/indian-express-bangla/media/media_files/2025/01/18/UE4hkTE2joE8Nb0tP6Q4.jpg)
Goalpokhor Update: পুলিশকে গুলি-কাণ্ডে মূল অভিযুক্ত এবার পুলিশের গুলিতেই খতম।
Uttar Dinajpur News: পুলিশের এনকাউন্টারে হত পাঞ্জিপাড়াকাণ্ডে মূল অভিযুক্ত সাজ্জাক আলম? পুলিশের দাবি, গোয়ালপোখর থানার সাহাপুর ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের শ্রীপুরে সীমান্ত পার করে বাংলাদেশে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছিল সাজ্জাক। সেই সময় তিন রাউন্ড গুলি চালায় পুলিশ। পুলিশের গুলি গিয়ে লাগে সাজ্জাকের গায়ে। জখম অবস্থায় তাকে লোধন হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
সম্প্রতি রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমার বলেছিলেন, যে দুষ্কৃতীরা যদি পুলিশকে লক্ষ্য করে একটি গুলি চালায়, তাহলে পুলিশ চারটি গুলি চালাবে। এরপর উত্তর দিনাজপুরের পাঞ্জিপাড়ার ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যান রাজীব কুমার এবং উচ্চপদস্থ পুলিশকর্তাদের সঙ্গে কথা বলেন। তারপরই পুলিশ সরাসরি অ্যাকশনে নামে। দুই পুলিশকর্মীর গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনাকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নেয় রাজ্য পুলিশ এবং উপরমহল থেকে বার্তা আসে যেভাবেই হোক দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে।
অভিযুক্ত দু’জনের মধ্যে একজনের বাংলাদেশ যোগ প্রকাশ্যে আসায় আরও চাপে পড়ে যায় পুলিশ। ভারত-বাংলাদেশের বর্তমান টালমাটাল পরিস্থিতিতে কোন বাংলাদেশী দুষ্কৃতীর ভারতে এসে অপরাধ সংগঠিত করার ঘটনা যে ভুলবার্তা দেবে তা প্রশাসন বুঝতে পারে এবং সেইমতো পরিকল্পনা করা হয়।
পাঞ্জিপাড়া থানার অধীন ইকরচলা কালীবাড়ি এলাকায় পুলিশের উপর গুলি চালানোর অভিযোগ উঠেছে। ইসলামপুর কোর্ট থেকে পুলিশের গাড়িতে করে খুনের মামলায় বিচারাধীন বন্দি সাজ্জাক আলমকে রায়গঞ্জে নিয়ে যাওয়ার সময় এই শুটআউট হয়। এতে দুই পুলিশকর্মী গুলিবিদ্ধ হন। সাজ্জাক আলম শৌচাগারে যাওয়ার জন্য গাড়ি থামানোর অনুরোধ করেন এবং সেই সময় দুই পুলিশকর্মীর উপর বন্দুক নিয়ে হামলা করেন। এরপর ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায় সাজ্জাক।
এই ঘটনায় বেশ কিছু বিস্ফোরক তথ্য সামনে এসেছে। জানা গেছে, যে আগ্নেয়াস্ত্র থেকে হামলা চালিয়ে ২ পুলিশকর্মীকে জখম করা হয়েছিল, সেই আগ্নেয়াস্ত্র ইসলামপুর কোর্ট লক আপেই অভিযুক্তের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছিল। সাজ্জাক আলম সেই আগ্নেয়াস্ত্র সঙ্গে নিয়েই পুলিশের সঙ্গে গাড়িতে ওঠে এবং পরে শৌচাগারে যাওয়ার জন্য গাড়ি দাঁড় করাতে পুলিশকে কার্যত বাধ্য করে। শেষ পর্যন্ত গুলি চালিয়ে সে পালিয়ে যায়।
আরও পড়ুন-Air Ambulance: বাংলার স্বাস্থ্যক্ষেত্রের উন্নতিতে যুগান্তকারী উদ্যোগ! হাসপাতালের ছাদেই নামল এয়ার অ্যাম্বুলেন্স
তদন্তে উঠে এসেছে যে আব্দুল হুসেন নামের একজন ব্যক্তি সাজ্জাককে আগ্নেয়াস্ত্র সরবরাহ করেছিল। পুলিশ সাজ্জাক ও আব্দুলকে ধরতে পুরস্কার ঘোষণা করেছে এবং একাধিক টিম তল্লাশিতে নেমেছে। সিসিটিভি নজরদারির মাধ্যমে সাজ্জাকের গতিবিধি জানা যায় এবং পালানোর চেষ্টা করলে পুলিশ গুলি চালাতে বাধ্য হয়।