/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2019/12/2019-LEAD.jpg)
অলঙ্করণ: অভিজিৎ বিশ্বাস।
উনিশে জানুয়ারি, ‘বিজেপি হঠাও, দেশ বাঁচাও’ স্লোগানকে সামনে রেখে ব্রিগেডে বিরোধী ঐক্যের মঞ্চ গড়ার চেষ্টা করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর ত্রিশ ডিসেম্বর ২০১৯, ‘সারা দেশে বিজেপিকে একা করে দিন’, স্লোগান তুলে পদ্ম পার্টির বিরুদ্ধে ফের লড়াইয়ের ডাক দিলেন মমতা। অর্থাৎ উনিশের শুরু থেকে শেষ, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বনাম বিজেপি লড়াইয়ে সরগরম হয়ে রইল বাংলার রাজনীতি। অন্যদিকে, বছরভর আইপিএস রাজীব কুমার বনাম সিবিআই আইনি লড়াইয়ে তুলকালামকাণ্ড দেখছে বাংলা। আবার বঙ্গে লোকসভা নির্বাচনে ১৮টি পদ্ম ফোটার পর পিকের হাত ধরলেন মমতা। ফলে একপ্রকার নতুন পথে হাঁটতে লাগল তৃণমূল। এর মধ্যে দলবদল নিয়ে হুলস্থূল পড়ে গেল। বিজেপিতে গিয়েও দোদুল্যমান হয়ে রইলেন শোভন-বৈশাখী। আবার দেবশ্রীকে নিয়েও চলল বিস্তর নাটক। মাঝে চিকিৎসকদের আন্দোলনে তেতে রইল বঙ্গভূমি। এমন সময় ধেয়ে এল ‘বুলবুল’! তছনছ হয়ে গেল সব। তবে বাঙালির মুখে হাসি ফোটালেন একজনই, নোবেলজয়ী অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়। হাতে আর মাত্র কয়েকঘণ্টা, এরপরই বিদায়ঘণ্টা বাজবে উনিশের। বর্ষশেষের প্রাক্কালে বাংলার বুকে ঘটে যাওয়া একঝাঁক নজরকাড়া ঘটনা এক ঝলকে-
* ব্রিগেডে বিরোধী ঐক্যের ছবি
উনিশের লোকসভা নির্বাচনে মোদী সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করতে ১৯ জানুয়ারি ব্রিগেড থেকে ‘অনেক হয়েছে আচ্ছে দিন/ বিজেপি-কে বাদ দিন’ বলে হুঙ্কার ছাড়েন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মমতা একা নন, মোদী-শাহদের বিরুদ্ধে সেদিন সরব হয়েছিলেন দেশের একাধিক বিজেপি বিরোধী নেতা। ব্রিগেডের মঞ্চে উঠে মোদী-শাহদের নিশানা করেছিলেন এইচ ডি দেবগৌড়া, ফারুখ আবদুল্লা, ওমর আবদুল্লা, মল্লিকার্জুন খাড়গে, চন্দ্রবাবু নাইডু, অরবিন্দ কেজরিওয়াল, এইচ ডি কুমারস্বামী, শরদ যাদব, যশবন্ত সিনহা, অজিত সিং, অরুণ শৌরি, শত্রুঘ্ন সিনহা, এম কে স্ট্যালিন, তেজস্বী যাদব, শরদ পাওয়ার, প্রফুল্ল প্যাটেল, অখিলেশ যাদব, হেমন্ত সোরেন, হার্দিক প্যাটেল, জিগ্নেশ মেওয়ানি, বদরুদ্দিন।
ব্রিগেডে বিরোধী ঐক্যের ছবি। ফাইল ছবি।আরও পড়ুন: ‘রাতে মোদীর কাছে মুচলেকা দিয়ে রাজীব কুমারকে ছাড়িয়ে এনেছে তৃণমূল’
* রাজীব কুমার বনাম সিবিআই, মমতার ‘বেনজির’ ধর্না
ফেব্রুয়ারি। লাউডন স্ট্রিটে তৎকালীন কলকাতার পুলিশ কমিশনার রাজীব কুমারের বাড়িতে ‘সিক্রেট অপারেশন’ চালাতে হানা দেয় সিবিআই। এই ঘটনাকে ঘিরে চাঞ্চল্য দেখা দেয় রাজ্যের বিভিন্ন মহলে। রাজীবের বাসভবনে গোয়েন্দাদের হানার প্রতিবাদে মেট্রো চ্যানেলে ৩ দিনের ধরনায় বসেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী। তখনই রাজীব কুমারকে আপাতত গ্রেফতার করা যাবে না, জানিয়ে নির্দেশ দেয় সুপ্রিম কোর্ট। এরপর সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে শিলংয়ে রাজীবকে প্রায় ৫ দিন ধরে জিজ্ঞাসাবাদ চালায় সিবিআই। এরপরও রাজীব কুমারকে ঘিরে ধুন্ধুমারকাণ্ড চলে। রাজীব কুমারের উপর হাইকোর্টের আইনি রক্ষাকবচ সরতেই কলকাতার প্রাক্তন সিপিকে হেফাজতে নিতে মরিয়া হয়ে ওঠে সিবিআই। হাইকোর্টের রক্ষাকবচ সরার পর রীতিমতো ‘গা ঢাকা’ দেন রাজীব। কলকাতার প্রাক্তন সিপিকে হাতের নাগালে পেতে তখন রীতিমতো কালঘাম ছোটে সিবিআইয়ের। আগাম জামিন মেলার পর 'ফের জনসমক্ষে' দেখা যায় বর্তমানে পুলিশ থেকে আমলা বনে যাওয়া রাজীব।
আইপিএস রাজীব কুমার ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।* উনিশের লড়াই: বঙ্গে বিজেপির বেনজির উত্থান
বিরোধী দুর্গকে রীতিমতো টেক্কা দিয়ে উনিশের নির্বাচনে তিনশোরও বেশি আসনে জিতে দ্বিতীয় বার ক্ষমতায় ফেরে মোদী সরকার। আর বাংলায় অভাবনীয় উত্থান ঘটে গেরুয়া বাহিনীর। মমতার ‘বিয়াল্লিশে বিয়াল্লিশের’ স্বপ্ন চুরমার করে ১৮টি আসনে নিজেদের দাপট কায়েম রাখে বঙ্গ বিজেপি। উল্লেখ্য, লোকসভার প্রচারে ক্ষমতার শিরোনামে ছিল বাংলা। রোজই প্রায় মমতা বনাম মোদী কিংবা মমতা বনাম অমিত শাহ বাকযুদ্ধে সরগরম হত বঙ্গ রাজনীতি। মমতার ‘মাটির রসগোল্লা’ কিংবা ‘গণতন্ত্রের থাপ্পড়’ মন্তব্যও রাজনীতির আঙিনায় শোরগোল ফেলেছে। এদিকে, কলকাতায় ভোটের মুখে অমিত শাহের মিছিল ঘিরে অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি তৈরি হয়। বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভাঙার অভিযোগ ঘিরে তোলপাড় হয় রাজনীতির ময়দান।
বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ।* মমতার হাত ধরলেন পিকে
লোকসভা ভোটে বিপর্যয়ের পরই একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে দলকে ঘুরে দাঁড়ানোর বার্তা দিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপরই একদা মোদী বাহিনীর ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোরের শরণাপন্ন হয় মমতা বাহিনী। একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূলের নির্বাচনী স্ট্র্যাটেজিস্ট হিসেবে নয়া ইনিংস শুরু করলেন পিকে। দলের জনসংযোগ বাড়ানোর দাওয়াই দিয়ে শুরু হল তৃণমূলের ‘দিদিকে বলো’ কর্মসূচি।
মমতা ও প্রশান্ত কিশোর। ছবি: সোশ্যাল মিডিয়া।আরও পড়ুন: ‘সংখ্যালঘু হতে পারি, নবান্ন-রাইটার্সের চাবি আমাদের হাতেই’
* উনিশে বাংলায় দলবদল!
লোকসভা ভোটের মুখেই তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যাওয়ার হিড়িক শুরু হয়। নির্বাচনের দোরগোড়ায় তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেন ভাটপাড়ার ‘বাহুবলী’ নেতা অর্জুন সিং। উনিশের লড়াইয়ে বঙ্গে বিজেপির বড় সাফল্যের পরই একের পর এক পুরসভা তৃণমূলের থেকে ছিনিয়ে নিতে শুরু করে বিজেপি। এর অন্যতম কারিগর ছিলেন মুকুল রায়। যদিও পরে দুর্গ বাঁচাতে নৈহাটি, হালিশহর, কাঁচরাপাড়া, বনগাঁর মতো পুরসভা ‘পুনুরুদ্ধারে’ নামে এবং সফল হয় ঘাসফুল শিবির। লোকসভা ভোটের আবহে মুকুল রায়ের সঙ্গে সব্যসাচী দত্তের ‘লুচি-আলুর দম’ খাওয়া নিয়ে তুঙ্গে ছিল বঙ্গ রাজনীতি। এরপর পুজোর ঠিক আগে মমতার দল ছেড়ে হাতে পদ্ম পতাকা তুলে নেন সব্যসাচী দত্ত। তৃণমূলের মনিরুল ইসলামের বিজেপিতে যোগদান ঘিরে আবার গেরুয়া শিবিরে অসন্তোষ তৈরি হয়।
সব্যসাচী দত্ত ও অমিত শাহ।* এনআরএসে ‘নজিরবিহীন’ বিক্ষোভ, উত্তাল গোটা দেশ
১০ জুন রাতে এনআরএসে মৃত্যু হয় ৭৪ বছর বয়সী মহম্মদ সঈদের। চিকিৎসায় গাফিলতিতে রোগীর মৃত্যুর অভিযোগে জুনিয়র ডাক্তারদের উপর চড়াও হন নিহতের পরিজনরা। অভিযোগ, দুটি ট্রাকে করে বাইরে থেকে লোক এনে জুনিয়র ডাক্তারদের উপর আক্রমণ করা হয় বলে অভিযোগ। মারধরে গুরুতর জখম হন জুনিয়র ডাক্তার পরিবহ মুখোপাধ্যায় ও যশ টেকওয়ানি। এর প্রতিবাদে আন্দোলনে নামেন ডাক্তাররা। বিক্ষোভের আঁচ ছড়িয়ে পড়ে গোটা দেশ। শেষমেশ নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী-জুনিয়র ডাক্তারদের মধ্যে ঘন্টা দেড়েকের বৈঠকে উঠে আসে সমাধান সূত্র।
এনআরএসে বিক্ষোভ।* শোভন-বৈশাখী এবং দেবশ্রী
উনিশের বাংলায় রাজনীতির ময়দানে সবথেকে চর্চায় ছিল ২টি নাম। শোভন চট্টোপাধ্যায় ও বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূলের সঙ্গে শোভনের দূরত্ব তৈরির পর সকলে ভেবেই নিয়েছিল যে পদ্ম- কানন যোগ শুধু সময়ের অপেক্ষা। সব জল্পনার অবসান ঘটিয়ে স্বাধীনতা দিবসের ঠিক আগে গত ১৪ অগাস্ট দিল্লিতে বিজেপি দফতরে গিয়ে পদ্ম পতাকা হাতে তোলেন শোভন-বৈশাখী। আর সেদিনই এক নয়া নাটকের সাক্ষী হয়ে থাকে বঙ্গ রাজনীতি। শোভন-বৈশাখীর বিজেপিতে যোগদানের দিনই দিল্লিতে বিজেপি দফতরে পৌঁছে গেলেন তৃণমূীল বিধায়ক দেবশ্রী রায়। ‘দেবশ্রীকে নিলে, আমরা বিজেপিতে যোগ দেব না’, শোভনের এমন ‘শর্ত’ নিয়ে জোর চাপানউতোর চলে। এর রেশ আজও বর্তমান। দেবশ্রীকে নিয়ে টানাপোড়েনের মধ্যেই রাজ্য বিজেপি নেতৃত্বের একাংশের উপর চরম ক্ষোভ উগরে কিছুদিনের ব্যবধানে বিজেপি ছাড়ার কথা জানিয়ে দিলেন শোভন-বৈশাখী। এরপর ভাইফোঁটায় হঠাৎ মমতার বাড়িতে চলে যান শোভন-বৈশাখী। কিন্তু এখনও এই যুগলের রাজনৈতিক অবস্থান ঘিরে ধোঁয়াশা।
শোভন-দেবশ্রী-বৈশাখী।আরও পড়ুন: বৈশাখীর ইস্তফা ‘গৃহীত’, আহত শোভন
* যাদবপুরে বাবুলকে ‘চড়-ঘুষি’, ত্রাতা রাজ্যপাল
এবিভিপি আয়োজিত নবীন বরণ অনুষ্ঠান এবং একটি সেমিনারে যোগ দিতে গিয়ে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘চরম হেনস্থা’র শিকার হন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়। বাবুলকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন যাদবপুরের পড়ুয়াদের একাংশ। পাশাপাশি তাঁর উদ্দেশে ‘গো ব্যাক’ স্লোগানও দেওয়া হয়। এই ঘটনা ঘিরে মুহূর্তেই পরিস্থিতি অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে। বাবুলের সঙ্গে পড়ুয়াদের একাংশের রীতিমতো ধস্তাধস্তি শুরু হয়ে যায়। বাবুল সুপ্রিয়কে থাপ্পড়, ঘুষি মারার অভিযোগ ওঠে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর জামাও ছিঁড়ে দেওয়া হয় এবং চুলের মুঠি ধরে টানা হয় বলে অভিযোগ। পাশাপাশি তাঁর চশমা খুলে নেওয়া হয়। প্রায় ৬ ঘণ্টা ধরে পড়ুয়াদের ঘেরাওয়ে ক্যাম্পাসে আটকে পড়েন বাবুল। শেষমেশ বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়ে বাবুল সুপ্রিয়কে উদ্ধার করেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। এ ঘটনা ঘিরে উত্তাল হয় রাজ্য রাজনীতি।
যাদবপুরে বাবুলকে ঘিরে ধুন্ধুমার।* ফের নোবেল জয় বাঙালীর
অমর্ত্য সেনের পর ফের ইতিহাস রচনা বাঙালির। ২০১৯ সালে অর্থনীতিতে নোবেল পেলেন বাঙালি অর্থনীতিবিদ অভিজিৎ বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায়। একই বিভাগে নোবেল পেয়েছেন তাঁর স্ত্রী এস্থার ডাফলো। বিশ্বজুড়ে দারিদ্র্য দূরীকরণ নিয়ে পরীক্ষামূলক কাজের স্বীকৃতি স্বরূপ নোবেল পেলেন তাঁরা।
অভিজিৎ বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায়।* বাংলায় থাবা বুলবুলের
বাংলার বুকে কার্যত তাণ্ডবলীলা চালাল ভয়াল ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’। ভয়ঙ্কর ঘূর্ণিঝড়ের তাণ্ডব বাংলায় প্রাণ কেড়েছে ১০ জনের। উপকূলের প্রায় ২.৭৩ লক্ষ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত। বুলবুল ঝড়ে লন্ডভন্ড দক্ষিণ ২৪ পরগনা ও পূর্ব মেদিনীপুরের বিস্তীর্ণ অংশ। পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে বকখালি যান মুখ্যমন্ত্রী। এই ঝড়ের সর্বোচ্চ বেগ ছিল ঘণ্টায় ১১৫ থেকে ১২০ কিমি।
বুলবুলের দাপট।আরও পড়ুন: ‘ভোটার আইডি-রেশন কার্ড লাগবে না’, তাহলে কীভাবে নাগরিকত্ব দেওয়া হবে? জানালেন দিলীপ ঘোষ
* উপনির্বাচনে বাংলায় হ্যাটট্রিক মমতা বাহিনীর
লোকসভা নির্বাচনে দলের ধাক্কা সামলে রাজ্যের তিন বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচনে আধিপত্য দেখাল তৃণমূল। খড়গপুর সদর, করিমপুর ও কালিয়াগঞ্জ-তিন কেন্দ্রেই জোড়াফুলের জয়জয়াকার হল। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, এনআরসি ইস্যুকে সামনে রেখেই উপনির্বাচনে বিজেপিকে রুখল মমতা বাহিনী।
* নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদে পথে মমতা
সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদে বছর শেষে ফের পথে নেমে মোদী বাহিনীর বিরুদ্ধে সকলকে একজোট হওয়ার ডাক দিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সিএএ ও এনআরসি-র প্রতিবাদে সোচ্চার মমতা বাহিনী। কোনওভাবেই এনআরসি ও সিএএ মানা হবে না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রয়োজনে এ ইস্যুতে রাষ্ট্রসংঘের তত্ত্বাবধানে জনমত সমীক্ষার দাবি তুলেছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। সিএএ ও এনআরসি-র বিরুদ্ধে মমতার আন্দোলন কোন পথে যায়, তার জন্য তাকিয়ে ২০২০ সাল।
মমতার মহামিছিল। ছবি: শশী ঘোষ।* ভাঙা হচ্ছে ঐতিহ্যবাহী টালা ব্রিজ
আগামী ৩ জানুয়ারি রাত থেকে বন্ধ করা হচ্ছে টালা ব্রিজ। ৪ জানুয়ারি থেকেই টালা ব্রিজ ভাঙার কাজ শুরু হবে। রাজ্য পরিবহণ দফতর সূত্রে এমনটাই খবর। এর জেরে কলকাতা উত্তরের ওই অঞ্চলে তীব্র যানজটের আশঙ্কা করা হচ্ছে। উল্লেখ্য, পুজোর মুখে টালা ব্রিজের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে রিপোর্ট জমা দেয় ভারতীয় রেলের অধীনস্থ পরামর্শদাতা সংস্থা রাইটস। এই রিপোর্টে বলা হয়েছে, দীর্ঘদিন মেরামত না করার ফলে আশঙ্কাজনক অবস্থায় রয়েছে টালা ব্রিজ। ফলে যে কোনও সময় ভেঙে পড়তে পারে ব্রিজটি।
/indian-express-bangla/media/agency_attachments/2024-07-23t122310686z-short.webp)
Follow Us