Tmc MLA Abdul Ghani blames killing of Tmc leaders in Malda on factional conflict of the party: ১২ দিন আগে খুন হয়েছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সহসভাপতি ও কাউন্সিলর বাবলা সরকার, এবার খুন হলেন অঞ্চল সভাপতি বকুল শেখ। মালদায় তৃণমূল কংগ্রেসের গোষ্ঠী সংঘর্ষে নৃশংস খুনের ঘটনাকে অমানবিক বললেন সুজাপুরের তৃণমূল বিধায়ক আব্দুল গণি। ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলাকে তৃণমূল বিধায়ক বলেন, "অমানবিক, অনভিপ্রেত ও দুঃখজনক ঘটনা। দ্বন্দ্ব এতটা বেশি আমার জানা ছিল না। রাজনীতির নোংরা আবহে সময় কটাতে হচ্ছে। কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য মালদার পুলিশ সুপারের সঙ্গে কথা বললাম।"
মালদায় একের পর এক তৃণমূল নেতা-কর্মীর ওপর নৃশংস আক্রমণ ঘটে চলেছে। দুটি ঘটনায় দুজনের মৃত্যু হয়েছে, দুজন মারাত্মক জখম অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তবে দুটি হামলার ঘটনাতেই তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে এসেছে। বিজেপি বা বাম কংগ্রেসের বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ নেই। বাবলা সরকারের খুনের ঘটনায় শহর তৃণমূলের সভাপতি নরেন্দ্রনাথ তেওয়ারিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। কালিয়াচকের ঘটনায় সরাসরি তৃণমূলের অন্য গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে।
আব্দুল গণি বলেন, "অমানবিক ঘটনা। চিন্তা করা যায় না। ভাবা যায় না। দ্বন্দ্ব এতটা বেশি সেটা জানা ছিল না। সম্প্রতি কিছু লোক দলে জয়েন করবে শুনেছিলাম। আমাকে বলেছিল, আমি যেতে পারিনি। জেলা সভাপতি ঠিকঠাক করে নিয়েছিলেন। আমি বিষয়টা বলবো শীর্ষ নেতৃত্বকে। সংগঠনের পরিবর্তনের দরকার আছে। আমি য বলবো তা হবে তাতো নয়। শীর্ষ নেতৃত্ব যা ভাববে তা হবে। ভালো হবে বলে আশা করছি।"
আরও পড়ুন- West Bengal News Live Updates: চাকরি হারানো ২৬ হাজার শিক্ষকের ভবিষ্যৎ কী? সুপ্রিম কোর্টে আজ ভাগ্য নির্ধারণ
সুজাপুরের বিধায়কের দাবি, "আমি বিধায়ক নির্বাচিত হওয়ার পর আমার বিধানসভা এলাকায় এমন কোনও ঘটনা ঘটেনি। তবে সুজাপুরের ঘটনায় আমি তো হতবাক। প্রথমে তো জানতেই পারিনি। আমি বিধানসভায় বৈঠকে অংশ নিতে যাচ্ছিলাম। প্রশাসনের ভালো করে তদন্ত করে দেখা উচিত। কি আর বলবো।" তোলাবাজি ও ক্ষমতা দখলের জেরেই কি এমন আক্রমণ? তৃণমূল বিধায়ক বলেন, "ব্যাপারটা ছদ্মবেশে ওটাই দাঁড়ায়। ক্ষমতার লড়াই তো বটেই।"
আরও পড়ুন- Saline Controversy:মাল্টি অর্গ্যান ফেলিওরেই মৃত্যু প্রসূতির, মেদিনীপুর 'বিষ স্যালাইন' কাণ্ডে প্রকাশ্যে ময়নাতদন্ত রিপোর্ট
প্রাক্তন বিচারপতির আক্ষেপ ঘটনাচক্রে তিনি বিধায়ক হয়েছেন। কেন বিধায়ক হয়েছেন? সেই প্রশ্নও মাঝে-মধ্যে তাঁকে শুনতে হয়। তাঁর বক্তব্য, "এবারও ইচ্ছা ছিল না নির্বাচনে দাঁড়ানোর। রাজনীতির নোংরা আবহে সময় কাটাতে হচ্ছে।" তিনি বলেন, "আমি মালদার পুলিশ সুপারের সঙ্গে কথা বললাম। গ্রেফতার করে ব্যবস্থা নিতে বলেছি। তিনি বলেছেন, কিছু লোককে জিজ্ঞাসাবাদ করছি।"
আরও পড়ুন- Purba Bardhaman News: মুখ্যমন্ত্রীর হুঁশিয়ারি থোড়াই কেয়ার! 'বাংলার বাড়ি' প্রাপকদের থেকে মোটা টাকা আদায় পঞ্চায়েতের