মঙ্গলবার আনলকের ছাড় ঘোষণা ছাড়াও বেসরকারি বাস চালানো এবং রেশন ব্যবস্থা নিয়েও একগুচ্ছ ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী। এদিকে আমফানের ত্রাণ নিয়ে স্বজনপোষণের অভিযোগ উঠেছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে ৫ জনকে শোকজ করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। দিন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয় বলেন, "এই রাজ্যে উন্নয়ন মানে হরিশ চ্যাটার্জী স্ট্রিটে উন্নয়ন।" অন্যদিকে, ২০২১ সালের পাঠক্রমে করোনাভাইরাস চ্যাপ্টার রাখতে চলেছে রাজ্য সরকার। এবার ১ জুলাইয়ের ছুটি ঘোষণায় খুশি নয় চিকিৎসকদের একাংশ। এদিকে, রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলির উপাচার্যদের সঙ্গে রাজ্যপালের ভার্চুয়াল ভিডিও বৈঠকে সম্মতি জানাল না রাজ্য সরকার। যাত্রীদের সুবিদার্থে এবার ট্রাম এবং ফেরির সংখ্যা আরও বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিল মমতা সরকার। আজ রাজ্যের সব গুরুত্বপূর্ণ খবরগুলি পড়ুন এক এক করে...
লকডাউন-আনলক-বাসভাড়া তিন ইস্যুতে একগুচ্ছ ঘোষণা মমতার
রাজ্যের লকডাউন-করোনা পরিস্থিতি এবং বিভিন্ন বিষয়ে মঙ্গলবার ক্যাবিনেট বৈঠক ছিল নবান্নে। বুধবার লকডাউনের ষষ্ঠ দফা শুরু এবং আনলকের দ্বিতীয় পর্যায় নিয়ে বৈঠক শেষেই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আনলকের ছাড় ঘোষণা ছাড়াও বেসরকারি বাস চালানো এবং রেশন ব্যবস্থা নিয়েও একগুচ্ছ ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী। বৈঠক থেকে কী কী জানিয়েছেন তিনি, দেখে নিন এক নজরে...
*বাংলায় লকডাউন থাকছে ৩১ জুলাই পর্যন্ত। কনটেনমেন্ট জোন অনুযায়ী লকডাউন যেখানে যেখানে শক্ত করার প্রয়োজন তা করা হবে।
* আমরা পুলিশকে বলছি, লকডাউন যাতে সঠিকভাবে মানা হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখা।
*লকডাউন আর মানুষের জীবনযাত্রা একই সঙ্গে চলবে। নজর রাখতে হবে কোভিড যাতে না ছড়ায়।
* সামাজিক দূরত্ব মেনে, মাস্ক পড়ে মর্নিং ওয়াক করার অনুমতি দিচ্ছি। সকাল সাড়ে পাঁচটা থেকে সাড়ে আটটা পর্যন্ত। তারপর লকডাউন চালু হবে কঠোরভাবে।
* কোচবিহারের মালবাজারের চ্যাংরাবান্দা এলাকার সীমান্ত কাল থেকে চালু করা হবে।
* সুন্দরবন নিয়ে চিন্তাভাবনা করার জন্য আমরা নীতি আয়োগের কাছে চিঠি পাঠিয়েছি। আমরা মাস্টার প্ল্যান তৈরির কথা জানিয়েছি।
* কো-অপারেটিভ ব্যাঙ্ক যা রাজ্যের আওতায় ছিল সেখান থেকে ক্ষমতা নিয়ে নিতে নতুন আইন করেছে। তবে সেটা যাতে না হয় তার জন্য সেই আইন তুলে নেওয়ার কথা জানিয়েছি।
* মেট্রো আর বিমান নিয়ে স্বরাষ্ট্রসচিব এবং রেলসচিবকে মুখ্যসচিব চিঠি দিয়েছেন। হটস্পট থেকে আগামী ২ সপ্তাহ বিমান এবং ট্রেন না চালানোর জন্য বলা হয়েছে। বাকি জায়গা থেকে সপ্তাহে একবার পরিষেবা চালু থাকবে।
* আমরা মেট্রোর কাছে আবেদন জানিয়েছি জরুরিকালীন পরিষেবা যারা দিচ্ছেন তাঁদের জন্য একটা মেট্রো যদি চালানো যায়।
* আমরা আগামী বছর জুন মাস পর্যন্ত ফ্রি রেশন দেব। ওনারা আজ দেবে আরেক মাস দেবেন না সেটা যেন না হয়। সেপ্টেম্বরের পর থেকে ১০ কোটিকেই দিতে পারব কি না সেটা ভাবব। খাদ্যসাথী যারা পাচ্ছে তাঁরা পাবেন। বাদবাকীটা কথা বলে ঠিক করব।
* আমি ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি। বাধ্য হয়ে এই কঠোর সিদ্ধান্ত নিতে হচ্ছে। আমরা বেসরকারি বাসকে সাহায্য করার জন্য তিনমাস ১৫ হাজার টাকা করে দেওয়ার কথা বলেছি। কিন্তু ফলপ্রসু হয়নি সে কথা। আগামীকাল থেকেই চালু হওয়ার কথা ছিল। কাল পর্যন্ত দেখব। জ্বালানির দাম বাড়লে বাস ভাড়া বাড়ানোর দাবি জানাচ্ছেন। কিন্তু জ্বালানির দাম কমলে তখন তো ভাড়া কমাচ্ছেন না। এই থিওরি যখন মানা হয়নি আগে তখন এখনও মানা হবে না।
* সংগঠনগুলির কাছে আবেদন করছি ইগোর লড়াই বন্ধ করে মানুষের স্বার্থে পরিষেবা দিন। সেটা না হলে ইচ্ছের বিরুদ্ধে আমরা বাধ্য হব আইনের মাধ্যমে ব্যবস্থা নেওয়ার। বেসরকারি বাসের ড্রাইভাররা যদি আসেন ভালো, না হলে সরকার নিজের মতো লোক দেখে নেবে। এটা করার জন্য সরকার দু'দিন সময় নেবে। ৩ জুলাই ঠিক হবে আগামী পরিকল্পনা।
আজ রাজ্যের অন্যান্য খবরগুলি পড়তে থাকুন নীচে,
আমফানে ত্রাণে দুর্নীতির অভিযোগ, হাওড়ায় ৫জনকে শোকজ করল তৃণমূল
জয়প্রকাশ দাস: আমফান ঝড়ে ক্ষতিপূরণ প্রাপকদের তালিকা নিয়ে দক্ষিণ ২৪ পরগণায় বিক্ষোভ অব্যাহত। কখনও বিডিও বা পঞ্চায়েত দফতরের সামনে। কখনও পঞ্চায়েত প্রধান বা সদস্যের বাড়িতে। একটাই অভিযোগ প্রকৃত গরিব ক্ষতিগ্রস্তদের একটা ত্রিপলও জুটছে না। অন্যদিকে তৃণমূল ও পঞ্চায়েত সদস্যরা সপরিবারে লক্ষ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করছে। এরইমধ্যে হাওড়াতেও আমফানের ত্রাণ নিয়ে স্বজনপোষণের অভিযোগ উঠেছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে ৫ জনকে শোকজ করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। মঙ্গলবার হাওড়ায় নিজের অফিসে বসে শোকজের কথা জানিয়েছেন রাজ্যের মন্ত্রী অরূপ রায়।
আমফান ঘূর্ণি ঝড়ে দক্ষিণবঙ্গের একাংশ লন্ডভন্ড হয়ে গিয়েছে। ক্ষতিপূরণের তালিকা তৈরি হতেই বিভিন্ন জায়গা থেকে পঞ্চায়েত সদস্য ও তৃণমূল নেতৃত্বের একাংশের বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও স্বজনপোষণের অভিযোগ উঠতে থাকে। অভিযোগ, তাছাড়়া অধিকাংশ ক্ষেত্রে ওই তালিকায় বিত্তশালীদের নাম থাকলেও গরিব মানুষের নাম ওঠেনি। যা নিয়ে সরগরম হয়ে ওঠে বাংলার রাজনীতি। হাওড়ার সাঁকরাইল, দ্যুইল্যা, পাঁচলায় এমন অভিযোগ উঠেছে।
মঙ্গলবার রাজ্যের মন্ত্রী অরূপ রায় সাংবাদিকদের বলেন, "দলের কাছে অনেকগুলো অভিযোগ জমা পড়েছিল। সঙ্গে সঙ্গেই সেগুলি আমাদের কাছে পাঠিয়েছিল তাদের শোকজ করার জন্য। ইতিমধ্যেই সেই শোকজ চিঠি তাদের কাছে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। সাঁকরাইল পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি, মাকড়দহ ১ নং গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান, উত্তর ঝাঁপড়দহ ১ নং গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান সহ পাঁচজনকে শোকজ করা হয়েছে।" অরূপ রায়ের দাবি, "তৃণমূল কংগ্রেস বা মা মাটি মানুষের সরকার কোনওভাবেই দুর্নীকে প্রশ্রয় দেয় না। প্রশ্রয় দেবে না। যারা এমন কাজ করেছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। যাঁরা আমফানে প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্ত তাঁরা যাতে ক্ষতিপূরণ পায় তার জন্য জেলা প্রশাসন এবং সরকার সচেতন।"
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন
আজ রাজ্যের অন্যান্য খবরগুলি পড়তে থাকুন নীচে,
রাজ্যের উন্নয়ন হরিশ চ্যাটার্জী স্ট্রিটে: বাবুল সুপ্রিয়
২০২১ বিধানসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে লকডাউনের মধ্যেই বঙ্গ বিজেপি ভার্চুয়াল জনসভা করা শুরু করেছে। ইতিমধ্যে ৩টি জনসভা হয়ে গিয়েছে। মঙ্গলবার জনসম্পর্ক অভিযানে দুই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অর্জুনরাম মেঘওয়াল, বাবুল সুপ্রিয় বক্তব্য রাখেন। এদিন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয় বলেন, "সিপিএম ও তৃণমূল কংগ্রেস ৪৩ বছর ধরে বাংলায় অপশাসন চালিয়ে যাচ্ছে। এই রাজ্যে উন্নয়ন মানে হরিশ চ্যাটার্জী স্ট্রিটে উন্নয়ন। সেখানে দিদি, দিদির ভাইয়েরা ও ভাইপোর উন্নয়ন হয়েছে। রাস্তার মোড়ে মোড়ে মুখে কাপড় বেঁধে উন্নয়ন দাঁড়িয়ে আছে। রাজ্যের মানুষের কিছুই হয়নি।"
বাবুলের কটাক্ষ, "৯ বছরে মুখ্যমন্ত্রী হতে পারলেন না। দলের নেত্রী হয়ে থাকলেন।" অর্জুন মেঘওয়াল এদিন নরেন্দ্র মোদী সরকারের এক বছরের বিভিন্ন কার্যকলাপ তুলে ধরেন। কাশ্মীরে ৩৭০ ও ৩৫-এ ধারা বিলোপ, তিন তলাক রদ, নাগরিকত্ব সংশোধন আইন ও রামমন্দির নির্মাণের কথা বলেন তিনি। তিনি বলেন, "তৃণমূল কংগ্রেস মা, মাটি, মানুষ স্লোগান নিয়ে রাজ্যে ক্ষমতায় এসেছে। কিন্তু মা, মাটি ও মানুষ আজ ঘোরতর সমস্যায়।"
আজ রাজ্যের অন্যান্য খবরগুলি পড়তে থাকুন নীচে,
রাজ্যের শিক্ষাপাঠক্রমে স্থান পাবে 'করোনা'
অভূতপূর্ব ঘটনা করোনভাইরাস প্রেক্ষাপট। যার জেরে আমূল পরিবর্তন স্বাস্থ্য-শিক্ষা-অর্থনীতি এবং সমাজে। পড়ুয়াদের বিষয়টি সম্পর্কে সম্পূর্ণ অবগত করতেই ২০২১ সালের পাঠক্রমে করোনাভাইরাস চ্যাপ্টার রাখতে চলেছে রাজ্য সরকার।
* মঙ্গলবারই শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় সিলেবাস কমিটির আধিকারিক জানিয়ে দেন, করোনভাইরাসের প্রকৃতি এবং প্রাদুর্ভাবরোধে প্রয়োজনীয় সতর্কতামূলক ব্যবস্থা সম্পর্কে তথ্যবলী যেন পাঠক্রমের অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
* সংবাদসংস্থা পিটিআইকে সিলেবাস কমিটির চেয়ারম্যান অভীক মজুমদার বলেন, "আমরা এই বিষয়টি নিয়ে অন্যান্য সদস্য এবং বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আলোচনা করছি।"
* সরকারি আধিকারিক সূত্রে খবর একদম নীচু শ্রেণি থেকে উঁচু শ্রেণিতে কীভাবে করোনাভাইরাসের তথ্য দেওয়া হবে সেই বিষয়টি নিয়েও আলোচনা চলছে।
আজ রাজ্যের অন্যান্য খবরগুলি পড়তে থাকুন নীচে,
১ জুলাইয়ের ছুটি ঘোষণায় খুশি নয় চিকিৎসকদের একাংশ
রাজ্যে সরকার ১ জুলাই, চিকিৎসক দিবসে সমস্ত সরকারি দপ্তরে ছুটি ঘোষণা করেছে। কোভিড যুদ্ধে জীবন বাজি রেখে কাজ করে চলা চিকিৎসকদের সম্মান জানাতে এই ছুটি ঘোষণা করেছে। তবে এই ছুটি নিয়ে রীতিমত প্রশ্ন তুলেছে অ্য়াসোসিয়েশন অব হেল্থ সার্ভিস ডক্টরস। সংগঠনের বক্তব্য, "কোভিড পরিস্থিতিতে সুরক্ষা সরঞ্জামের অভাব ও জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মাসের পর মাস পরিবার ছেড়ে প্রান্তিক জায়গা পর্যন্ত নিরলস পরিষেবা দিয়ে যাচ্ছেন চিকিৎসক সমাজ এবং স্বাস্থ্যকর্মীরা। বহু সরকারি চিকিৎসক ন্যায্য পাওনা পাচ্ছেন না। অনেকেই প্রতিহিংসামূলক বদলি এবং অন্যায় শাস্তির শিকার। গুরুতর অসুস্থ চিকিৎসকও স্বেচ্ছায় অবসর নিতে পারছেন না। কারণ অধিকারটাই তাঁদের কেড়ে নেওয়া হয়েছে। অবসরের বয়স একতরফা বাড়িয়ে দিয়ে জোর করে কাজ করানো হচ্ছে। পে-কমিশনে বিপুল বঞ্চনা করা হয়েছে। বহু চিকিৎসক ক্ষোভে অভিমানে বসে আছেন। চাকরি ছাড়তে চাইলেও ছাড়তে পারছেন না।"
সংগঠনের সম্পাদক মানস গুমটা বলেন, "গভীর সঙ্কটে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করে চলা চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মীদের স্বাভাবিক দাবি একটু মর্যাদা, একটু সম্মান এবং ভয়হীন কাজের জায়গা। চিকিৎসক দিবসেও চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মীরা থাকবেন যুদ্ধক্ষেত্রে। তাই ছুটি নয়,কোভিড সৈনিকদের সুরক্ষা, মর্যাদা, সম্মান এবং কোভিড যুদ্ধের পরিকাঠামো নিশ্চিত করলে আমরা খুশি হতাম। মানবিক দাবিগুলির সমাধান না করে, এই ছুটি করোনা যোদ্ধাদের কাছে মূল্যহীন এবং আমরা হতাশ।"
আজ রাজ্যের অন্যান্য খবরগুলি পড়তে থাকুন নীচে,
রাজ্যপাল-উপাচার্যদের বৈঠকে 'অসম্মতি' মমতা সরকারের, চিঠি দিলেন ধনকড়
রাজ্যপাল-রাজ্য সংঘাতই বজায় রইল। রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলির উপাচার্যদের সঙ্গে রাজ্যপালের ভার্চুয়াল ভিডিও বৈঠকে সম্মতি জানাল না রাজ্য সরকার। এরপর গোটা বিষয়টি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি দিয়ে নিজের ক্ষোভ প্রকাশ করেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়।
* চিঠিতে রাজ্যপাল লেখেন, "উপাচার্যদের সঙ্গে আমার বৈঠকের জন্য যে প্রতিক্রিয়া দেওয়া হল তা দুঃখজনক।
Welfare of students is of paramount importance. It has to be accorded highest priority. State of affairs @itspcofficial needs toning up.
Stressing students by delay in decision making is worrisome.
Have invited urgent attention @MamataOfficial given its ramifications.(1/2) pic.twitter.com/MSdc1xbn2d
— Governor West Bengal Jagdeep Dhankhar (@jdhankhar1) June 29, 2020
* যে আইনে তাঁকে বাধা দেওয়া হয়েছে সেই প্রসঙ্গ উল্লেখ করে জগদীপ ধনকড় লেখেন, "বলা হয়েছে এমন কোনও নিয়ম নেই যে উপাচার্যদের সঙ্গে ভার্চুয়াল কনফারেন্স করতে পারেন রাজ্যপাল। আমি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে অনুরোধ জানাব এই অসাংবিধানিক বিষয়টি দেখতে।"
* রাজ্যপাল আরও বলেন, "শিক্ষার্থীদের কল্যাণের গুরুত্ব বহন করছে এই বৈঠক। এটিকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার হিসাবে বিবেচিত করা উচিত ছিল।"
বাসের সমস্যা মেটাতে ট্রাম-ফেরির সংখ্যা বাড়াচ্ছে রাজ্য সরকার
পেট্রোল-ডিজেলের দাম বৃদ্ধির প্রতিবাদে রাস্তায় বেসরকারি বাস নামাচ্ছে না ইউনিয়নগুলি। ফলে কলকাতায় আসা-যাওয়ার ক্ষেত্রে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে নিত্যযাত্রীদের। সেই প্রেক্ষাপটে যাত্রীদের সুবিদার্থে এবার ট্রাম এবং ফেরির সংখ্যা আরও বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিল রাজ্য সরকার।
* সোমবার থেকে মোট ১৪টি রুটে চালানো হচ্ছে ফেরি।
* এদিকে আমফানে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে একাধিক ট্রাম, ট্র্যাক এবং ওভারহেড তার। ফলে প্রয়োজনের তুলনায় সংখ্যায় কম চলছে ট্রাম।
* জুনের ১৩ তারিখ ট্রায়াল রান চলে ট্রামের। ১৪ তারিখ থেকে সামাজিক দূরত্ব বিধি মেনে চালানো হচ্ছে ট্রাম।
* ১ জুলাই থেকে শুরু হবে হাওড়া ব্রিজ থেকে রাজাবাজার রুটের ট্রাম পরিষেবা। সকাল ৭ টা থেকে রাত ৮টা অবধি ২৫ মিনিটের গ্যাপে চলবে ট্রাম।