Toll free number launched to prevent corruption in Banglar Bari projects:আবাস দুর্নীতি নিয়ে লাগাতার উপর্যুপরি অভিযোগে রীতিমতো অস্বস্তিতে পড়তে হয়েছে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূলকে। তাই এবার 'বাংলার বাড়ি' প্রকল্প নিয়ে শুরু থেকেই অত্যন্ত সাবধানী রাজ্য সরকার। 'বাংলার বাড়ি' প্রকল্পে দুর্নীতি রুখতে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করেছে রাজ্য সরকার। উপভোক্তাদের পাশে দাঁড়াতে এবার রাজ্যের উদ্যোগে চালু হয়েছে নয়া টোল ফ্রি নম্বর।
জানা গিয়েছে, আগামী সপ্তাহ থেকেই নবান্নের তরফে পুরোদমে চালু হয়ে যাচ্ছে একটি কন্ট্রোল রুম। টোল ফ্রি নম্বর-১৮০০৮৮৯৯৪৫১ নম্বরে ফোন করলে সরাসরি 'বাংলার বাড়ি' সংক্রান্ত যে কোনও অভিযোগ জানাতে পারবেন উপভোক্তারা। অভিযোগের গুরুত্ব বুঝে একেবারে রাজ্যের প্রশাসনের শীর্ষস্তর থেকে উপযুক্ত পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
'বাংলার বাড়ি' প্রকল্পে দুর্নীতি রুখতে একেবারে জিরো টলারেন্স নীতি নিয়েছে মুখ্যমন্ত্রী বন্দ্যোপাধ্যায় নেতৃত্বাধীন রাজ্য সরকার। এক্ষেত্রে উপভোক্তাদের হয়রানি এড়াতে এবার টোল ফ্রি নম্বর চালু হচ্ছে। 'বাংলার বাড়ি' প্রকল্পের সুবিধা দিতে উপভোক্তার কাছে কেউ টাকার দাবি করলে সরাসরি তার বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ করা হবে।
আরও পড়ুন- Mann ki Baat: মেয়েবেলার 'গোপন জিজ্ঞাসা' জানতে যুগান্তকারী উদ্যোগ! স্কুলে-স্কুলে 'মনের কথা' ড্রপবক্স
এমনকী নির্দিষ্টভাবে অভিযোগ পেলে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে FIR দায়ের করা নির্দেশ দিয়েছেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এক্ষেত্রে প্রশাসনের সব স্তরকে রীতিমতো সজাগ থাকার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। রাজ্য প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে বিধাননগরে পঞ্চায়েত দপ্তরে টোল ফ্রি নম্বরের কন্ট্রোলরুম খোলা হয়েছে। আগামী দিনে সেখানে ফোনের সংখ্যা আরও বাড়ানো হবে।
আরও পড়ুন- Special Train: হাওড়া ডিভিশনের যাত্রীদের জন্য 'বিরাট সুখবর', চলছে স্পেশাল ট্রেন, জানুন সময়সূচি
উল্লেখ্য, দিন কয়েকে আগেই গ্রাম বাংলার মানুষের জন্য 'বাংলার বাড়ি' প্রকল্পের সূচনা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ওই দিনই প্রকল্পের সূচনা করে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, ১২ লক্ষ মানুষের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে বাড়ি তৈরির প্রথম কিস্তির ৬০ হাজার টাকা ঢুকবে। দ্বিতীয় কিস্তিতেও দেওয়া হবে আরও ৬০ হাজার টাকা। উপভোক্তাদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে 'বাংলার বাড়ি' প্রকল্পের টাকা পাঠাচ্ছে রাজ্য। ২০২৬ সালের প্রথম মাসের মধ্যেই আরও ১৬ লক্ষ মানুষকে 'বাংলার বাড়ি' প্রকল্পের টাকা দেওয়া হবে।