/indian-express-bangla/media/media_files/2025/08/12/cats-2025-08-12-14-38-10.jpg)
সোজাসাপটা শ্বেতা
Bengali Actress casting couch: রূপোলি দুনিয়ার অভিনেত্রী মানেই খাটো পোশাক বা শরীর প্রদর্শন! মানুষের এই ভাবনাটা কিন্তু, একেবারেই উড়িয়ে দেওয়া যায় না। কাশ্মীর টু কন্যা কুমারী, যে কোনও ভাষার সিনেমা বা সিরিয়ালে নায়িকাদের খোলামেলা পোশাকে বোল্ড অবতারে পর্দায় নিজেকে মেলে ধরা খুবই চেনা ছবি। কিন্তু, বাঙালি অভিনেত্রী শ্বেতা ভট্টাচার্য কিন্তু, একদম স্রোতের বিপরীতে হাঁটেন। স্বল্পবসন তো দূরের কথা, স্লিভলেস ব্লাউজ পর্যন্ত পরেন না। কোনও পরিস্থিতিতেই নিজের জায়গা থেকে টলানো যায়নি অভিনেত্রীকে। কেরিয়ারের শুরুতে স্লিভলেস ব্লাউজ পরতে বলা হয়েছিল। শ্বেতার উত্তর ছিল, 'তাহলে আমি আসছি'।
সম্প্রতি একটি টক শোয়ে নিজের জীবন নিয়ে কথা বলেন শ্বেতা। সেখানেই কাস্টিং কাউচের অভিজ্ঞতা শেয়ার করেছেন অভিনেত্রী। এই বিষয়ে বিশদে জানতে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলার তরফে শ্বেতা ভট্টাচার্যের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। তিনি বলেন, 'আমি একটি শোয়ে গিয়েছিলাম। সেখানে আমাকে স্লিভলেস ব্লাউজ পরতে বলেছিল। আমি সঙ্গে সঙ্গে বলেছিলাম, এটা আমার দ্বারা সম্ভব নয়, আমি আসছি।' ইন্ডাস্ট্রিতে টিকে থাকতে গেলে অভিনেত্রীদের কম্প্রোমাইজ করতে হয়, খোলামেলা পোশাক না পরলে সাফল্য আসেনা এই বিষয়টি মানতে নারাজ। শ্বেতার সোজাসাপটা জবাব, 'কম্প্রোমাইজ করতেই হবে? আমি কিন্তু, করিনি। তারপরও ঈশ্বরের আশীর্বাদে আমি নিজের জায়গা তৈরি করতে পেরেছি।'
আরও পড়ুন শ্বেতার দু'হাত ধরে কপাল স্পর্শ রুবেলের, ভাত কাপড়ের অনুষ্ঠানে নবদম্পতির মিষ্টি মুহূর্ত
শ্বেতার এই ভাবনাকে ইন্ডাস্ট্রির সকলে সম্মান করেন? তাঁর আড়ালে কেউ কখনও হাসাহাসি করে বা খোঁচা মেরে কথা বলে? অভিনেত্রীর সংযোজন, 'সকলে জানে আমি ছোট পোশাকে স্বচ্ছন্দ নই। আমার পিছনে কে কী বলছে সেটা তো জানি না। তবে এটুকু বলতে পারি, শাড়ি-সালোয়ার পরে আমার মতো অনেকেই কেন্দ্রীয় চরিত্রে বারবার কাজের প্রস্তাব পাচ্ছেন।' চেহারার মিষ্টত্ব আর ট্যালেন্টের জেরেই শ্বেতার ভাবনাকে প্রাধান্য দেওয়া হয়? খানিক হেসে অভিনেত্রী বলেন, 'আমার থেকেও তো অনেক কিউট আর্টিস্ট আছেন। তবে আমি হয়ত কিছুটা অভিনয় পারি তাই আমি ছোট পোশাক না পরলেও কাজের প্রস্তাব পাই।'
আরও পড়ুন হলুদ শাড়ি আর ফুলের গয়নায় সুসজ্জিত শ্বেতা, গায়ে হলুদে জমিয়ে নাচ রুবেলের
স্নেহাশিষ চক্রবর্তীর প্রশংসা করেন শ্বেতা বলেন, ব্লুজ প্রোডাকশনের সঙ্গে কাজ করেছি। কেরিয়ারের ভিতটা তখনই শক্ত হয়েছে। আর এই প্রযোজনা সংস্থার মালিক মেয়েদের ভীষণ সম্মান করেন, তাঁদের ইচ্ছেকে গুরুত্ব দেন। তাই শ্বেতার ভাবনাকেও তিনি সম্মান জানিয়েছিলেন। ২০১০ থেকে দীর্ঘ কেরিয়ারে এখন পায়ের তলার জমি শক্ত করেছেন। তাই নিজের কমফোর্ট জোন থেকে বেরিয়ে আসার প্রশ্নই আসে না। একটু পিছন ফিরে তাকালে মনে পড়ে যায় সিঁদুরখেলা ধারাবাহিকের কথা। ২০১০-এ এই ডেইলি সোপ দিয়ে জার্নি শুরু, বর্তমানে কাজ করছেন কোন গোপনে মন ভেসেছে ধারাবাহিকে। কোনও দৃশ্যে দেখা মেলেনি স্বল্পবসনা শ্বেতার।
আরও পড়ুন সিরিয়ালের বিয়ে এবার বাস্তবে, শ্বেতার মেহেন্দি রাঙানো হাতে বরবেশে রুবেল! দেখুন ভিডিও