Subhrajit Mitra On Arjun Dutta Wins National Award: জাতীয় পুরস্কারের মঞ্চে বাংলার জয়। সেরা বাংলা ছবি হিসেবে পুরস্কৃত হয়েছে পরিচালক অর্জুন দত্তের 'ডিপ ফ্রিজ'। ২০১৬-তে 'ষষ্ঠ উপাদন' দিয়ে ইন্ডাস্ট্রিতে হাতেখড়ি অর্জুনের। এরপর ২০১৮ সালে 'অব্যক্ত' ছবি পরিচালনার মাধ্যমে লাইমলাইটে আসেন। ২০২২-এ তৈরি করেন 'শ্রমতী'। এরপর ২০২৪-এ 'ডিপ ফ্রিজ'। মুক্তির অপেক্ষায় আরও একটি নতুন ছবি 'বিবি পায়রা'। স্বল্পদৈর্ঘ্যের ফিল্মি কেরিয়ারে জাতীয় পুরস্কার প্রাপ্তি নিঃসন্দেহে প্রশংনীয়। অর্জুনের সাফল্যে খুশি আরও এক জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত পরিচালক শুভ্রজিৎ মিত্র। 'অভিযান্ত্রিক' ছবির জন্য জাতীয় পুরস্কার এসেছিল শুভ্রজিৎ-এর ঝুলিতে। গত বছর জুরি সদস্য হিসেবেও মঞ্চে ছিলেন।
আরও পড়ুন 'উপর থেকে কলকাঠি নাড়িয়ে...', মায়ের মৃত্যুর পর জাতীয় পুরস্কার জিতে আবেগপ্রবণ পরিচালক অর্জুন
নতুন প্রজন্মের প্রতিভায় মুগ্ধ শুভ্রজিৎ বলেন, 'অর্জুনের ডিপ ফ্রিজ-এর শ্রেষ্ঠ বাঙালি ছবি হিসেবে জাতীয় পুরস্কার পাওয়া সত্যিই গর্বের ও আনন্দের। অর্জুন অনেকদিন ধরেই ভাল কাজ করছে। আমাদের ইন্ডাস্ট্রিতে অর্জুন, অনির্বাণ, ইন্দ্রাশিষের মতো নতুন অনেক প্রতিভা আছে। একটা প্রজন্মের পর আরও একটা নতুন প্রজন্মের জন্ম হয়। ওঁদের কাজের স্বীকৃতিটাও ভীষণ প্রয়োজন। তাহলেই ওঁরা ভবিষ্যৎ-এ আরও ভাল কাজ করার অনুপ্রেরণা পাবে। যাঁরা সিনিয়ার পরিচালক তাঁদের কাজ তো ইতিমধ্যেই প্রশংসিত ও স্বীকৃত। নতুন প্রজন্মের কাজেরও যদি প্রশংসা হয়, স্বীকৃতি পায় তাহলে সেটা আমাদের বাংলা ইন্ডাস্ট্রির জন্যই মঙ্গল। মুষ্টিমেয় কয়েকজনের মধ্যে বিষয়টা সীমাবদ্ধ থাকবে না। ভাল পরিচালকের সংখ্যা বাড়ছে, যেটা এই মুহূর্তে আমাদের ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে খুব প্রয়োজন। শিক্ষিত, রুচিসম্পন্ন বাঙালি পরিচালক বাংলা ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য দরকার।'
আরও পড়ুন বাঙালি পরিচালকের সাফল্যে বিস্ফোরক মুখ্যমন্ত্রী, কড়া জবাব জাতীয় পুরস্কারের জুরি চেয়ারম্যানের
প্রসঙ্গত, মা যখন অসুস্থতার সঙ্গে লড়াই করছিলেন সেই মুহূর্তে ছবি তৈরি করছিলেন অর্জুন। অবশেষে জীবন মৃত্যুর লড়াইয়ে হেরে যান তাঁর মা। অনেকটা কঠিন পথ হেঁটে ডিপ ফ্রিজ বানিয়েছিলেন পরিচালক। মাকে ছবিটি দেখানো হয়নি তবে জাতীয় পুরস্কার জিতে সোশ্যাল মিডিয়ায় আবেগঘন পোস্টে মায়ের স্মৃতিতে লিখেছেন, 'আজ মনে হচ্ছে আমার এই জাতীয় পুরস্কার প্রাপ্তি এ যেন আমার মা উপর থেকে কলকাঠি নাড়িয়ে করে ফেলল! এই পুরস্কারটা আমি তোমায় দিলাম মা। এই পুরস্কার আমার নয়। অনেক আদর, তোমার পুচকি।'
আরও পড়ুন 'সকল মায়েদের উৎসর্গ করলাম', ৩০ বছরে প্রথম জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্তিতে কেন এই বার্তা রানির?
জাতীয় পুরস্কারজয়ী পরিচালক শুভ্রজিৎ-এর সংযোজন, 'ও যে সময়টার মধ্যে দিয়ে ছবিটা বানিয়েছিল সত্যিই খুব কঠিন পরিস্থিতি। তখন ওঁর মা অসুস্থ, কিছুদিন পর মারা যান। তাই কাল যখন ওঁর সঙ্গে কথা হল ওকে বলছিলাম কাকিমা ছবিটা হয়ত দেখতে পাননি কিন্তু, ওঁর আশীর্বাদ তোমার সঙ্গে সবসময়ই আছে।'