Biryani Restaurants: বেশ কিছুদিন ধরে এলাকার বেশ কিছু বাসিন্দা পেটের রোগে ভুগছিলেন। ক্রমাগত পেট খারাপের সমস্যা বেড়েই চলছিল এলাকায়। কোন্নগর পুরসভা এলাকার এস সি চ্যাটার্জি রোডের এই ঘটনা ঘিরে উদ্বেগে ছিল স্থানীয় প্রশাসন। পুরসভার পক্ষ থেকে স্বাস্থ্যকর্মীরা রুটিন অনুযায়ী বাড়ি-বাড়ি গিয়ে খোঁজ-খবর করতে শুরু করেন। এরপরেই বিষয়টি নজরে আসে। নজর পড়ে এলাকারই ফাস্ট ফুডের দোকানগুলিতে।
কোন্নগর পুরসভার একটি টিম গিয়েছিল এলাকারই একটি বিরিয়ানির দোকানে। সেখানে ছানমিন করতেই নজরে আসে metanil yellow-র একটি প্যাকেট। ১০ টাকা মূল্যের এই প্যাকেটটি সাধারণত বয়নশিল্পে হলুদ রংয়ের জন্য ব্যবহার করা হয়। কিন্তু এই প্যাকেটটি বিরিয়ানির দোকানে কেন? পুরকর্মীদের চাপে দোকানদার গোলাম হোসেন স্বীকার করে নিলেন, যে বিরিয়ানিতে হলুদের বদলে ওই কেমিকেল পাউডার ব্যবহার করেন তিনি। সঙ্গে সঙ্গে বাজেয়াপ্ত করা হয় ওই প্যাকেটটি। পুরসভার পক্ষ থেকে গোলামের কাছ থেকে ৭০০ টাকা জরিমানার পাশাপাশি দোকানটি বন্ধ করে দেওয়া হয়।
পুরপ্রধান স্বপন দাস জানান, ওই দোকানটির কোন ফুড লাইসেন্সও নেই। অন্যদিকে সেই বিরিয়ানির দোকানের মালিক গোলাম জানিয়েছেন, তিনি গত এক বছর ধরে ওই দোকান চালাচ্ছেন। প্রশ্ন হল এতদিন ধরে পুরসভার নাকের ডগায় কী করে অবৈধ দোকানগুলো চলছিল? খোঁজ নিলে দেখা যাবে এমন হয়তো আরও অনেক দোকানেই এই ধরনের জালিয়াতি চলছে। বিশেষ করে বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গাপুজোর আবহে মারাত্মক এই ঘটনা সামনে আসায় স্বাভাবিকভাবেই উদ্বেগ বেড়েছে।
পুরপ্রধান স্বপন দাস আরও জানান, দীর্ঘদিন তাঁদের পুরসভায় কোনও নতুন নিয়োগ নেই। প্রয়োজনের তুলনায় কম কর্মী নিয়ে কাজ চালাতে হয়। তাই এই পুরসভায় স্বাস্থ্য নিয়ে নজরদারি করার জন্য কোনও ভিজিলেন্স টিম নেই। তাঁর কথায়, "এখন অনলাইনে লোকে ফুড লাইসেন্স বানিয়ে দোকান করছে। অফলাইনে আগে হত যখন, তখন আমরা জানতে পারতাম কার কার ফুড লাইসেন্স আছে। এখন কিছু জানা যায় না। আর দোকানে দোকানে গিয়ে চেক করার মতো আমাদের স্টাফ নেই। তবে মাঝে মধ্যে খবর এলেই হানা দেওয়া হয়।"
আরও পড়ুন- RG Kar Medical College: 'থ্রেট কালচার', বহিষ্কারের কোপে আরজি করের কোন ১০ চিকিৎসক?
আরও পড়ুন- Junior Doctors Hunger Strike: 'উৎসবে নয়', ন্যায় বিচারের দাবিতে আমরণ অনশনে জুনিয়র ডাক্তাররা
আরও পড়ুন- Durga Puja 2024: 'সেরার সেরা' চমক দিকে তৈরি জেলার এই পুজো, মণ্ডপসজ্জার উপকরণ জানলে চমকে উঠবেন!
এক্ষেত্রেই খবর মিলতেই ওই দোকানটি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। আর্থিক জরিমানাও করা হয়েছে। পুরপ্রধান আরও বলেন, "ক্ষমার অযোগ্য কাজ। বিষ মেশানো খাবার। এ জিনিস এখানে চলবে না। টাকা বাঁচাতে পুরো এক হাঁড়ি বিরিয়ানি হলুদ বাদ দিয়ে মাত্র ১০ টাকার একটা ছোট প্যাকেট ব্যবহার করা হচ্ছিল। যে রাসায়নিক রং সাধারণত গেঞ্জিতে রং করতে কাজে লাগে।" যদিও দোকানমালিক গোলাম বলেন, "হলুদ ফুরিয়ে গেছিল, তাই বিকল্প হিসেবে ওই প্যাকেটটা ব্যবহার করেছি। আমার ভুল হয়ে গেছে। আমি জানতাম না এটা মানুষের খাবার নয়।"