Trump-Munir Meeting on Iran Conflict: হোয়াইট হাউসে লাঞ্চ টেবিলে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং পাকিস্তানের সেনাপ্রধান ফিল্ড মার্শাল আসিম মুনির। এই বৈঠকে কড়া নজর রেখেছে ভারত। জানা গিয়েছে, ট্রাম্প-মুনিরের মধ্যে ইরান-ইজরায়েল উত্তেজনা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। দিল্লির আশঙ্কা, এই আলোচনার মূল উদ্দেশ্য ছিল ইরানে সম্ভাব্য সামরিক অভিযানের জন্য পাকিস্তানের বিমানঘাঁটি এবং আকাশপথ ব্যবহারের প্রস্তুতি।
কী বলল পাকিস্তান সেনা?
বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে পাকিস্তান সেনাবাহিনী জানায়, “ইরান ও ইজরায়েলের মধ্যে চলমান উত্তেজনা নিয়ে বিশদ আলোচনা হয়েছে এদিনের বৈঠকে। উভয় পক্ষই সংঘাতের শান্তিপূর্ণ সমাধানের গুরুত্বের উপর জোর দেন।”
এদিনের বৈঠক শেষে ট্রাম্প বলেন,“আমি যে কারণে ওঁকে (আসিম মুনির) এখানে ডেকেছি, আমি ধন্যবাদ জানাতে চেয়েছিলাম যুদ্ধ না করে, তা থামানোর জন্য।” আমি প্রধানমন্ত্রী মোদীকেও সংঘর্ষ বিরতির জন্য ধন্যবাদ জানাই। ভারত-পাকিস্তান সংঘাত পরমাণু যুদ্ধে পরিণত হতে পারত।”
মুনির ট্রাম্পকে “সরকারি সফরে পাকিস্তান আসার” আমন্ত্রণ জানান। ট্রাম্পের সঙ্গে ছিলেন মার্কিন বিদেশসচিব মার্কো রুবিও ও মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক প্রতিনিধি স্টিভ উইটকফ। মুনিরের সঙ্গে ছিলেন পাকিস্তানের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ও ISI প্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল আসিম মালিক।
কংগ্রেস সাংসদ শশী থারুর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং পাকিস্তানের সেনাপ্রধান জেনারেল আসিম মুনিরের মধ্যাহ্নভোজ এবং বৈঠক নিয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। তিনি আমেরিকাকে মনে করিয়ে দিয়েছেন— পাকিস্তানই সেই দেশ যেখানে ২০০১ সালের ভয়ঙ্কর ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টার হামলার মূল চক্রী ওসামা বিন লাদেনকে আশ্রয় দেওয়া হয়েছিল।
থারুর বলেন,"কীভাবে এত দ্রুত আমেরিকা ওসামাকে ভুলে গেল? সেই লাদেন যিনি প্রায় ৩ হাজার নিরীহ মানুষের প্রাণ নিয়েছিলেন, তিনি পাকিস্তানের সেনা ঘাঁটির কাছেই লুকিয়ে ছিলেন। আজ সেই দেশের সেনাপ্রধানের সঙ্গে মধ্যাহ্নভোজ করে কেউ যদি কূটনৈতিক সম্পর্ক জোরদার করতে চায়, তা হলে সেটা গভীর উদ্বেগের বিষয়।"
শশী থারুর আরও বলেন,"পাকিস্তান দীর্ঘদিন ধরে দ্বিচারিতা করে চলেছে। তারা একদিকে সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের কথা বলে, অন্যদিকে ভারতের মাটিতে হামলা চালানোর জন্য জঙ্গিদের মদত দেয়।"
প্রসঙ্গত, হোয়াইট হাউসে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং পাকিস্তান সেনাপ্রধান জেনারেল আসিম মুনিরের মধ্যে এই বৈঠক ঘিরে আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে নানা প্রশ্ন উঠেছে। ভারতের তরফে সরাসরি প্রতিক্রিয়া জানানো না হলেও, কূটনৈতিক মহলে এই বৈঠক নিয়ে জল্পনা জোরানো হচ্ছে।