার ও সৌগত কৃষ্ণ দেবের কাছে ফের অনাস্থা প্রস্তাবের জন্য চিঠি দেন। সেই মতো মঙ্গলবার বিকেলে এই ৩ কাউন্সিলর অনাস্থা প্রস্তাবের জন্য ২৮ জুলাই পুরসভার কক্ষে বিশেষ সভা ডাকলেন।
এর আগে বাজেট পেশ না করা, সিআইসি বৈঠক এড়িয়ে একতরফা টেন্ডার পাশ করানোর চেষ্টা, পিচের ড্রাম নিয়ে আর্থিক অনিয়ম এই সব অভিযোগ নিয়েই সম্প্রতি একটি রুদ্ধদ্বার বৈঠক হয়। যেখানে উপস্থিত ছিলেন জেলাশাসক অরুণ প্রসাদ, পুলিশ সুপার অমরনাথ কে, মহকুমাশাসক শারদ্বতী চৌধুরী সহ প্রশাসনের উচ্চপদস্থ কর্তারা। কিছুতেই কিছু হয়নি। তারপর দলের মেগা ইভেন্ট ২১ জুলাইয়ের শহিদ সমাবেশ মিটলেও কৃষ্ণনগর পুরসভার সমস্যা মিটল না। বরং বিষয়টি নিয়ে এক ধাপ এগিয়ে বিশেষ ডাকা হয়েছে।
আরও পড়ুন- Kalyan Banerjee:ভরা আদালতে কল্যাণকে পুরী যাওয়ার আমন্ত্রণ ওড়িশা সরকারের, কারণ জানলে তাজ্জব হবেন!
এই প্রসঙ্গে পুরসবার ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের কংগ্রেস কাউন্সিলর শান্তশ্রী সাহা বলেন, "বর্ষার মরশুমে কৃষ্ণনগরের অবস্থা অত্যন্ত খারাপ। নাগরিক পরিষেবা ভেঙে পড়েছে। এই অবস্থায় চেয়ারম্যান কোনও মিটিং ডাকেনি। শহরের উন্নয়নের জন্য তাই অনাস্থা প্রস্তাব আনতে আমরা চিঠিতে স্বাক্ষর করেছি। সেই মতো ২৮ তারিখ বিশেষ সভা ডাকা হয়েছে।"