Month After Pahalgam Attack: পহেলগাঁও জঙ্গি হামলার এক মাস পার! ভারত অপারেশন সিন্দুরের অধীনে জঙ্গিদের কাপুরুষোচিত হামলার উপযুক্ত জবাব দিয়েছে। কিন্তু এখন সরকারের সামনে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ জম্মু ও কাশ্মীরে পর্যটনকে আবারও উৎসাহিত করা,আবারও পর্যটকদের মধ্যে আস্থা ফিরিয়ে আনা। এর সাথে সাথে, পহেলগাওঁয়ের স্থানীয় মানুষ, সেখানকার দোকানদার, স্থানীয় ব্যবসায়ীরাও অনেক আস্থা হারিয়ে ফেলেছেন, তারা সম্পূর্ণ ভেঙে পড়েছেন, তারা বুঝতে পারছেন না কীভাবে আবার পর্যটন ফিরবে সেখানে। কবে চাঙ্গা হবে অর্থনীতি।
পিটিআই-এর সাথে কথা বলতে গিয়ে ট্যুর অপারেটর নাসির আহমেদ বলেন, এক মাস পরেও পহেলগাঁও সম্পূর্ণ জনশূন্য । আগে এখানে হাজার হাজার পর্যটক আসতেন। অনেক মানুষের কর্মসংস্থান হত। দোকানদার থেকে শুরু করে, ক্যাব চালক, সবাইয়ের সুদিন ছিল।
১৯৯০ সালের বিদ্রোহের পর যখন পহেলগাঁও সম্পূর্ণ জনশূন্য হয়ে পড়েছিল, আবারও এখন সেই রকম পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। দোকানদারদের মতে, এবার চ্যালেঞ্জ আরও বড় হয়ে উঠেছে কারণ স্থানীয় পর্যটকরাও জম্মু ও কাশ্মীরে আসা এড়িয়ে যাচ্ছেন।
পিটিআই-এর সাথে কথা বলতে গিয়ে, মহম্মদ ইরশাদ নামে একজন দোকানদার বলেন যে সরকারের এখনই হস্তক্ষেপ করা উচিত, তাদের কিছু ব্যবস্থা নিতে হবে। অনেক দোকানদার এবং অনেক মানুষ গত এক মাস ধরে এক টাকাও উপার্জন করতে পারেনি।
এএনআই-এর সাথে কথা বলার সময় আরেকজন স্থানীয় ব্যবসায়ী জোর দিয়ে বলেন যে তার গাড়ির ব্যবসা আছে, কিন্তু পর্যটন সম্পূর্ণরূপে বন্ধ হয়ে যাওয়ায় গাড়ি ভাড়া নেওয়ার লোক নেই। আশা করি আগামী বছরের মধ্যে সবকিছু ঠিক ঠাক হয়ে যাবে। আমাদের সরকারের উপর আমাদের ১০০ শতাংশ আস্থা আছে যে পরিস্থিতির উন্নতি হবে। বর্তমানে, আমাদের সমস্ত আশা অমরনাথ যাত্রার উপর।
গত মাসের ২২শে এপ্রিল, পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলায় ২৬ জন পর্যটক মর্মান্তিকভাবে নিহত হন। সেই জঙ্গি হামলার পরই ভারত অপারেশন সিন্দুরের মাধ্যমে পাকিস্তানের ৯টি জঙ্গি ঘাঁটি সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস করে দেয়। প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের তথ্য অনুযায়ী, অপারেশন সিন্দুরে ১০০ জনেরও বেশি জঙ্গিকে নিকেশ করেছে ভারত।