Amitabh Bachchan Don Producer Death: সালটা ছিল ১৯৭৮। সেই বছর মুক্তি পেয়েছিল অমিতাভ বচ্চন অভিনীত সুপারহিট মুভি 'ডন'। জঞ্জির, দিওয়ার শোলের পর এই ছবি আরও একবার বিগ বি-র স্টারডমকে তোল্লাই দিয়েছিল। কিন্তু, ডনের প্রযোজক এই ছবি তৈরির পর একেবারে নিঃস্ব হয়ে গিয়েছিলেন। সিনেমা মুক্তির আগেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন প্রযোজক নরীমান ইরানি। সিনেমার লভ্যাংসের টাকা তঁর স্মৃতিতে উৎসর্গ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল।
আরও পড়ুন ৯ বছর পর ফিরল 'পিঙ্ক'-র নস্ট্যালজিয়া! অনিরুদ্ধর 'ডিয়ার মা'-এর জন্য শুভেচ্ছা অমিতাভের
অকাল মৃত্যুর কারনে ডন-এর মতো হিট ছবি উপহার দিয়েও আর কোনও ছবি প্রযোজনা করা হয়নি তাঁর। গীতিকার সমীর অঞ্জন DD Urdu-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে জানান, জভেদ আখতার একটি নতুন গান Khaike Paan Banaras Wala শুটের প্রস্তাব দেন। কিন্তু, সেই সময় কোষাগার শূন্য। গানটি লিখেছিলেন সমীরের বাবা।
সমীরের বক্তব্য অনুযায়ী, নারীমান ইরানি জাভেদ আখতারকে বলেছিলেন, নতুন গান শুটের মতো আর টাকা নেই। কিন্তু, জাভেদ কোনও উত্তর দেননি। তবে গানটি কিন্তু, তৈরি হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু, গান তৈরির পর নতুন এক সমস্যার সৃষ্টি হয়। আমিতাভ তখন এক মাসের জন্য দেশের বাইরে যাবেন। তাই গানটির শুটিংয়ের জন্য হাতে মাত্র সময় একদিন। গুরগাঁও-তে গানের শুটিংয়ের পরিকল্পনা করা হয়েছিল। উত্তরপ্রদেশের লোকগীতি tabelas-এর আদলে এই গানের শুটিং হয়েছিল। এক ঘণ্টার মধ্যে ওই গানের শুটিং শেষ করা হয়েছিল। বাকিটাতো ইতিহাস।
আরও পড়ুন মধ্যরাতে সোশ্যাল মিডিয়ায় ইঙ্গিতপূর্ণ পোস্ট অমিতাভের, জামাইষষ্ঠীতে অসুস্থ বাংলার জামাই! উদ্বিগ্ন ভক্তরা
সিনেমার পরিচালক চন্দ্রা বারোতের নির্দেশনায় তৈরি হয়েছিল মাস্টারব্লাস্টার হিট ডন। ছবির মিউজিক কম্পোজ করেছিলেন কল্যানজি-আনন্দজি। 'ইয়ে মেরা দিল'-এর অলটাইম হিট গানও ছিল ডন-এ। কিন্তু, সিনেমার সাফল্য উপভোগ থেকে বঞ্চিত রয়ে গেলেন প্রযোজক নরীমান ইরানি। ছবি মুক্তির কয়েক সপ্তাহ আগে এক দুর্ঘটনা প্রাণ কেড়ে নেয় প্রযোজকের। কিংবদন্তী অভিনেতা মনোজ কুমারের একটি সিনেমার শুটিংয়ের সময় তঁর উপর দেওয়াল ভেঙে পড়ে মৃত্যু হয় প্রযোজক নরীমান ইরানির।
আরও পড়ুন 'মানুষকে হাসানোর মাঝেই যেন আমার মৃত্যু হয়', প্রেমানন্দ মহারাজের কাছে মন কি বাত অমিতাভের! দেখুন ভিডিও
২০০৬ সালে Rediff-কে ডনের পরিচালক বলেন, 'নীরামানির প্রথম ছবি জিন্দগি জিন্দেগি ছবিটি তৈরি করেছিলেন। কিন্তু, সেটি বক্স অফিসে মুখ থুবরে পড়েছিল। তাই আমরা বন্ধু হয়ে ওঁর পাশে দাঁড়াতে চেয়েছিলাম। অমিতাভ, জিনাত আমন, প্রাণ, সেলিম-জাভেদ প্রত্যেকে ডনের জন্য রাজি হয়ে যান। ছবি তৈরি করতে তিন বছর ছ'মাস সময় লেগেছিল। বাজেট নিয়ে সমস্যা তৈরি হলেও আমরা একটা ভাল ছবি তৈরি করেছিলাম। ডনের বাজেট ছিল ২৫ লাখ। নারীমান ইরানির মৃত্যুর পর সিনেমার প্রচারের জন্য আমরা কোনও অর্থ ব্যায় করিনি। ছবি হিট হওয়ার পর আমরা ওঁর স্ত্রী সলমা ইরানির হাতে টাকা তুলে দিয়েছিলাম।'
আরও পড়ুন সংকটজনক অবস্থায় ভর্তি ছিলেন ICU-তে, কেমন আছেন বরেণ্য সংগীতশিল্পী?