RG Kar Incident: আগামী ১৮ জানুয়ারি আরজি কর কাণ্ডে সাজা ঘোষণা করতে পারে শিয়ালদা আদালত। নির্যাতিতার ধর্ষণ-খুনে সঞ্জয় রায় ছাড়াও অন্যদের যোগ থাকার আশঙ্কা পরিবারের।
RG Kar Incident: আগামী ১৮ জানুয়ারি আরজি কর কাণ্ডে সাজা ঘোষণা করতে পারে শিয়ালদা আদালত। নির্যাতিতার ধর্ষণ-খুনে সঞ্জয় রায় ছাড়াও অন্যদের যোগ থাকার আশঙ্কা পরিবারের।
RG Kar Case: আগামী ১৮ জানুয়ারি আরজি কর কাণ্ডে সাজা ঘোষণা হতে পারে।
Victims parents unhappy with CBIs role in RG kar case: আগামী ১৮ জানুয়ারি আরজি কর (RG Kar) কাণ্ডে সাজা ঘোষণা করবে শিয়ালদা আদালত। কিন্তু এই মামলার তদন্ত প্রক্রিয়ায় সন্তুষ্ট নয় নির্যাতিতার বাবা-মা। তাঁরা এই মামলায় তাঁরা একাধিক প্রশ্ন রেখেছেম আদালতের কাছে। তাঁরা মনে করছেন, কিছুতেই সঞ্জয় রাই একা দোষী নয়। হাসপাতালের কেউ না কেউ যুক্ত। তাঁরা সামনে আসুক। তাঁদেরও সাজা হোক। ফের তদন্ত চাইছে নির্যাতিতার পরিবার।
Advertisment
গত বছর ৯ অগাষ্ট আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সেমিনার হলে মহিলা চিকিৎসকের মৃতদেহ উদ্ধার হয়। অভিযোগ উঠেছিল, ধর্ষণের পর তাঁকে খুন করা হয়েছে। এই খুনের তদন্তে নেমে কলকাতা পুলিশ সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রাইকে গ্রেফতার করে। পরবর্তীতে হাইকোর্টের নির্দেশে তদন্তভার গ্রহণ করে CBI। ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় আর কোনও ব্যক্তিকে গ্রেফতার করতে পারেনি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।
তবে ঘটনার প্রমাণ লোপাটে যুক্ত থাকার অভিযোগে আরজি কর হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ ড. সন্দীপ ঘোষ ও টালা থানার তৎকালীন ওসি অভিজিৎ মণ্ডলকে গ্রেফতার করে সিবিআই। তবে সময়ে চার্জশিট পেশ না করায় তাঁরা জামিনে ছাড়া পেয়ে যান। সওয়াল-জবাবের পর শিয়ালদা আদালতের বিচারক জানিয়ে দেন, আগামী ১৮ জানুয়ারি আরজি কর মামলায় সাজা ঘোষণা করা হবে।
এদিকে নির্যাতিতার পরিবারের বক্তব্য, সিবিআই পরবর্তীতে সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিট দেবে। অন্যদেরও সাজা হবে। তবে তদন্ত প্রক্রিয়া নিয়ে নির্যাতিতার পরিবার একেবারেই সন্তুষ্ট নয়। তাঁদের বক্তব্য, "বিচার প্রক্রিয়ায় সন্তুষ্ট নই। পুলিশ ৫ দিনে যা করেছিল। আমরা মনে করি সিবিআই ৫ মাসে তা করে সঞ্জয়কে একা সাজা ঘোষণা করল আদালত। আমরা এতে সন্তুষ্ট নই। আমরা তাই ফের তদন্তের জন্য হাইকোর্টে মামলা করেছি।"
আরজি কর কাণ্ডে দোষীদের শাস্তির দাবিতে রাজপথ উত্তাল হয়েছে। দিন-রাত এক করে চিকিৎসক থেকে সাধারণ মানুষ পথে নেমেছে দোষীদের ফাঁসির দাবি জানিয়ে। সঞ্জয় রাই একা অপরাধী নয় বলেই সাধারণের আন্দোলন থেকে বারে বারে দাবি উঠেছে। গতকাল শিয়ালদা আদালতের বাইরে নির্যাতিতার মা বলেন, "আমাদের অনেক প্রশ্ন আছে। আমরা মনে করি সঞ্জয় দোষী। কিন্তু ওর একার পক্ষে মেরে ফেলা সম্ভব নয়। একটা জনবহুল হাসপাতালে কেউ একজন বাইরে থেকে এল, কেউ জানতে পারল না। আমি এটা মনে করি না। আমি মনে করি হাসপাতালের কেউ যুক্ত। তারা সবাই সামনে আসবে। প্রকৃত সত্য সামনে আসবে। সবাই যখন শাস্তি পাবে। তখন আমার মেয়ের আত্মা শান্তি পাবে।"
সিবিআইয়ের তদন্ত নিয়েও বড়সড় প্রশ্ন তুলে দিয়েছে নির্যাতিতার পরিবার। তাঁর বাবা-মা বলেন, "কলকাতা পুলিশ যা করেছে সিবিআই ৫ মাসে তা করতে পারছে না। বরং কলকাতা পুলিশের তদন্তকেই তকমা দিল। ধরেও আবার দু'জনকে ছেড়ে দিল। আমরা মনে করছি না কলকাতা পুলিশের থেকে সিবিআই ভালো। আমরা সিবিআই চাইনি। আমরা ভালো এজেন্সি চেয়েছিলাম। সেখানে হাইকোর্ট মনে করেছিল সিবিআই দিয়েছে। আমরা ফের কোর্টের ওপর দায়িত্ব ছেড়ে দিয়েছি।"