/indian-express-bangla/media/media_files/2024/10/17/JxEJ3blzknhayW8wVjGQ.jpg)
Anubrata Mondal: অনুব্রত মণ্ডল।
বীরভূমের তৃণমূল কংগ্রেস নেতা অনুব্রত মণ্ডলের মন্তব্যে নতুন করে রাজনৈতিক তরজা শুরু হয়েছে রাজ্যে। যেখানে তাঁর দল শুরু থেকেই এসআইআর (Special Intensive Revision) প্রক্রিয়ার তীব্র বিরোধিতা করে আসছে, সেখানে অনুব্রত মণ্ডলের গলায় উঠে এল একেবারে উল্টো সুর।
বীরভূমের তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডল বলেন, “এস আই আর চালু হোক না, এতে অসুবিধা কী আছে? এস আই আর হলে তো ভালোই হবে, খারাপের কিছু নেই।” তাঁর এই মন্তব্যে স্বভাবতই চাপে পড়েছে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস, কারণ দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সম্প্রতি এসআইআর নিয়ে নির্বাচনী কমিশনের বিরুদ্ধে তীব্র সুর চড়িয়েছেন।
উল্লেখ্য, নির্বাচন কমিশন বাংলা সহ ১২টি রাজ্যে বিশেষ ভোটার তালিকা সংশোধন প্রক্রিয়া (SIR) চালু করেছে। এই প্রক্রিয়ায় ঘরে ঘরে সমীক্ষা চালিয়ে ভোটার তালিকার তথ্য যাচাই করা হচ্ছে। তৃণমূল কংগ্রেস অভিযোগ করেছে, এই উদ্যোগের আড়ালে BJP এবং কেন্দ্র সরকার রাজ্যে বিভ্রান্তি ছড়াতে চাইছে।
গতকালই এক সাংবাদিক বৈঠকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “যদি ভোটার তালিকায় সমস্যা থাকে, তাহলে লোকসভা ভেঙে দিয়ে ফের নির্বাচন করা হোক। শুধু পশ্চিমবঙ্গেই কেন SIR? নির্বাচন কমিশন আসলে রাজ্যের প্রশাসনিক নিয়ন্ত্রণ নিজের হাতে নিতে চাইছে, যাতে ২০২৬ সালের বিধানসভা ভোটের আগে সরকারকে দুর্বল করা যায়।”
অন্যদিকে, অনুব্রত মণ্ডলের বক্তব্যে দলীয় নেতৃত্বের ভেতরে প্রশ্ন উঠেছে— এটি কি ব্যক্তিগত মত, না কি কোনও ইঙ্গিতবাহী অবস্থান? তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, দলীয় নেতৃত্ব তাঁর বক্তব্য খতিয়ে দেখছে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, অনুব্রত মণ্ডলের মতো প্রবীণ জেলা নেতার এই অবস্থান তৃণমূলের বার্তায় বিভ্রান্তি তৈরি করতে পারে। এসআইআর ইস্যুতে যেখানে রাজ্যজুড়ে আন্দোলন গড়ে তুলছে তৃণমূল, সেখানে দলের ভেতর থেকে এই ভিন্নমত নিঃসন্দেহে বিজেপিকে রাজনৈতিক সুবিধা এনে দিতে পারে।
/indian-express-bangla/media/agency_attachments/2024-07-23t122310686z-short.webp)
Follow Us