/indian-express-bangla/media/media_files/2025/09/28/cats-2025-09-28-18-13-42.jpg)
সেন্সরের কোপ নিয়ে মত সৌরভ-ইন্দিরার
Censorship In Films: সেন্সর বোর্ডের অনুমোদন ছাড়া সিনেমা মুক্তি পাওয়া সম্ভব নয়। সেন্সরের কোপে পড়েছে এমন ছবির সংখ্যা নেহাত কম নয়। রাজেশ খান্না-অমিতাভ বচ্চন জমানার ছবি থেকে রণবীর সিং দীপিকার 'পদ্মাবত' বা হালফিলের 'হোমবাউন্ড'-র মতো ছবিতে একের পর এক দৃশ্যে সেন্সরের কাঁচি। অস্কার মনোনীত ছবি 'দ্য জেব্রাজ'-এর পরিচালকের নতুন ডকু ফিচার 'The Place Once Known As Earth And We Homo Sapines'-এ ও আপত্তি জানিয়েছেন সেন্সরের। পরিচালকের ভাবনায় সেন্সেরের বাধা তাঁদের স্বাধীনতাকে খর্ব করছে? ছবির গুণগত মান নষ্ট হচ্ছে? এই বিষয়ে মতামতের জন্য বাংলা ইন্ডাস্ট্রির দুই বিশিষ্ট পরিচালক সৌরভ পালোধি ও ইন্দিরা ধর মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা।
'অঙ্ক কী কঠিন' খ্যাত পরিচালক সৌরভ পালোধি এই বিষয়ে বলেন, 'সেন্সরের কাজ কিন্তু, পরিচালকের কাজে হস্তক্ষেপ করা নয়। আমি সেন্সরের বিরুদ্ধে নই। তবে একটা কথা বলতে পারি সেন্সরটা সবসময় নিরপেক্ষভাবে হওয়া উচিত। অনেকসময়ই দেখা যায় সেন্সর বোর্ডের সদস্যদের মতবিরুদ্ধ বা রাজনৈতিক মতাদর্শের বিরুদ্ধে হলে সিনেমায় কোপ পড়ে। তাঁরা যদি খুশি না হয় তাহলেই সিনেমায় সেন্সরের কাঁচি। আজকাল অনেকক্ষেত্রেই সেন্সরের নিরপেক্ষতা বজায় থাকছে না।'
আরও পড়ুন কুমারী পুজোর মাধ্যমে মহিলাদের দেবীর স্থানে বসানোর পরই আবার বলা হয় ঋতুমতীরা অপবিত্র: অনীক চৌধুরী
অন্যদিকে একেবারে উলটো সুরে কথা বললেন কান চলচ্চিচত্র উৎসব ও অস্কারে মনোনয়ন পাওয়া বাংলা ছবি 'পুতুল'-এর পরিচালক ইন্দিরা ধর মুখোপাধ্যায়। তাঁর সপাট জবাব, সেন্সর জরুরি। ইন্দিরার মতে, 'প্রতিটি পরিচালকের মতাদর্শের উপর এই বিষয়টি নির্ভরশীল। কে কেমন কনটেন্ট বানাচ্ছেন তার উপর নির্ভর করে সেন্সরের কাঁচি চলবে কি না। পরিচালককে সংবেদনশীল কনটেন্ট তৈরি করতে হবে যাতে ১৩ থেকে ৮৩ প্রত্যেকে সেটি দেখতে পারে। তাই আমি সেন্সরের বিরুদ্ধে নই। এমন কোনও দৃশ্য বা সংলাপ যেটা সকল বয়সের দর্শক বা সমাজ-মনের উপর প্রভাব ফেলবে সেখানে সেন্সর অবশ্যই প্রয়োজন।'
আরও পড়ুন 'বাংলা ছবিকে আন্তর্জাতিক স্তরে লড়াই...', অস্কারের দৌড়ে 'পুতুল' মনোনীত হতেই আবেগপ্রবণ ইন্দিরা
এই বিষয়ে যুক্তি দিয়ে ইন্দিরার ব্যখা, 'ওটিটির যুগে ছোট থেকে বড় যে কোনও বয়সের ছেলেমেয়েদের হাতের মুঠোয় সিনেমা-সিরিজ। একটা পাঁচ বছরের বাচ্চা আজকাল মোবাইলে পারদর্শী। তার সামনে যদি এমন কনটেন্ট চলে আসে যা অত্যন্ত উগ্র সেটা তো ঠিক হবে না। অন্তত মা হিসেবে আমি সেটাই মনে করি। শুধু ধর্মীয় ভাবাবেগের বিষয় নয়, হিংস্রতাও অত্যন্ত ক্ষতিকর। তাই আমি কখনই সেন্সরের বিপক্ষে নই। আজকের দিনে সেন্সর খুব জরুরি।'
আরও পড়ুন 'আমি এই সরকারের বিপক্ষে...', শাসকদলের বিরুদ্ধে কথা বললে কেরিয়ারের 'অঙ্ক' কঠিন হওয়ার ভয় নেই সৌরভের?