Jeet Untold Stories: জিৎ, যার নামের মধ্যেই বিজয়ের কথা রয়েছে, যার শুধু জিতে আসা কাম্য, সেই মানুষটাও দেখেছেন ফেলিওর। সাফল্য একেবারেই সহজে আসেনি। বরং অনেক কষ্ট করেছেন। কলকাতা ছেড়ে মুম্বাইয়ে থেকেছেন বহু কষ্ট করে। তারপর? টানা এতবছর স্ট্রাগোলের পর তিনি একটু সুখের ঠিকানা পেয়েছেন। তাই হয়তো, বা এত কলকাতার প্রতি তাঁর মায়া।
যারা ভাবেন, জিৎ মানেই সহজেই সব পেয়েছেন, তাহলে তাঁদের ধারণা ভুল। পরিশ্রম না করলে সহজে কিছু মেলে না। আর যারা ভাবেন জিতের প্রথম ছবি, সাথী, তাঁর আগে সে কিছুই করেনি, বরং ভুল জানেন। কারণ, জিতের প্রথম শুরু তাঁর অনেক আগে। সাথীর অনেক আগেই নিজেকে নানাভাবে পরীক্ষা করেছিলেন তিনি। ১৯৯৫ সালে শুরু করেন কাজ, তারপর? না! সঙ্গে সঙ্গে কাজ মেলেনি। ২০০২ সালে সাথী, অর্থাৎ টানা ৭টা বছর তিনি অক্লান্ত পরিশ্রম করে গিয়েছেন। এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন এই প্রসঙ্গেই।
আরও পড়ুন - Jeet: ভরা হাটে কোয়েলের দিকে সাপ ছুঁড়ে মারলেন জিৎ, তারপর?
জিতের কি কোনোদিন মনে হয়েছিল যে তিনি জিতলেন না, বা হেরে গেলেন? বা এত চেষ্টার পরেও যখন ফল পেলেন না, তখন কি হাল ছেড়ে দিতে ইচ্ছে হয়েছিল? অভিনেতা জানান, সবটাই ভাগ্যের ওপর। আগে থেকে সব লেখা থাকে। মানুষ শুধু চেষ্টা করতে পারে। কিন্তু হ্যাঁ, সব হেরে যাওয়াই কিছু না কিছু শেখায়। জীবনের তো নিয়ম হার থেকে শেখা। জিতের জীবনেও তাই হয়েছিল। অভিনেতা সেই সাক্ষাৎকারে জানান, দক্ষিণী ছবিতে বড় ব্রেক পেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু, সেই ছবির পরিচালক...
জিৎ বলেন, "আমি ব্রেক পেয়েছিলাম তেলেগু ছবিতে। আর ওই ছবিটা মারাত্মকভাবে ফ্লপ করে। আমায় একদম ছেঁটে ফেলা হয়েছিল। ভেবে নেওয়া হয়েছিল, যে আমায় দিয়ে কিচ্ছু হবে না। তখন আমার খুব খারাপ সময় গিয়েছে। রাতে ঘুমোতে পারতাম না। কিন্তু, মানুষের জীবনে সে নিজেই মোটিভেশন। ধীরে ধীরে নিজেকে ভাল রাখার চেষ্টা করতে হয়। একটা সময় আমি ভাবতাম, যে আমি সত্যিই হেরে গিয়েছি। তারপর, ঈশ্বর বাংলা ছবিতে নিয়ে গিয়ে ফেলল, এবং সেখান থেকে আর ফিরে তাকাতে হয়নি।"
প্রসঙ্গে, খাঁকি দ্যা বেঙ্গল চ্যাপ্টার রিলিজ করার পর থেকে জিৎ আলোচনায় রয়েছেন। অর্জুন মিত্র হিসেবে তিনি যে অভিনয় করেছেন, সেটি প্রসংশার যোগ্য।