SSC Verdict News: এই মুহূর্তে স্কুলে পরীক্ষা চলছে। তাই চাকরি হারিয়েও স্কুলে আসছেন অভিজিৎ পালুই। হুগলির খানাকুলের গুজরাট জুনিয়র হাইস্কুলের একমাত্র স্থায়ী শিক্ষক তিনিই। ফলে তাঁর চাকরি চলে যাওয়ায় দিশেহারা স্কুল কর্তৃপক্ষ, ঘোর চিন্তায় পড়ুয়ারাও। ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্বও ছিল তাঁরই কাঁধে। এখন স্কুল চালাবেন কে?
সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) নির্দেশে এই রাজ্যের ২৫ হাজার ৭৫৩ জন শিক্ষক-শিক্ষিকা এবং অশিক্ষক কর্মচারীর চাকরি চলে গিয়েছে। রাজ্যের হাজার-হাজার চাকরিহারাদের তালিকায় রয়েছেন খানাকুলের গুজরাট জুনিয়ার হাইস্কুলের একমাত্র স্থায়ী শিক্ষক অভিজিৎ পালুইও। অভিজিৎ পালুইয়ের দাবি, ছাত্র জীবনে তিনি কোনও দিন কোনও পরীক্ষায় প্রথম ছাড়া দ্বিতীয় হননি। পাড়ায় মেধাবী ছাত্র হিসেবেই বড় হয়েছেন তিনি। নিজের যোগ্যতায় চাকরি পেয়েছিলেন তিনি।
তবে ভবিষ্যতের অনিশ্চয়তায় ক্লাসরুমেই কান্নায় ভেঙে পড়েছিলেন সদ্য চাকরি হারানো এই শিক্ষক। বাড়িতে তিন বছরের সন্তান, মাথার উপর চার লক্ষ টাকার ঋণের বোঝা রয়েছে তাঁর। কী হবে আগামীদিনে? তা ভেবেই কূল পাচ্ছেন না 'মাস্টারমশাই'।
আরও পড়ুন- SSC Recruitment Case Verdict:সুপ্রিম নির্দেশে চাকরিহারাদের দলে তৃণমূল কাউন্সিলর কুহেলি, পরবর্তী ভাবনাও স্পষ্ট করলেন
প্রশাসনের হস্তক্ষেপ ছাড়া স্কুল চালানো অসম্ভব বলে মনে করছেন এলাকাবাসীও। শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ রক্ষায় দ্রুত স্কুলের প্রকট এই সম্যার সমাধানের দাবিও উঠছে। এখন দেখার, কর্তৃপক্ষ কী সিদ্ধান্ত নেয়! তনুশ্রী জানা নামে স্থানীয় এক গৃহবধূ জানান, তাঁদের গ্রামের মধ্যে এই স্কুলটি যদি বন্ধ হয়ে যায় তাহলে পড়ুয়াদের খুবই সমস্যা হবে। কাছাকাছি আর তেমন স্কুল নেই। এই এলাকা থেকে কয়েক কিলোমিটার দূরে রয়েছে অন্য স্কুল। ছোট ছোট বাচ্চারা ভীষণ সমস্যায় পড়বে বলে আশঙ্কা এলাকাবাসীর।
আরও পড়ুন- West Bengal News Live:তাবড় রাজ্যকে টেক্কা! 'সেরার সেরা' বাংলা, বিদ্যুৎ উৎপাদনে শীর্ষে রাজ্যের দুই তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র
তবে শুধু খানাকুলের এই স্কুলটিই নয়, রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে এমন বহু স্কুল রয়েছে যেখানে অত্যন্ত কম শিক্ষক নিয়েই বিদ্যালয় চলত। গত বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টের নজিরবিহীন রায়ের জেরে বিপাকে পড়েছে পড়েছে এমন বহু স্কুল। স্কুল চালানো নিয়েই সমস্যা তৈরি হয়েছে একাধিক জায়গায়।
আরও পড়ুন- Ramnavami: 'দুর্গাপুজোয় গোলমাল হলে কি পুজো বন্ধ হবে?', শর্ত বেঁধে হাওড়ায় রামনবমীর মিছিলের অনুমতি হাইকোর্টের
এক ধাক্কায় প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষক-শিক্ষিকার চাকরি চলে গেছে। চাকরিহারা এই বিপুল সংখ্যক শিক্ষক-শিক্ষিকার মধ্যে অধিকাংশই 'যোগ্য' ছিলেন বলে দাবি। যদিও এক্ষেত্রে SSC-র দেওয়া 'যোগ্য' শিক্ষক-শিক্ষিকাদের তালিকায় সন্তুষ্ট হয়নি সর্বোচ্চ আদালত। সেই কারণেই ২০১৬ সালের পুরো প্যানেলই বাতিল করে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। চাকরি গিয়েছে একসঙ্গে প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষক-শিক্ষিকা ও অশিক্ষক কর্মচারীর।