TMC Inner Conflict: তিন দিনে রাজ্যে তিনজন তৃণমূল নেতা খুন হয়েছেন। তার মধ্যে দুটি ঘটনায় গ্রেফতার হয়েছে সক্রিয় তৃণমূল নেতা। ভাঙড়ে রাজ্জাক খাঁ খুনের অভিযোগে মোফাজ্জল মোল্লা গ্রেফতার হয়েছেন। অভিযুক্ত আবার বিধায়ক সওকত মোল্লার ঘনিষ্ট বলে দাবি। মালদায়ও দলীয় নেতা খুনে গ্রেফতার হয়েছে তৃণমূল নেতা। এদিকে রাজ্যের আরেক বিধানসভা এলাকা দ্বিতীয় ভাঙড় হতে চলেছে অভিযোগ করেছেন খোদ ব্লক তৃণমূল সভাপতি। সেখানে মায়ের কোল খালি হলে বিধায়ক দায়ী থাকবেন বলেও তিনি ঘোষণা করেছেন।
ফের তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল প্রকাশ্যে। এবার মুর্শিদাবাদের সাগরদিঘির তৃণমূল বিধায়ক বাইরন বিশ্বাসের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিলেন ব্লকের তৃণমূলের ব্লক সভাপতি নুরে মেহেবুব আলম। সাগরদিঘির দিয়ার বালাগাছি এলাকায় ২১ জুলাইয়ের প্রস্তুতি সভার মঞ্চ থেকে বিধায়কের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন তৃণমূলের ব্লক সভাপতি। তিনি বলেন, "যাঁরা আসল তৃণমূল, যাঁরা বুথ সভাপতি, যাঁরা তৃণমূলের জন্য পরিশ্রম করছে, তাঁদেরকে বিধায়ক বিভিন্নভাবে প্রত্যাঘাত করার চেষ্টা করছে।সাগরদিঘিকে দ্বিতীয় ভাঙড় করার চেষ্টা করছে বিধায়ক।"
এছাড়াও ব্লক সভাপতি গুচ্ছ গুচ্ছ অভিযোগ এনেছেন বিধায়কের বিরুদ্ধে। মেহেবুব আলম বলেন, "নিজের ব্যবসা বাঁচানোর জন্য বাইরন বিশ্বাস তৃণমূলে এসেছেন। শান্তিপ্রিয় সাগরদিঘিতে যাতে মানুষে মানুষে বিভেদ হয় তার চেষ্টা করছে বিধায়ক। আমাদের কোনও ভাইয়ের কোল খালি হলে তার জন্য দায়ী থাকবেন আপনি।" দল ছাড়ার হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন ব্লক সভাপতি।
যদিও এই বিষয় নিয়ে সাগরদিঘির বিধায়ক বাইরন বিশ্বাসের কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। তিনি ফোন ধরেননি, এসএমএসের জবাবও দেননি। এদিকে রাজ্য কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি অধীর চৌধুরী বলেন, "এভাবে নিজেদের মধ্যে রক্তক্ষরণ হতে হতে তৃণমূল শেষ হয়ে যাবে।"