Anupam Kher School Life: ব্যক্তিগতজীবন থেকে কর্মজীবন, বরাবরই খোলামেলা আলোচনা করেন বর্ষীয়ান অভিনেতা অনুপম খের। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে স্ত্রী কিরণ খেরের সংসারের হাঁড়ির খবর শেয়ার করেছেন। এবার স্কুলজীবনের প্রেম নিয়ে অকপট অনুপম খের। রাজ শামানির সঙ্গে কথোপকথনের সময় কোনওরকম লুকোচুরি না করেই বলেন, ইংরাজি মাধ্যম স্কুলের মেয়েদের প্রতি বেশি আকৃষ্ট ছিলেন। ছোট শহরের ছেলে বলেই ইংরাজি মাধ্যম স্কুলছাত্রীদের প্রতি মোহটা একটু বেশিই ছিল অনুপমের। আজকের প্রজন্মের প্রেমের সঙ্গে অনুপমের জমানায় মন দেওয়া-নেওয়ার মধ্যে একটা বিস্তর ফারাক ছিল। স্কুলজীবনে অনুপমের নজরে প্রেমের পরিভাষাটা ঠিক কী রকম ছিল?
সেই প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে অভিনেতা বলেন, 'আমি ছোট শহরে বড় হয়েছি। একে অপরের দিকে তাকাতেই ছ'মাস সময় লেগে যেত। তারপর মনের কথা বলার জন্য আরও তিন মাস। আমি হিন্দি মিডিয়াম স্কুলের ছাত্র ছিলাম। ইংরাজি মাধ্যমের ছাত্রীদের প্রতি আমার একটা বিশেষ আকর্ষণ ছিল। ওঁদের আচরণে একটা আলাদা বন্ধুত্বপূর্ণ ভাব ছিল।' স্কুলজীবনের স্মৃতিচারণ করে একটি মজার ঘটনার কথা বলেন অনুপম খের। মিনিস্কার্ট পরা একটি মেয়ে কী ভাবে তাঁর মন দখল করেছিল স্কুলজীবনের সেই গল্প শেয়ার করেন অভিনেতা।
আরও পড়ুন একই বাড়িতে থেকেও স্বামী-স্ত্রীর ঘর আলাদা, ক্যানসার আক্রান্ত স্ত্রীর সঙ্গে কেন থাকেন না অনুপম?
অনুপম বলেন, 'একটা মেয়ে ছিল যে সেই সময় মিনি স্কার্ট পরত। আমি আমার প্রিয় বন্ধুর সঙ্গে ওর পিছনে হাঁটতাম। আমাদের সময় প্রেম নিবেদনে অনেকটা সময় লাগত। ভালবাসা বিষয়টা কী সেই ব্যাপারে আমাদের বিশেষ জ্ঞান ছিল না। আমরা কেমন যেন প্রেমে পড়ে যেতাম, তবে ভালবাসায় ডুবে যেতাম না।'
আরও পড়ুন জ্যান্ত সাপ হাতে নিয়ে..., সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল সোনু সুদের ভিডিও! অভিনেতার কীর্তিতে তাজ্জব বনে যাবেন
বর্তমান প্রজন্মের প্রেম নিয়ে কী মত অনুপমের? এই প্রশ্নের উত্তরে অভিনেতার স্পষ্ট জবাব, 'আমার তো সেই প্রজন্মের প্রেমের অভিজ্ঞতাই ভাল। সম্পর্ককে লালন করা উচিত। প্রেম মানে একটা আবিষ্কার। একে অপরকে না জেনে, বিচার না করে প্রেম করা উচিত। আমাদের সময় সম্পর্ক ধীর গতিতে এগতো এবং সেটা অনেক গভীর হতো।'
আরও পড়ুন শেফালির মা হওয়ার ইচ্ছের বিরোধীতা, ছুটির দিনে মন খারাপ একাকী পরাগের! দেখুন ভিডিও
বর্তমান প্রজন্মের মধ্যে সম্পর্কের জটিলতা নিয়ে মত প্রকাশ করতে গিয়ে অনুপম বলেন, 'আজকাল সম্পর্কের মধ্যে দ্বন্দ্ব বেশি দেখা যায় কারণ উভয়পক্ষই এখন অনেক বেশি স্বাধীন এবং আত্মনির্ভর।' তিনি উদাহরণ দেন নিজের বাবা-মায়ের সম্পর্কে, যারা ৫৯ বছর ধরে বিবাহিত ছিলেন। তাঁর মতে, তাদের সময় সমাজে পুরুষ ও নারীর ভূমিকা ছিল স্পষ্টভাবে বিভাজিত—বাবা ছিলেন উপার্জনকারী, আর মা সংসার সামলাতেন। আরও যোগ করেন "আজ মেয়েরা শিক্ষিত, আত্মবিশ্বাসী ও ক্ষমতাবান। তাঁরা ছেলেদের কাছ থেকে অন্যায় কিছু সহ্য করবে কেন?"
আরও পড়ুন যাঁরা এই দুনিয়ায় আছেন তাঁদের গুডবাই বলার প্রয়োজন নেই, কখনও না কখনও তো আবার দেখা হবেই: ইন্দ্রনীল