/indian-express-bangla/media/media_files/2025/08/11/featured-image-copy-2025-08-11-18-07-23.jpg)
বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্র-র চরিত্র শুনে আমি তো লাফ দিয়ে উঠেছিলাম: দেবপ্রতীম
দেবপ্রতীম দাশগুপ্ত
'বেলা' সিনেমায় অভিনয়ের সুযোগটা অপ্রত্যাশিতভাবেই আমার কাছে আসে। অনিলাভর- কেন মনে হয়েছিল বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্রের ভূমিকায় আমি পারফেক্ট সেটা আজও জানি না। আমাকে ফোন করে যখন ডেট নিয়ে কথা বলে প্রথমেই জানতে চাই চরিত্রের গুরুত্ব কতটা। কারণ ছোট চরিত্র অর্থাৎ স্ক্রিন টাইম কতক্ষণের সেটা আমার কাছে প্রায়োরিটি নয়, প্রাধান্য পায় আমি যে চরিত্রে অভিনয় করছি সেটা কতটা গুরুত্বপূর্ণ। যখন বলল, বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্র আমি তো লাফ দিয়ে উঠেছিলাম। তারপর স্ক্রিপ্ট শোনা, শুটিং করা। এটা অনিলাভর প্রথম পূর্ণ দৈর্ঘ্যের ছবি। কিন্তু, ওঁর সঙ্গে কাজ করতে গিয়ে একবারও সেটা মনে হয়নি। যথেষ্ট মুনসিয়ানার সঙ্গে, দক্ষতার সঙ্গে সামলেছে।
আমাদের টিমে অনেক তরুণ শিল্পী ছিল, ওঁরা এতটাই প্রাণোচ্ছ্বল, সহযোগী যে শুটিংয়ের মাঝে বসে থাকার যে বিরক্তি সেটা অনুভব করতে দেয়নি। পরস্পরের মধ্যে নানা বিষয় নিয়ে আলোচনা, আড্ডা মেরেই সময় কেটে গিয়েছিল। বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্রের চরিত্রে অভিনয়ের জন্য আমাকে অনেক পড়াশোনাও করতে হয়েছে। সেটা অবশ্য সম্পূর্ণ নিজের ইচ্ছেতেই যাতে চরিত্রটাকে পর্দায় আরও ভালভাবে ফুটিয়ে তুলতে পারি। উনি যখন কথা বলতেন তখন একটা খোনা খোনা আওয়াজ হত।
আরও পড়ুন ভারতের একাধিক সমস্যা থেকে মানুষের মন ঘোরাতে নতুন ইস্যুর প্রয়োজন: কৌশিক সেন
নাকের ব্যবহার বেশি, মহালয়া শুনলে সেটা খুব ভাল বোঝা যায়। আমার কণ্ঠস্বরও খানিকটা সেইরকম। তাই খুব দায়িত্ব সহকারে নিজের কণ্ঠস্বর নিয়ে খুব সচেতন ছিলাম। আমার কথা যাতে আরও 'নাকী' না শোনায় সেই দিকটা খেয়াল রেখেছিলাম। তার জন্য আমাকে অনেক প্র্যাকটিস করতে হয়েছে। বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্র হয়ে উঠতে আমার কপালের দুদিক চেঁছে দেওয়া হয়েছিল। তাতে আমি অবশ্য কোনও আপত্তি জানাইনি। বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্রের ভাগ্য অতি সুপ্রসন্ন, কপালটা অনেক বড়। আমার যেহেতু সেটা নয় তাই চেঁছে একটু বড় করে দেওয়া হয়েছিল। চরিত্রের প্রয়োজনে আমি সবকিছু করতে রাজি।
আরও পড়ুন 'মিসেস সেন' হয়েছি তবে 'ম্যাডাম সেনগুপ্ত' হব সত্যিই কখনও ভাবিনি: ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত
যেহেতু এটি বেলা কেন্দ্রিক বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্রের চরিত্র তাই মহালয়া শোনা যাবে না। তবে বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্রের মতো মলাট চরিত্রে অভিনয় করতে পারাটা আমার কাছে সত্যিই বিরাট প্রাপ্তি। 'গৃহপ্রবেশ'-র পর 'বেলা' মুক্তি পাবে। একজন ক্যারেকটর আর্টিস্টের কাছে এটা অন্যতম সেরা প্রাপ্তিযোগ। 'ভিঞ্চিদা'-য় আমার চরিত্র ছিল একদিনের কিন্তু, ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ। অতনু ঘোষের ছবিতে মাত্র একটি দৃশ্যে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে খলনায়ক হিসেবে আমার আর্বিভাব। স্ক্রিনে নিজেকে দেখানোই আমার লক্ষ্য নয়, এক সেকণ্ডের জন্য হলেও যেন দর্শক আমাকে মনে রাখে। আমি সেই পন্থায় বিশ্বাসী।
আরও পড়ুন তোপসের জুতোয় পা 'গোয়েন্দা' আবীরের, পুজোয় কলকাতার কোন রহস্য উন্মোচন করবেন অভিনেতা?