Digital agriculture: বাংলার বুকে সত্যিই এ এক বিরল ঘটনা। এক কৃষকের আবেদনে সাড়া দিয়ে অভূতপূর্ব তৎপরতা নিয়েছিল রাজ্য সরকার। মঙ্গলবার এব্যাপারে উপযুক্ত প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে কৃষকদের।
Digital agriculture: বাংলার বুকে সত্যিই এ এক বিরল ঘটনা। এক কৃষকের আবেদনে সাড়া দিয়ে অভূতপূর্ব তৎপরতা নিয়েছিল রাজ্য সরকার। মঙ্গলবার এব্যাপারে উপযুক্ত প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে কৃষকদের।
Malda News: মঙ্গলবার অভূতপূর্ব এই তৎপরতার সাক্ষী রইলেন জেলার কৃষি দফতরের কর্তারা।
Smart farming: ড্রোন উড়িয়ে আধুনিক পদ্ধতিতে কৃষিকাজ করার আবেদন জানিয়েছিলেন পুরাতন মালদার এক চাষি। সেই আবেদনে সাড়া দিয়ে অবশেষে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে একটি উন্নতমানের ড্রোন দেওয়ার ব্যবস্থা করা হলো ওই কৃষককে। ড্রোনের মাধ্যমে জমিতে কীভাবে কীটনাশক দেওয়া যায় এবং সার ব্যবহার করা যায়, সেব্যাপারেও একটি কর্মশালার উদ্যোগ নেয় জেলা প্রশাসন ও কৃষি দফতর।
Advertisment
মঙ্গলবার পুরাতন মালদা ব্লকের ভাবুক এলাকায় আধুনিক পদ্ধতিতে ড্রোন ব্যবহার করে জমিতে কীটনাশক স্প্রে এবং সার দেওয়ার প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। এদিনের এই কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলাশাসক (উন্নয়ন) অনিন্দ্য সরকার, জেলা উপ কৃষি অধিকর্তা বিদ্যুৎ বর্মন, ব্লক সহ কৃষি অধিকর্তা সৌমজিৎ মজুমদার ও ব্লক অ্যাসিস্ট্যান্ট টেকনোলজি ম্যানেজার অরিন্দম সিংহ সহ অন্যান্য কৃষকেরা।
জেলা প্রশাসন ও কৃষি দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, আধুনিক পদ্ধতিতে ড্রোন ব্যবহার করে জমিতে কীটনাশক স্প্রে করার প্রশিক্ষণ দেওয়া হলো কৃষকদের। জেলায় এই প্রথম পুরাতন মালদা ব্লকের ভাবুক এলাকায় কৃষকদের এই প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। এদিকে যেমন ড্রোন ব্যবহারে চাষের ক্ষেত্রে সময়ও বাঁচবে, তেমন কীটনাশক স্প্রে-এর ক্ষতির প্রভাব থেকে চাষিদের অনেকটাই মুক্তি মিলবে। এর মাধ্যমে কৃষকরা কম সময়ে অধিক ফলন ফলাতে সক্ষম হবেন এবং সেই রকমই আর্থিকভাবে লাভবান হবেন।
উল্লেখ্য, মালদা জেলার অধিকাংশ এলাকা কৃষিকাজের উপর নির্ভরশীল। বিশেষত পুরাতন মালদা ব্লকে কৃষিকাজের ক্ষেত্রে উৎপাদন সব থেকে বেশি হয়। সেই অর্থেই জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে মঙ্গলবার দুপুরে জেলা ও ব্লক কৃষি দফতরের পক্ষ থেকে ড্রোন উড়িয়ে কীটনাশক স্প্রে-এর হাতে কলমে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে পুরাতন মালদার ভাবুক পঞ্চায়েত এলাকার কৃষকদের।
এদিন ভাবুক এলাকার এক চাষি শ্রীদাম সরকার বলেন, "ড্রোন ব্যবহার করে জমিতে কীটনাশক এবং সার প্রয়োগ করার বিষয়টি ইন্টারনেটের মাধ্যমে দেখেছি। চীনে মূলত চাষীরা এই ব্যবস্থা এখন অবলম্বন করেছে। এরপরই রাজ্য সরকারের কাছে কৃষি কাজে ব্যবহারের ক্ষেত্রে ড্রোনের আবেদন করি। আমার আবেদনে সাড়া দিয়ে সরকার ভর্তুকি মাধ্যমেই একটি ড্রোন দেওয়ার ব্যবস্থা করেছে। সেব্যাপারে প্রশিক্ষণ দিয়ে দেখিয়েছেন প্রশাসনের কর্তারা। আমার সঙ্গে এদিন আরও অনেকেই কৃষকেরা উপস্থিত ছিলেন।"
অতিরিক্ত জেলাশাসক অনিন্দ্য সরকার জানিয়েছেন, জেলায় এই প্রথম কোনও চাষি ড্রোন ব্যবহার করে কৃষি কাজ করবেন এমনটাই আবেদন জানিয়েছিলেন। রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে ৩ লক্ষ টাকা ভর্তুকি দিয়ে একটি ড্রোন দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এই ড্রোনের মাধ্যমে জমিতে কীটনাশক প্রয়োগ ও সার দেওয়ার ব্যবস্থা করার ক্ষেত্রে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। অন্যান্য চাষিরাও এদিন এই প্রশিক্ষণে উপস্থিত হয়েছিলেন। এর ফলে প্রযুক্তিগত দিক দিয়ে কৃষি কাজে উন্নতি আসবে। পাশাপাশি চাষিদের অনেকটা সময়ও বাঁচবে।