/indian-express-bangla/media/media_files/2025/10/31/cats-2025-10-31-12-40-56.jpg)
জেমাইমা জয়ে উচ্ছ্বসিত দেবাদৃতা
Jemimah Rodrigues: ২০২৫ মহিলা ক্রিকেট বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে মুখোমুখি হয়েছিল ভারত এবং অস্ট্রেলিয়া। এই ম্য়াচে টিম ইন্ডিয়া দুর্দান্ত পারফরম্য়ান্সে নিঃসন্দেহে এটি ভারতের ঐতিহাসিক জয়। আর সেই ইতিহাস সৃষ্টি করলেন জেমাইমা রডরিগস। টিম ইন্ডিয়ার সামনে জয়ের জন্য টার্গেট ছিল ৩৩৯ রান। বিশ্বকাপ সেমিফাইনালের মতো একটি গুরুত্বপূর্ণ ম্য়াচে ব্যাট হাতে কার্যত তাণ্ডব চালালেন জেমিমা। কেড়ে নিলেন অজি বোলারদের রাতের ঘুম। ১৩৪ বলে ১২৭ নট আউট! জেমাইমার দুরন্ত ব্যাটিংয়ের প্রশংসায় মুখোরিত ক্রিকেটপ্রেমীরা। ব্যাটে ঝড় তুলতেই দর্শকের করতালিতে ফেটে পড়েছিল স্টেডিয়াম। আজও পুরুষতান্ত্রিক সমাজে মহিলাদের দমিয়ে রাখার যে একটা প্রবণতা আছে সে কথা বলাইবাহুল্য। কিন্তু, ২২ গজে জেমাইমার ব্যাটের দাপটে সেই দম্ভ ভেঙে খানখান! এই বিষয়ে সহমত ফুটবল তারকা বিদেশ বসুর নাতনি দেবাদৃতা বসু।
আরও পড়ুন বিচ্ছেদের পথে জনপ্রিয় জুটি রাহুল-দেবাদৃতা! আচমকা কী ঘটে গেল প্রেমিকযুগলের জীবনে?
ছোট থেকেই খেলাধূলার পরিবেশে বড় হয়েছেন। জয়ী ধারাবাহিকে মহিলা ফুটবলারের চরিত্রে অভিনয় করে দর্শকের প্রশংসা কুড়িয়েছিলেন। জেমিমার সাফল্যে ভীষণ খুশি দেবাদৃতা। সদ্য নতুন বাড়িতে শিফট করেছেন অভিনেত্রী। কাজের হাজার ব্যস্ততার মাঝেও 'জয়ী' খ্যাত দেবাদৃতা আনন্দে ডগমগ। ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলাকে অভিনেত্রী উচ্ছ্বসিত হয়ে বলেন, 'এটা আমাদের জন্য একটা গর্বের মুহূর্ত। ছেলে-মেয়ে নির্বিশেষে বিচার করা কখনও উচিত নয়। এটা দেশের জয়, যাঁর হাত ধরেই এই জয় আসুক না কেন। আমি যখন জয়ী-তে মহিলা ফুটবলারের চরিত্রে কাজ করেছি তখনও বুঝেছি এই মেয়েদের সাহসী পদক্ষেপ বা হটকে কিছু করলে এই সমাজের মেনে নিতে সমস্যা হয়। একটা মেয়ে ক্রিকেট বা ফুটবল খেলছে! ও মাই গড! বর্তমানে অবশ্য সেই চিন্তাধারার কিছুটা পরিবর্তন ঘটেছে।'
আরও পড়ুন আমার পার্টনার বলে, আমি নাকি রোম্যান্টিক কম মাঝেমধ্যেই বেশি সিরিয়াস হয়ে যাই: রাহুল দেব বোস
আরও যোগ করেন, 'আমি ঝুলন গোস্বামীর বিরাট ভক্ত। ওঁর মতো ব্যক্তিত্বরা এই দেশের গর্ব। আমার মনে হয় এখন ছেলেরাও বিশ্বাস করতে শিখেছে একজন মেয়ে শুধু গৃহকর্মে নিপুণা হওয়ার পাশাপাশি বাইরের জগৎ-ও সমান পারদর্শীতার সঙ্গে সামলাতে সিদ্ধহস্ত। এখন কাজের ব্যস্ততার জন্য হয়ত সবসময় খেলা দেখা সম্ভব হয়ে ওঠে না। তবে ছোট থেকেই খেলার পরিবেশের মধ্যেই তো বড় হয়েছি। নিজে খেলতেও ভালবাসি। আমার বাড়িতে আছেন বিদেশ বসু। খেলার প্রতি যাঁর অসম্ভব একাগ্রতা। যে কোনও স্পোটর্স পার্সেনের প্রতিই আমার ভীষণ সম্মান-শ্রদ্ধা রয়েছে। আমার জীবনের অনুপ্রেরণা হিসেবে তাঁদের একটা বিরাট ভূমিকা রয়েছে। জেমাইমার দাপুটে পারফরম্যান্সে তো আমি ভীষণ খুশি। ওঁকে এবং দেশের প্রতি আমার শুভেচ্ছা।
'রাস্তায় পড়ে পায়ে স্টোনচিপ ফুটে কেলেঙ্কারি, ব্যথা সত্ত্বেও মাকে নিয়ে কেন তড়িঘড়ি ক্লিনিকে শ্বেতা?
/indian-express-bangla/media/agency_attachments/2024-07-23t122310686z-short.webp)

Follow Us